নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ ক্ষমা

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৪


বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে অথচ বিয়ে হচ্ছে না কেনো এই সম্পূর্ণ মিথ্যা দোষারোপ করে মেহরুনকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায় মেহরুনের ভাই।

সদ্য বিয়ে করা ভাবীর সামনেই ওর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলতে ফেলতে মেহরুনকে অনর্গল কুৎসিত গালি দিতে থাকেন তিনি। ভাবীর মুখ লুকানো হাসি তখন আলোর দ্যুতির মতন ঠিকরে বের হচ্ছে তার চোখে মুখে গালে; ভীষণ মিষ্টি লাগছে তাকে দেখতে।
মেহরুন দীর্ঘশ্বাস ফেলে; ভাইয়ের বিয়ের আগে এইভাবে কখনো কথা বলেনি সে, ভাবীকে পেয়েই সাথে সাথে তার নিজের ভালো বোঝার বুদ্ধি খুলেছে ; বাহ্!!

যার কিছুই থাকেনা তার থাকে মান সম্মান হারানোর ভয়, মাথা ঠান্ডা রেখে মেহরুন ভাবে এভাবে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলে ওরা সবাই মিলে ওকে আরো কলঙ্ক দিয়ে এমন অবস্থা করবে যে, ওর জীবন আর স্বাভাবিক থাকবে না।
বড় ভাইয়ের পোষ্টিং চিটাগাং হওয়ায় সে ভাবী আর দুই বাচ্চা নিয়ে সেখানেই থাকে। ওরা তিন ভাইবোন, মেহরুন সবার ছোট, বড় ভাই ছোট ভাইয়ের বিয়েতে এটেন্ড করেই চিটাগাং ফিরে গিয়েছে, হয়তো ভেবেছে ভাই নতুন বিয়ে করেছে তার একটু স্পেস দরকার।

মেহরুনের জীবনে এই অপ্রত্যাশিত সিচুয়েশন তৈরি করেছে ওর নতুন ভাবীর মা, বিয়ের তিনদিন পর থেকেই সে পরে আছে ওদের বাড়িতে মেয়ের সাথে, এত বড় বাড়ি তাছাড়া একমাত্র মেয়ে নাকি তাকে রেখে কখনোই থাকে নাই তাই সেও থাকতে পারবে না।
নতুন ভাবীর মা সকল ময়লা আবর্জনা তার মেয়ের জীবন থেকে ক্লিনিং মিশনে নেমেছেন, মেহরুনকে বিয়ের দিন দেখেই তিতিরের ভাইকে সবার সামনেই বলেছিলেন এত বড় মেয়ে তোমার ছোট বোন! এখনো বিয়ে হয় নাই! এইটা কোন কথা! সংসারে বউ আনার আগে প্রথমে আপদ বিদায় করতে হয় বুঝলা জামাই।
এই মুহূর্তে একটু পর পর তাদের ফিসফাস আর চাপা হাসির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, মেহরুনের অসুস্থ বাবা মা সব চেয়ে চেয়ে দেখছে, ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস তাদের নেই।

দু চোখের জল ফেলতে ফেলতে মেহেরুন ভেবেচিন্তে দেখলো যেহেতু ও একটা চাকরি করে; আর সামনেই অনার্স ফাইনাল; কাজেই অফিসের কাছাকাছি কোন আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে উঠলে ভালো হবে আপাতত।

মেহরুন ফোন করে ওর বাবার চাচাতো এক বোনের কাছে, কান্না চেপে অনুরোধের গলায় বলে ফুপু আপনাদের বাসায় কি কয়েকদিনের জন্য আমাকে থাকতে দেয়া যাবে?

অপর পাশ থেকে সন্দেহ ভরা কণ্ঠে তিনি বললেন
- তোমাদের নিজেদের বাড়ি থাকতে আমার এখানে থাকতে চাইছো কি ব্যাপার বলোতো?
- বাসা থেকে অফিস অনেক দূরে হয়ে যায় তো; রোজ এত লম্বা জার্নি করে অনেক টায়ার্ড লাগে এইজন্য।
উনি উত্তর দেন একদম স্ট্রেইট, আগে কখনো এভাবে ওর সাথে কথা বলেননি সে, বললেন ওই কথাগুলোই যা মেহরুন এই মুহূর্তে কোনভাবেই শুনতে চায়নি।
- কিন্তু আমার বাসায় তো তোমাকে থাকতে দেয়া যাবেনা, বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে তুমি, এই রকম একজনকে থাকতে দেয়া ঝামেলা, তাছাড়া তোমার ভাই না শুনলাম বিয়ে করেছে, নিজে বিয়ে করলো তোমাকে বিয়ে দিতে পারলো না ? তোমার জন্য কি বিয়ের প্রস্তাব আসে না, বিয়ে করবে না নাকি? চাকরি করলেই হবে?
- বিয়ে করবো ফুপি, একটু সময় লাগছে, বিয়ে করবো না এরকম তো না,
- কি জানি বাবা! আচ্ছা রাখি চুলায় ভাত বসিয়েছি পুড়ে যাচ্ছে, বলেই ফোন কেটে দেয় সে। এরপর আরো বেশ কয়েকজন আত্মীয়ের কাছে ফোন করে।
কিন্তু কেউ পজিটিভ কিছু বললো না, মেহরুন ফোনটা হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে রইলো। কোথাও জায়গা নেই। চারপাশে কত বড় বড় বাড়ি, ওর জন্য কোনো ঘরের দরজা খোলা নেই।
এইসব আত্নীয় মেহেরুনদের বাসায় প্রায়ই আসতো মাসব্যাপী থাকতো, কারো হসপিটাল ওদের বাসা থেকে কাছে, কেউ চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে, কেউ বেড়াতে।

ভাবতে ভাবতে ঘরের বাইরে ফেলে দেয়া ওর জিনিসপত্র গুলো ওদের বাড়ির একটা পরিত্যাক্ত রুমে তুলতে থাকে, আজ থেকে ওখানেই থাকবে, তবু এই বাড়ি ছেড়ে আপাতত কোথাও যাওয়া যাবে না, তখনো পাশের ঘর থেকে ভাইয়ের গালাগালি শোনা যাচ্ছে "স্টুপিড মেয়ে ওর বয়স কতো হইছে! এইসব বোন থাকার থেকে মরে যাওয়া ভালো।

পাঁচটা বছর কেটে গেছে।
সময় বদলেছে, মেহেরুনের বিয়ে হয়েছে সেই ঘটনার চার মাস পর অসম্ভব ভালো মনের একজন মানুষের সাথে, মেহরুনের শশুর শাশুড়ি আর ওদের ছেলে মাহিনকে নিয়ে ওদের সুখের সংসার।

তবে মেহরুনের মনে সেই দিনের স্মৃতি রয়ে গেছে আজো ধুলোপড়া পুরনো বইয়ের পাতার মতো। আজও কখনো কখনো রাতে ঘুম ভেঙে যায়; মনে পড়ে সেই ঠুনকো অজুহাতে ফিরিয়ে দেয়া আত্মীয়দের মুখ, ভাইয়ের গালাগালি, ভাবীর মুখ লুকানো হাসি, কি দোষ করেছিলো ও। ঘটনাটা প্রায়ই মেহেরুন ওর স্বামীর কাছে বলে, ওর স্বামী মুখে কিছু না বললেও মেহেরুনের সেই কষ্টের জন্য সেও ব্যথিত হয় তা বোঝা যায় তার বেদনাক্লিষ্ট চেহারা দেখে।

এক দুপুরে, প্রচণ্ড গরমে জানালার পর্দা আলতো করে সরিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল মেহেরুন, মোবাইলটা হঠাৎ বেজে উঠলো। স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ভাইয়ের নাম।

ওর বিয়ের পর এই ভাইটা ওকে খুব একটা ফোন দেয়নি, পুরাতন অপরাধ বোধ থেকে হোক আর অন্য কোন কারনেই হোক, সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, ওদের বাবা মা বড় ভাই ভাবীর সাথে থাকে চিটাগাং।

শুনেছে এই ভাই চাকরি হারিয়ে বেকার অনেক দিন, বাবার সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারাও হয়েছে, ছোট ভাইয়ের যা ভাগে পেয়েছিল সব বিক্রি করে খেয়ে তাও শেষের পথে, মানে সম্মানহীন অভাবে টানাপোড়েনে টেনেটুনে চলছে তার সংসার।

ফোন ধরল‌ মেহরুন
- হ্যালো?
ওপাশ থেকে ভাইয়ের কাঁপা কাঁপা কণ্ঠ,
-মেহরুন, কেমন আছিস? তুই কি বাসায় আছিস? জরুরি দরকার ছিল একটু।
- কি হয়েছে ভাইয়া?
- তোর ভাবীর ডেংগু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম দুইদিন হলো। আজ ডাক্তার বলতেছে অবস্থা ভালো না, প্লাটিলেট কমে গেছে। তুই যদি একটু আসতি, আমি একা, তোর ভাতিজা রনকে একা রেখে এসেছি বাসায়, ঐদিকে কখন কি হয়ে যায়,
- কেনো ভাবীর মা তোমাদের সাথে থাকেন না,
- উনি উনার বাড়িতে ফিরে গেছে, ছেলের সাথে থাকে এখন, যতদিন দিতে পেরেছি ভালো ছিলাম, এখন দিতে পারি না করতে পারিনা তাই খারাপ মেয়ে জামাই হয়ে গেছি।
এইদিকে তোর ভাবির ওয়ার্ডে আমি যেতেও পারিনা, মহিলা ওয়ার্ডে যখন তখন পুরুষ ঢুকতে দিতে চায় না, আজ তো অবস্থা খারাপ, ওরা বলছে আই সি ইউ তে ট্রান্সফার করবে, টাকা পয়সার ও সমস্যা,কি যে করবো আমি একা একা।
সব শুনে মেহরুন হালকা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
- ঠিক আছে ভাইয়া। তুমি চিন্তা করো না। আমি আসছি।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পৌঁছে মেহেরুন থেমে গেল এক মুহূর্ত। চারদিকে সাদা আলো, উল্টোপাল্টা দৌড়াদৌড়ি, ভয় আর আতঙ্ক ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে। বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো। তবু নিজেকে শক্ত করে এগিয়ে গেল।

ভাই চোখে মুখে আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল করিডোরে। মেহরুনকে দেখেই ছুটে এল,

- তোর ভাবীর অবস্থা ভালো না রে। প্ল্যাটিলেট ভয়ানক কমে গেছে। এখনই দেয়া না গেলে বড় বিপদ হয়ে যাবে।
আমার রক্তের গ্রুপ তো ভাবীর সাথে মিলে।
- হ্যাঁ জানি ঐ জন্যই ফোন করেছি তোকে, ফোনে বলতে সাহস পাইনি,
-এখনই প্লাটিলেট দেবো ভাইয়া। চিন্তা করো না।

হাসপাতালের নার্সরা দ্রুত ওকে নিয়ে গেলো ব্লাড কালেকশন ইউনিটে। সাদা দেয়াল, হালকা স্যালাইনের গন্ধ সব মিলে এক ভয়ের পরিবেশ। মেহেরুন চুপচাপ শুয়ে পড়লো চেয়ারে। নার্স রেডি করলো সবকিছু।

সুঁই ঢোকানোর সময় হালকা একটু ব্যথা লাগলো,
রক্তের ব্যাগে ধীরে ধীরে তার শরীরের উষ্ণ প্লাটিলেট জমা হতে থাকলো।
যখন দেয়া শেষ হলো, নার্স বললো,
- আপনি বিশ্রাম নিন।
মেহরুন শুধু মৃদু হাসলো।
ভাই এসে পাশে বসলো, কৃতজ্ঞতায় কাঁধে হাত রাখলো।
- তুই না থাকলে আজ... জানি না কী হতো।
মেহরুন আরো পাঁচদিন হাসপাতালে গেলো একটানা, ভাবীর যত রকম প্রয়োজন ওয়াশ রুমে আনা নেয়া করা, কাপড় চেঞ্জ, ক্লিনিং, খাবার খাওয়ানো বাসা থেকে ভাইয়ের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া, এর ভেতর ভাইয়ের ছেলে রনকে ওর বাসায় এনে রেখেছে।
ডাক্তার আউট অফ ডেঞ্জার ঘোষনা শেষে; হাসপাতালের তিরিশ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করে; ভাবীকে বাড়ি পৌঁছে; প্রয়োজনীয় বাজার ওষুধ পত্র কিনে, ভাইয়ের হাতে আরো দশ হাজার টাকা দিয়ে, তারপর সন্ধ্যায় মেহেরুন ওর নিজের বাসায় ঢুকলো নিঃশব্দে।

ক্লান্ত শরীর নিয়ে দরজা লাগিয়ে সোজা নিজের ঘরে ঢুকে পড়লো। কোন শব্দ না করে ব্যাগটা একপাশে রাখলো। জামাকাপড় বদলানোরও শক্তি ছিল না। বিছানায় চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পড়লো ।

ওর হাসবেন্ড পাশের রুমে টিভি দেখছিল। সে টের পেয়েও জানতে চাইল না, এই কয়দিন সে সব দেখেছে কিন্তু মেহরুনকে কোন বাঁধা দেয়নি। এমনকি যখন হসপিটাল বিলের কথা জানালে বিনা প্রশ্নে সাথে সাথে পাঠিয়ে দিয়েছে ওকে।

বিছানার চাদরের ভাঁজে মুখ লুকিয়ে মেহরুন চোখ বন্ধ করলো। একটা অদৃশ্য ভার মাথার ওপর নেমে গেলো।
চোখের কোণে জমে থাকা শেষ বিন্দু জলটুকু বিছানার চাদরে মিশে গেল।
মনে হলো, জীবনের সবচেয়ে কঠিন প্রতিশোধ ও হয়তো নিতে পেরেছে।

মেহরুনের হাজবেন্ডের উপস্থিতি টের পেলো ও, ধীরে ধীরে ভেতরে এসে মেহরুনের পাশে বসলো। মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে দিল, কিছু বলল না, ঘরের বাইরে তখন নীরব রাত নেমে এসেছে। দূরে কোথাও একটা কুকুর ডাকছে। জানালার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়েছে রুপালি চাঁদের আলো। ( সমাপ্ত)
ছবিঃ নেট

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৯

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: মেহরুনের জায়গায় আমি হলে মোটেই তাদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখতাম না। সোজা ব্লক!
আমার জীবনের রুলস একেবারে সিম্পল। যে আমার সাথে ভাল তার সাথে আমি তাদের থেকেও ভাল আর যে আমার সাথে খারাপ তার সাথে তার থেকেও খারাপ।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১২:০৫

সামিয়া বলেছেন: আপনি যা বলেছেন তা আপনজনের সাথে কি আদৌ করা যায়?? নিজের পরিবার পরিজন ভাই-বোন? তাছাড়া মেহরুনের ভাই ভাবী ধ্বংস প্রায় বিপদগ্রস্ত মানুষ এদের সাহায্য না করে ব্লক করে দিলে নিজেই নিজের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হতো বাকি জীবন।

৩| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৭

শায়মা বলেছেন: সুন্দর গল্প!
তবে মেহরুনের উচিৎ ছিলো আসলেই অন্য কিছু! :)

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৯

সামিয়া বলেছেন: বাস্তবতাকে তুলে ধরতে চেয়েছি আপু, সবাই তো চাইলেও অন্য কিছু করতে পারে না, অন্তত কাছের মানুষগুলোর সাথে।

৪| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:


নারীদের বিষয়ে অনেক অনেক বিষয় আছে যা একজন নারী আরেকজন নারী সম্পর্কে বলবেন। সেইখানে কোনো পুরুষ কিছু বলা অবান্তর, অবাস্তব। আপনার লেখাতে ভাবী ও ভাবীর মায়ের প্রসঙ্গ এসেছে। ভাবী হচ্ছে কোনো বাড়ীর বউ আর কোনো বাড়ীর মেয়ে, আর ভাবীর মা - তিনিও কোনো বাড়ির মেয়ে কোনো বাড়ির বউ। অধিকাংশ তালাকের পেছনে আসলে কে দায়ী? আজ আপনাদের দুইজনের লেখাতে একজন আরেকজনের লেখার কারণ ভালো মন্দ সমস্যা সব এইখানেই।

আমরা যারা অন্যের লেখা পোস্ট পড়ি তখন দেখতে চাই তিনি কি লিখেছেন। কেনো কোথায় কি হতে কি হয়েছে ও গল্পের কারণ? ব্যখ্যা আপানাদের উভয়ের পোস্ট জোড়াতালি দিয়ে সমস্যা ও কারণ পাওয়া যায়। এখন আপনারা যারা গল্প লিখেছেন, লেখক হিসেবে সমাধান আপনাদের কাছে থাকার কথা।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

সামিয়া বলেছেন: আমার গল্পটার পেছনে তালা অথবা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে মা কিংবা কতটা ক্ষতিকারক এই ধরনের কোন কিছুই হাইলাইট করিনি, আমি গল্প লিখেছি একটা মেয়ে বিপদে পড়লে সমাজের সবাই কিভাবে তাকেই উল্টা দোষ দেয়, সাহায্য করার পরিবর্তে কথা শোনায়, আবার নিজের ভাই কিভাবে শাশুড়িকে প্রায়োরিটি দিয়ে নিজের ভালো-মন্দ বোঝার মাথা খেয়ে বোনকে বিপদে ফেলে। আবার সেই বোনের কাছেই যখন সেই ভাই সাহায্যের জন্য যায়, সেই বোনটি সব কিছু ভুলে ভাই কে ভাইয়ের বউকে সাহায্য করে, কেননা তাদেরও একটা সন্তান আছে, সম্পর্কে সে মেয়েটির ভাতিজা। তার নিরাপদ জীবনের জন্য হলেও ক্ষমা পায় তার ভাই ভাবি। এই সব বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি।

৫| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ২:০৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মেয়েদের জন্য পৃথিবীর কোন সমাজই নিরাপদ নয়।

গল্প ভালো লেগেছে।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫১

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৩:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আরো ভালো হতে পারতো।
গল্পে +++

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫২

সামিয়া বলেছেন: মোটামুটি টাইপ যে লিখতে পারি এতেই আমি খুশি। :) থ্যাঙ্ক ইউ

৭| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৩:১৩

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। অনেক বোনের সাথে ভাইরা এমন ব্যাবহার করে। একেবারে বাস্তব। আবার তার কাছেই প্রয়োজনে চাই । এরকম ভাই আমি নিজে দখেছি। আমি যদি হতাম তবে সেই ভাইকে হেল্প করলেও দরকার মতো সে কি করেছে তা শুনিয়ে দিতাম । তার উপর থেকে সব বিশ্বাস উঠিয়ে নিতাম। বাস্তব খুব কঠিন।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

সামিয়া বলেছেন: মেহেরুন যে বিশ্বাস এখন তাদের উপরে রেখেছে তা কিন্তু নয়। মেহরুনের বিশ্বাস উঠে গেছে। পরাজিত মানুষকে আর কি কথা শোনাবে ! সেজন্য হয়তো কথা শোনায় নি, কিছু ক্ষেত্রে নীরবতাই সবথেকে বড় প্রতিশোধ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন

৮| ০২ রা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব গল্প।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০২ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.