![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডায়রিটা হাতে এসেছিল অনেক আগে, ২০০৭ সালে। আমার বোন যখন বাসা বদলেছিল তখন নতুন বাসার একটা ঘরের কোণে জমে থাকা পুরানো পত্রিকা আর ম্যাগাজিনের গাদার মাঝে সেটাও ছিল। ডায়রির মালিক কে জানা নেই। ব্যক্তিগত তথ্যে তিনি শুধু নিজের নামটাই লিখেছিলেন, গোপনীয়তা রক্ষা করতেই বোধহয় (পরে যে ওনার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে বা ওনার ডায়রি পড়ে ওনার সম্পর্কে জানতে পারিনি তা না, তবে সেই বৃত্তান্তে যাবনা)। ডায়রি একান্তই ব্যক্তিগত জিনিস, হুট করে কারও ডায়রি পড়া উচিত ও না। কিন্তু অচেনা- অজানা একজন মানুষের ডায়রির পাতায় লুকিয়ে থাকা রহস্যের হাতছানি উপেক্ষা করা কঠিন ছিল। তাই পড়ে ফেলেছিলাম সেই দিনলিপি। আজকি বহুদিন পর সেই ডায়রি উল্টে-পাল্টে দেখছিলাম, তখন মনে হল এর একটি অংশ এখানে তুলে ধরা যায়...কিংবা বলা উচিত তার চিন্তা- ভাবনার এই দিকটি তুলে ধরা জরুরি।
8 August 2004
Sunday
12:10 a.m.
Dear diary,
আজকে মন ভাল নেই। খুব অস্থির লাগছে। আমি আসলে ক্লান্ত...আমার আশেপাশের মুখোশধারী মানুষদের দেখতে দেখতে ক্লান্ত। আজ হঠাৎ কিছু ঘটনা আমায় নতুন করে ভাবাচ্ছে, নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে পুরানো ঘটনা। মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই মানুষটার কথা, যে বাসায় স্ত্রীর ওপর শারীরিক- মানসিক নির্যাতন করত, অথচ বাইরে গিয়ে কথা বলত নারীমুক্তির। তার প্রতিটা কথায় কী প্রবল আত্মবিশ্বাস! কে বলবে যে সেসবের কিছুই তার ভেতর থেকে আসেনা!
কিংবা আমার সেই বন্ধু, যার সাথে আমার হয়ত বন্ধুত্বের চেয়ে বেশি কিছু ছিল। মনে পড়ে তার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা, তার কথা শোনা...। ঘুণাক্ষরেও জানতে পারিনি যে কী পরিমাণ মিথ্যা সে আমায় বলেছে...নির্দ্বিধায, নির্লিপ্তভাবে। কী নিপুণ তার মিথ্যা বলার কায়দা! মুখোশের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে সে আমার সামনে এসেছিল, আজও জানিনা তার আসল চেহারা কোনটা। বিশ্বাসভঙ্গ হলে কেমন লাগে তা আমি সেদিন প্রথম জেনেছিলাম। এদেরকেই কি বলে হিপোক্রেট?
মনে পড়ছে আমার কলেজের সেই বান্ধবীর কথা, যে পুরো ক্লাসটা হাসি- ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখত। যাকে কখনো গোমড়া মুখে দেখিনি সে একদিন ক্লাস শেষে আমার কাঁধে মাথা রেখে আমার জামার ডান দিকটা চোখের জলে ভিজিয়ে দিয়েছিল। বাসার রোজকার অশান্তি আর বাইরে এসে এই খুশি থাকার একঘেয়ে ক্লান্তিকর অভিনয় যে ওকে দিয়ে আর হচ্ছিলনা...। সচক্ষে যা দেখি তা আমরা সহজেই বিশ্বাস করি। কিন্তু যা দেখি তার সবটাই কি সত্যি?
আমি ভেবেছিলাম যে এসব কথা ভুলেই গেছি...কিন্তু এখন দেখছি দিব্যি মনে আছে...আজকের ছোট্ট ঘটনাটা বন্ধ দরজা খুলে সব বের করে আনল। সে ঘটনার কথা তোমাকে জানাতেই কলম হাতে বসা..অথচ কেন জানি লিখতে খুব বাঁধছে...মাঝপথে থেমে যেতে চাইছে কলমটা। সব কথা বোধহয় জানানোর জন্য না। থাক নাহয়, এ কথাটা আমার নিজের কাছেই থাক...। ভাল থেক, পরে লিখব আবার, কোন একদিন। আপাতত বিদায়...।
(না, কোন ডায়রি আমার হাতে আসেনি। আমি সহজেই বলতে পারতাম উল্লিখিত সব ঘটনা ও চরিত্র কার্ল্পনিক। কিন্তু এমনও তো হয, তাইনা...)
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
আনিকা শাহ বলেছেন: হা হা! করলাম আরকি একটু নাটক...
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ভালোইতো গল্প বানাইছেন
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
আনিকা শাহ বলেছেন: থ্যাংকু
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন: থ্যাংকু না দিয়া ধইন্যাপাতা....
তাতে লাভ হৈবেক
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৫
আনিকা শাহ বলেছেন: ধইন্যাপাতা...পুরা এক কেজি, এবার খুশি?
৪| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
সুতরাং বলেছেন: আনিকা, ভালো লাগছিল পড়তে। তবে সেই বন্ধুটির কথা, বান্ধবিটির কথাও (এই দু'টি চরিত্রের মধ্যে যে গল্পের ঈঙ্গিত আছে-তা) পড়তে চাই।
আর শেষের ব্রাকেটবন্দি লাইন দু'টি না থাকলেই বরং ভালো হতো। ভেবে দেখবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:২৬
আনিকা শাহ বলেছেন: সেই বন্ধু আর বান্ধবীর কথাও লিখব নাহয়...শীঘ্রই।
ব্র্যাকেটবন্দী লাইন দুটো আমিও ভেবেছিলাম যে দেবনা...কিন্তু কেমন কেমন জানি লাগল। তবে যদি গল্প এগিয়ে নেই তাহলে ওটুকু উঠিয়ে দেব।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:১৮
ভাঙ্গন বলেছেন: সুন্দর!
গল্পটা যদি আরেকটু টেনে নিতেন!
২৮ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:০১
আনিকা শাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...গল্প...দেখি, টেনে নেওয়া যায় কিনা।
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০২
বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা...........
২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৩০
আনিকা শাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ (নাকি ধইন্যাপাতা?!)।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫২
জয় সরকার বলেছেন: সুন্দর লেখা । ডায়রীর নাটকীয়তা করার দরকার কী ছিল?এত সুন্দর লেখা এমনিতেই ভালো লাগে।এর জন্য নাটকীয়তা লাগেনা।