নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনার্য তাপস...উড়নচণ্ডী আউলা বাউল

পাখি পর্ব চলছে

অনার্য তাপস

একজন গবেষক। আমার আগ্রহের বিষয় লোকায়ত সংস্কৃতি, স্থানীয় ইতিহাস, মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি, নৃতত্ত্ব। থাকি ঢাকায়, খাই ভাত, ঘুমাই ৫ বাই ৮ মাপের ঘরে... আকাশের কাছাকাছি...

অনার্য তাপস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই দেশে চাল এবং কাগজের বক্স এর দাম সমান

৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:২৮

কিছুক্ষণ আগে আমি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কগজের বক্স কিনতে গিয়েছিলাম। দাম শুনে আমি থ। কিছুদিন আগেও (মাস দু'য়েক) আমি যে বক্স কিনেছি ৩০-৩৫ টাকায় সেই বক্সই এখন ৪৫টাকা! বুঝুন। তো এই ঘটনায় আমার একটা গল্প মনে পড়ে গেল।



এক দেশে ছিল এক গুরু এবং এক শিষ্য। একদিন গুরু শিষ্যকে নিয়ে ভ্রমণে বের হলেন। তারা ঘুরতে ঘুরতে এমন একটা দেশে এলেন যেখানে সব জিনিসের দাম একই। ধরুন, একসের দুধের দামে একসের ঘি পাওয়া যায় বা সমপরিমান সোনার বদলে সমপরিমান রূপা পাওয়া যায়। তো গুরু শিষ্যকে বললেন, বাপ চল, এদেশে যাওয়া যাবে না। শিষ্য গুরুর কথা শুনল না। গুরু অনেক বোঝাবার চেষ্টা করল কিছুতেই কিছু হল না। শিষ্যকে রেখে গুরু চলে গেল অন্য দেশে।

একদিন এক চোর সিঁধ কেটে চুরি করতে গিয়ে দেয়াল ধ্বসে মারা গেল। চোরের মা সেই দেশের রাজার কাছে গিয়ে নালিশ দিল, আমার ছেলে চোর। সে তো চুরি করবেই। কিন্তু দেয়াল ধ্বসে মারা যাবে ক্যান? রাজা ভাবল তাই তো। চোরতো চুরি করবেই। কিন্তু মারা যাবে ক্যান! রাজা হুকুম দিলেন, ওই বাড়িটা যার তাকে ধরে নিয়ে আয়। পাইক-পেয়াদা ছুটল সেই বাড়িওয়ালাকে ধরে আনতে। বাড়িওয়ালা রাজদরবারে নিত হল। রাজার প্রশ্নে সে বলল, মহারাজ আমি কী করব। আমি তো টাকা পয়সা ঠিকই দিয়েছিলাম। এটা মিস্ত্রির দোষ। রাজা ভাবল, তাইতো মিস্ত্রি ঠিক মত কাজ করেনি। ওই মিস্ত্রিকে নিয়ে আয়। রাজা হুকুম দিলেন।

পাইক পেয়াদা ছুটল মিস্ত্রিকে নিয়ে আসতে। তাকেও আনা হল রাজদরবারে। সে বলল, মহারাজ, আমি তো ঠিকই কাজ করছি। যদি কিছু হয়ে থাকে সেটা জোগারির দোষে। সে ভাল করে মাল মিশায়নি তাই দালান খারাপ হয়েছে। এবার জোগারিকে আনা হলো রাজ দরবারে। সে বলল, কী করব মহারাজ। আমিতো ঠিকই মিশাচ্ছিলাম, পাথ দিয়ে একটা ইয়া মোটা মানুষকে যেতে দেখে আমি হিসেবে গোলমাল করে ফেলি। দোষ কিছু হলে সেই লোকটার। এবার মোটা লোকটার খোঁজ পড়ল।

এদিকে অনেকদিন পার হয়েগেছে। সেই গুরু ভাবল, যাই গাধাটাকে রেখে এলাম, কেমন আছে দেখে আসি। গুরু পাশের রাজ্য থেকে শিষ্য যে রাজ্যে থাকে সেখানে এলেন। তিনি দেখলেন, পথের ধারে একটা যায়গায় বেশ জটলা। দূর থেকে দেখলেন একটা লোককে শূলে চড়ানো হচ্ছে। তিনি দ্রুত এগিয়ে গিয়ে দেখেলেন তারই শিষ্য। এইবার গুরু ভাবলেন শিষ্যকে বাঁচে হবে। তিনি রাজার পায়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিলেন। রাজাতো অবাক। ব্যাপার কী।

'রাজামশাই, আমাকে শূলে চড়ান।'

'এই ব্যাটা গর্ধব, নিজে কেউ কখনো শূলে চড়ে।' '

'না আমি চড়ব।'

রাজা ভাবলেন ব্যাপার কী। তো রাজা বললেন, ওই বলতো কী ব্যাপার।

গুরু বললেন'রাজা মশাই, আমি কাল রাতে স্বপ্ন দেখেছি, আজ যে শূলে চড়বে তার স্বর্গপ্রাপ্তি নিশ্চিত।' রাজা ভাবলেন, তাই নাকি। তাহলে তো আমাকেই স্বর্গে যেতে হয়। তিনি হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন,'ওই, ও না, আমি শূলে চড়ব। আমাকে শূলে চড়াও।'

এবার ভীষণ হট্টগোল শুরু হল। রাজা শূলে চড়বেন। মন্ত্রিরা তাকে চড়তে দেকব না। এই ফাঁকে গুরু তার শিষ্যকে নিয়ে উধাও।

নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে গুরু বললেন, কী বুঝলে?

শিষ্য,'আর না। মাপ করেন। চলেন পালাই।'



কী বুঝলেন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৮

সমকালের গান বলেছেন: হুমম... অবস্থা জটিল।

২০ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯

অনার্য তাপস বলেছেন: জটিল!!!!!!!!!

২| ১১ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৪৪

বর্ণফিল্মি বলেছেন: তাপস দা

কি লিখছেন পুরান গপ্প ? আমি গপ্পটা জানি। জাক তবু্ প্লাস ।

আল্লাহ একটাইতো প্লাস++++

২০ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮

অনার্য তাপস বলেছেন: খামোস!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.