| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
হিউম্যান রির্সোস অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট কানাডা (এইচআরসিডিসি) অর্ধ মিলিয়নের বেশি কানাডিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্যভাণ্ডার হারিয়ে ফেলেছে। কম্পিউটারের বহনযোগ্য হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত ওই তথ্যভাণ্ডারে ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল সময়কালে কেন্দ্রীয় সরকারের কানাডা স্টুডেন্ট লোনস প্রোগ্রামের (সিএসএলপি) আওতায় লাখ লাখ কানাডিয়ানের নেওয়া ঋণ-সম্পর্কিত গুরত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষিত ছিল। তবে ব্যাংকিং ও চিকিৎসা-বিষয়ক ব্যক্তিগত কোনো তথ্য খোয়া যাওয়া হার্ডড্রাইভে ছিল না। লাখ লাখ কানাডিয়ানের ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মনে করছেন, খোয়া যাওয়া ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ কোনো পক্ষ নেতিবাচক কাজে ব্যবহার করলে ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এইচআরসিডিসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা কীভাবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তথ্যভাণ্ডার হারিয়ে ফেলল, তা তদন্তের জন্য রয়েল মাউন্টেড কানাডিয়ান পুলিশকে (আরসিএমপি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমিশনারের পক্ষ থেকেও ঘটনাটি পৃথকভাবে তদ›ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এইচআরসিডিসির বহনযোগ্য হার্ডড্রাইভটিতে পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার সিএসএলপি ঋণগ্রহীতার নাম, সোশ্যাল ইনস্যুরেন্স নম্বর, জন্মতারিখ, যোগাযোগের ঠিকানা, ঋণ স্থিতির যাবতীয় হিসাব ছাড়াও এইচআরসিডিসিতে কর্মরত ২৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষিত ছিল। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত তথ্য খোয়া যাওয়ার তালিকায় থাকলেও কুইবেক, নুনাভাট এবং নর্থওয়েস্ট টেরিটরির কোনো ঋণগ্রহীতার তথ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
মানবসম্পদ মন্ত্রী ডায়ানে ফিনলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার খোয়া যাওয়ার ঘটনায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আরসিএমপিকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। কয়েক লাখ কানাডিয়ানদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য সরকারি একটি সংস্থা হারিয়ে ফেলার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, ভভিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের বেশ কিছু নির্দেশনা তাৎক্ষনিকভাবে বাস্তবায়নের আদেশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এইচআরসিডিসিতে বহনযোগ্য হার্ডড্রাইভে তথ্য সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা, তথ্য সংরক্ষণ ও সন্নিবেশনের আগেই সেসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তথ্য খোয়া গেলে তা অন্য কোনো পক্ষ যাতে ব্যবহার করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা এবং কর্তব্যে অবহেলাকারীকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।
এদিকে কানাডার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমিশনারের মুখপাত্র স্কট হাচিসন বলেছেন, এ মুহূর্তে তথ্যভাণ্ডার হারিয়ে ফেলার ফলাফল নির্ধারণ করা কঠিন। তবে এত বিশাল পরিমান কানাডিয়ানের বক্তিগত তথ্য খোয়া যাওয়া গুরুতর সংকট সৃষ্টি করতে পারে। অন্য কোনো মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষিত না থাকলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিরও আশংকা রয়েছে।
কানাডিয়ান ফেডারেশন অব স্টুডেন্টের চেয়ারম্যান অ্যাডাম আওয়াদ লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে ফেলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থার কাছ থেকে কানাডিয়ানদের নানা ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য খোয়া যাওয়াও বোঝা যায়, কানাডিয়ানদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। সরকার নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
২|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯
বিডি আইডল বলেছেন: দাদা কেমুন আছেন? বেঙ্গলি টাইমস কি লুকজন পড়ে এখন??
৩|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
আলুমিয়া বলেছেন: who cares?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯
কবি মনির বলেছেন: আমাদের কি। নিজের পাছা বাচানো সর্বাগ্রে।