![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
শেখ হাসিনা সবসময় তেলবাজ সাংবাদিকদের দ্বারা বেষ্টিত থাকতেন। তেলবাজ নেতাকর্মীরাও বোধহয় তার পছন্দ ছিল। দেশে কী হচ্ছে, না হচ্ছে, সে সম্পর্কে তার ধারণাই ছিল না। সামান্য কোটাবিরোধী আন্দোলন উনার পক্ষে সামলানো কোনো বিষয়ই ছিল না।আন্দোলনটাতে যে তৃতীয় একটা পক্ষ ঢুকে গেছে, এটা উনি বোঝেছিলেনও, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেননি। ধরাকে সরা জ্ঞান করলে যা হয় আর কী! উনার এত এত নেতাকর্মী; এদেরকে যদি শুরু থেকেই মাঠে নামিয়ে রাখতেন আর পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে সেদিকে সতর্ক নজর রাখতেন, তাহলে তার এমন পরিস্থিতি হতো না। উনার আফসোস কি মরার আগে কমবে?
যাহোক, শেখ হাসিনা নেই, কিন্তু তার অনেক নেতাকর্মী দেশে রয়েছে, সমর্থক রয়েছে যারা তার জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আর দুধের মাছিরা সব পালিয়েছে। এই যে নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা, এরা আসলে কী পান? বিএনপিকে শেখ হাসিনা ১৬ বছরে পিষে মেরেছেন। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে জেল খাটেনি। শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলেন একবারও কি মনে হয়নি উনি একসময় থাকবেন না, তখন দলের কী হবে? মনে হলে নিশ্চয়ই বিকল্প কাউকে রাখতেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগকে সুদে-আসলে পুষিয়ে দিচ্ছে। তবে তারাও আওয়ামী লীগের মতো টাকা খেয়ে হাইব্রিডদের দলে সুযোগ দিচ্ছে। গণেশ উল্টে গেলে এরা পল্টি নেবে বলাই বাহুল্য। বর্তমানের সরকারে এমন অনেকেই আছেন, যারা আওয়ামী লীগের গুণগ্রাহী ছিলেন, গিরগিটির মতো রঙ বদলে ফেলেছেন। বিএনপির অনেকে ১৬ বছর জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, এখন তেমন সুবিধা করতে পারছেন না হাইব্রিডদের ভিড়ে।
চাঁদাবাজদের হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি কমেনি। জমিদখল-সন্ত্রাস কমেনি। যে বাক-স্বাধীনতার তোয়াজ তুলে আওয়ামী লীগের মুণ্ডুপাত করা হয়েছে, এখন বাক-স্বাধীনতার মায়রে বাপ হয়ে গেছে। আজকেও কয়েকজনের চাকরি গেল ২৪ নিয়ে প্রশ্ন করায়। এখন ৭১ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে, শহিদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে, কিন্তু ২৪ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। তুললেই চাকরি তো যাবেই, গণপিটুনিতে মরতে হবে। শেখ হাসিনার অপরাধ জামায়াতের চেয়েও বেশি মনে হয়। যারা দেশটাই চায়নি, তারা এখন স্বাধীনতা শেখাচ্ছেন। ৭১ এর কথা স্মরণ করলে যারা লজ্জা পান, তারা এখন বড় যোদ্ধা।
আজকে অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করা হলো। শেষে পুলিশে সোপর্দ। তার অপরাধ কী ছিল? সে কয়টা খুন-ধর্ষণ করেছে? অথচ দেশের বড় বড় অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে, সেদিকে খবর নেই। শুধু আওয়ামী লীগ করলেই দোষ। মনে হয় সব অপরাধ এখনও আওয়ামী লীগই করে যাচ্ছে।
তোষামদি এখনও হচ্ছে, অপরাধও হচ্ছে, কিন্তু হইচই নেই। রাখাইনকে করিডোর দেওয়া নিয়েও হইচই নেই, নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ নিয়েও হইচই নেই। আসলে যা বুঝলাম, আওয়ামী লীগকে সবার সাথে লড়তে হয়েছে, এখন সবাই মিলে খাচ্ছে, আর লড়ছে এক আওয়ামী লীগের বিপক্ষে। সবার কমন শত্রু আওয়ামী লীগ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কোটা আন্দোলন আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও যেসব ছেলে-মেয়েরা জীবন যৌবন নষ্ট করে ফেলছে (মামা-খালু নাই) তাদের জন্য অনেক বড়ো সমস্যা ছিল। আমি ওই সেন্সে বলিনি। আসলে এই দাবি মেনে নেওয়া যেত। এতে দলটি এত বিপদে পড়ত না। এটা বুঝিয়েছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের অনেক লোকও ছিল। আওয়ামী লীগ গোয়ার্তমি করে বাঁশটা খেল।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২২
যামিনী সুধা বলেছেন:
ইহা কোটা আন্দোলন ছিলো না, ইহা বিপ্লব ছিলো না; ইহা ছিলো আমেরিকান ক্যু; ক্যু'টাকে এমনভাবে ডিজাইন করেছে যে, ইডিয়টরা ইহাকে যেন টের না পায়।
দেশের মালিক এখন আমেরিকান দুতাবাস, ওরা কোরিডোর দিতে বাংগালীদের অনুমতির জন্য বসে নেই; ওরা ড: ইউনুসকে নির্দেশ দিচ্ছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শেখ হাসিনা নিজেও বুঝেছিলেন এটা কোটা আন্দোলন ছিল না, এটা বিপ্লব ছিল না। কিন্তু বিষয়টা যে বিপদজনক দিকে যাচ্ছে, সেটা সামলানোর মতো জোরালো পদক্ষেপ উনি নেননি। গা ছাড়া ভাব নিয়ে ছিলেন। অথচ শুরুতে এই আন্দোলন সামলানো ওয়ান-টুর ব্যাপার ছিল।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @যামিনী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বড়ো ইডিয়ট তাই পাচ শতাংশ ভোট না পড়ার পরও কোটা সংস্কার করতে গিয়েছে। আজকে যা যা হচ্ছে এর জন্য শেখ হাসিনা অনেকাংশে দায়ী। সকল পরাশক্তিকে খেলাধুলা করার জন্য বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যখন সৌদি যুবরাজ সালমান কে এক ঘরে করে দেয়া হয়েছিলো তখন আপনার নেত্রী সবার আগে সৌদি সফর করেছে। কোনো লাভ হয়েছে এতে? সৌদি আরব এখন বলছে তারা শেখ হাসিনার আমলে দেশে বিনিয়োগ করতে পারে নাই। এভাবে রাশিয়া, চীন সবাই বলছে !
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জলে নেমে কুমিরের সাথে বিবাদ করতে নেই। এটা শেখ হাসিনা ভুলে গিয়েছিলেন।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " ...কিন্তু বিষয়টা যে বিপদজনক দিকে যাচ্ছে, সেটা সামলানোর মতো জোরালো পদক্ষেপ উনি নেননি। গা ছাড়া ভাব নিয়ে ছিলেন। অথচ শুরুতে এই আন্দোলন সামলানো ওয়ান-টুর ব্যাপার ছিল। "
-সময় লাগবে, এক সময় বুঝতে পারবেন যে, আমেরিকানরা যখন ক্যু করে, তারা এটা েমনভাবে করেছে যে, যাতে ৩য় বিশ্বের লোকজন ইহাকে থামাতে না পারে। আওয়ামী লীগের যারা রাস্তায় লোক নামাতে পারতো, দুতাবাস মিলিটারীকে ব্যবহার করে, ওদেরকে ভয় দেখায়ে দেশ ছাড়া করেছিলো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমেরিকার সাথে লাগতে গিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছিলেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলন সামলাতে পারলেও একসময় না একসময় আমেরিকার হাতে পরাস্ত হতেন তিনি।
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা কেমন খারাপ কাজ করেছে তার জাস্ট একটা উদাহরণ দেই: ৪৬ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন কিনে ঘণ্টাখানেক আগে পড়ে প্রিলিম পাস করেছে। চ্যানেল ২৪ এ নিউজ হলো। সিআইডি প্রমাণ পেল কিন্তু পিএসসি নাকি তদন্ত করে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পায় নাই ! জাস্ট চিন্তা করেন সিআইডি বলার পরও বাতিল হলো না। তখন পোলাপানের মাথা ভয়ংকর গরম ছিলো। যা পতনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
এরপর আসলো ইন্টেরিম সরকার। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আবার সামনে আসলো। কিন্তু সারজিস আলম ৪৬ তম প্রিলিম পাস করাতে সে বাতিলের বিপক্ষে ছিলো। সব পক্ষকে ম্যানেজ করতে গিয়ে আবার নতুন করে দশহাজার পাশ করালো ! সেটা প্রায় ছয় মাস আগে। সামনের মাসের ৮ তারিখ সেটার রিটেন হওয়ার কথা। শুরু হলো আবার আন্দোলন ! আসিফ মাহমুদ নিজের উপর ওঠা বদনাম ঢাকতে পিএসসির চেয়ারম্যান কে দিলো ফোন যাতে এক্সাম স্থগিত হয়ে যায়। অথচ পিএসসি একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। যার স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা আছে। মাত্র ২০-২৫ জন পরিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করে দিলো। এক্সাম কবে হবে এখন কেউ জানে না।
যদি সিআইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪৬ বাতিল করে দিতো আজকে এত কিছু ঘটতো ? ইন্টেরিম সরকার অনেক ক্ষেত্রে হাসিনার লিগেসি বহন করছে যা হতাশাজনক।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওই তো গায়ে বাতাস লাগিয়ে চলছিল আওয়ামী লীগ। লোকজনের মনস্তত্ত্ব বোঝার তাগিদ অনুভব করেনি।
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:১৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমেরিকার সাথে লাগতে গিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছিলেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলন সামলাতে পারলেও একসময় না একসময় আমেরিকার হাতে পরাস্ত হতেন তিনি।
-উনি পরাস্ত হয়েছেন, নাকি স্বাধীনতাকামীরা পরাস্ত হয়েছে?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:১৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ৭১ এর স্বাধীনতাবিরোধীরাও তো ২৪ এর স্বাধীনতাকামী ছিল। আপনি কোন স্বাধীনতাকামীর কথা বলছেন?
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৫০
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: প্রশ্ন একটা যারা এখন আছে তাদের হাতে দেশ কি নিরাপদ ? দেশে সেই আগের মতো চাঁদাবাজি ,করাপসান ,টেন্ডার বাজি সব চলছে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ যারা এন্টি-আওয়ামী লীগ তাদের দৌড়ের উপর রেখেছিলো। এখন নিজেরা দৌড়ানি খাচ্ছে। কোটা আন্দোলন আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও যেসব ছেলে-মেয়েরা জীবন যৌবন নষ্ট করে ফেলছে(মামা-খালু নাই) তাদের জন্য অনেক বড়ো সমস্যা ছিলো।