| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
দিল্লির লালকিল্লা একদিন ছিল যাদের ঠিকানা, সেই মুঘল সম্রাটদের অধস্তন বংশধরদের আজ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয় সেই কিল্লায়। তিন শ’ বছরের মুঘল সাম্রাজ্যের ঝলমলে দিনগুলো আজ ওদের কাছে শুধুই ইতিহাস। ময়ূর সিংহাসন, কৌহিনূরের মুকুট, মাথা থেকে পা পর্যন্ত মণি-মুক্ত খচিত রেশমি কাপড় আর অলঙ্কারের স্বর্ণালি দিনগুলো কেবলই বইপত্রে লেখা ধূসর স্মৃতি। মুঘল অধস্তন পুরুষেরা আজ ভারতে সম্পূর্ণ বিস্মৃত পরিবার। দিল্লি থেকে বহু দূরে হায়দারাবাদে একটি ছোট্ট অপরিসর ভাড়া বাড়িতে তাদের বসবাস। ভারতের সাধারণ নাগরিকদের মতোই দিল্লির লালকিল্লা, তাজমহল কিংবা ফতেপুর সিক্রির সামনে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ লাইনে। অথচ ১৫২৬ থেকে যে শাসনের শুরু তারই বিদায় ঘটেছিল ১৮৩৭ সালে এই কিল্লা থেকেই।
‘কেউই আজ জানে না আমরা কারা, কি আমাদের পরিচয়; কোথা থেকে আমরা এলাম’ শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের চতুর্থ অধস্তন বংশধর ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা লায়লা উম্মেহানি খেদোক্তি প্রকাশ করে এ কথা বলেন। আরো বলেন, ‘খুব কম লোকই আমাদের চেনে, সামান্য তাজিমের সঙ্গে কথা বলে। কখনো কখনো আমরা বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাই। ভুলে যাই আমাদের বংশপরিচয় ও মর্যাদার কথা।’ উম্মেহানি ও তার পরিবার জীবিকার লড়াই করে চলেছেন গড়পড়তা আর দশ জন ভারতীয়ের মতোই। হাতির পিঠে চড়ে বেড়ানো মুঘলদের এই বংশধর উম্মেহানির ছেলে মসিউদ্দিন তুকি তরিতরকারি ও অন্যান্য দ্রব্য কেনার জন্য বেবিট্যাক্সিতে করে বাজারে যান। তুকি পেশায় ঐতিহ্যবাহী মুঘল খাবারের বিশেষজ্ঞ। কাজ করেন স্থানীয় একটি হোটেলে চেইনের ফুড কনসালট্যান্ট হিসেবে। তিনি ও তার ভাই জিয়াউদ্দিন তাদের ছেলেমেয়েদের সাধারণ স্কুলে পড়তে পাঠাচ্ছেন। নিজেদের অবস্থার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী (বর্তমানে প্রয়াত) রাজীব গান্ধীকে লিখিলেছিলাম মুঘল বংশধরদের যেন উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন ছিল।’ তার বাবাকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে রিকশা চালিয়ে।
এত দুর্দশার মধ্যেও উম্মেহানি বলেন, ‘মুঘল পরিবারের সদস্য ও বংশধর হিসেবে আমি আজো গর্ব করি। তবে নির্বাসিত সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের করুণ পরিণতির কথা যখন ভাবি তখন ব্যথায় মন ভরে যায়। তাদের এই বিস্মৃতির সূচনা শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর থেকে। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনে বার্মায় (বর্তমানে মিয়ানমার) নির্বাসন দেয়া হয়। নির্বাসনের চার বছর পর তিনি মারা যান।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
২|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০
গরিব বলেছেন: যার শুরু আছে, তার শেষও আছে - ক' দিন আগে আর পরে । এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। আর এতে আছে আমাদের জন্য শিক্ষা ।
৩|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১
আবু শাকিল বলেছেন: আপচুচ।এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম।
৪|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯
শিপন মোল্লা বলেছেন: নিয়তির কি পরিহাস।
৫|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮
বিবেকের দংশনে জাস্টিন বিবার এবং সাঁইবাবার গ্যাংনাম আচার বলেছেন: ![]()
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যার শুরু আছে, তার শেষও আছে - ক' দিন আগে আর পরে । এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম।