| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
ম্যারাডোনাভক্তদের জন্য একটা হতাশার খবর। শুধু ম্যারাডোনাভক্তদের জন্য কেন, হতাশার খবর গোটা ফুটবল দুনিয়ার জন্যও। সেই হতাশার খবরটা হল-অনেক হয়েছে, বাকি জীবনে নিজেকে আর ফুটবলের সঙ্গে রাখছেন না আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার মানে ডাগআউটে আর দেখা যাবে না তাকে। ফুটবলভক্তদের জন্য দারুণ হতাশার খবরটি দিয়েছেন ম্যারাডোনা নিজেই।
কিন্তু কারণটা কী? কিছুদিন আগেই যে ইরাকের কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। হঠাত্ ফুটবলের ওপর হতাশ হয়ে পড়লেন কেন? ম্যারাডোনা জানিয়েছেন, কোচদের ওপর যেভাবে অন্যায় করা হয়ে থাকে তাতেই মন খারাপ তার। পেশাদার ফুটবল বড়ই নির্মম। এখানে সাফল্য না পেলে মুহূর্তেই কোচকে নামিয়ে ফেলা হয় মাটিতে। প্রতিভা, সুনাম-এসবের এখানে কোনো মূল্য আছে বলে মনে করেন না তিনি। আর এ ব্যাপারটাতে তিনি এতটাই হতাশ যে, অভিমানে ফুটবল থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিতে চাইছেন।
কোচ হিসেবে নিজের তিক্ত ঘটনা তো আছেই, ম্যারাডোনাকে খুব বেশি আহত করেছে সাম্প্রতিক সময়ের আরেকটা ঘটনা। আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেটের কোচ আলমেইদাকে বরখাস্ত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই নতুন আরেকজন কোচ নিয়োগ দিয়েছে ক্লাবটি। ব্যাপারটি একেবারেই ভালো লাগেনি ম্যারাডোনার। বলছিলেন, ‘আলমেইদাকে বরখাস্ত করে রোববারের মধ্যে নতুন কোচ র্যামন ডায়াজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রিভার প্লেটে। এটা কোনো কথা হল! আর ফুটবলেই থাকব না আমি।’
কোচ হিসেবে ম্যারাডোনার রয়েছে বাজে অভিজ্ঞতা। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করলেও সেটা সুখের হয়নি একদমই। বাছাই পর্বে খাদের কিনারায় পড়ে থাকা আর্জেন্টিনাকে তিনি নিয়ে যান ২০১০ সালের বিশ্বকাপের মূল পর্বে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এরপর আমিরাতের আল-ওয়াসলের দায়িত্ব নেন ম্যারাডোনা। কিন্তু সেখানেও সময়টা ভালো কাটেনি তার। ১৪ মাসের বেশি টিকতে পারেননি তিনি। ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্সের কারণ দেখিয়ে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট ম্যারাডোনার মতো এক ব্যক্তিত্বকেও ছুড়ে ফেলতে দ্বিধাবোধ করেনি। কিছুদিন আগে ইরাকের কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেও লাভ হয়নি। ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে শেষ পর্যন্ত নেয়নি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি।
কোচ হিসেবে আলো ছড়াতে না পারলেও খেলোয়াড় হিসেবে জয় করেছিলেন একটা শতাব্দী। প্রায় একক প্রচেষ্টাতেই আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। এরপর অনেকটা ভাঙা দল নিয়ে নিজের কারিশমায় ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন আর্জেন্টিনাকে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুটো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে দলকে জেতানোর পর ঘটে যায় সেই অঘটনটি। ডোপপাপে নিষিদ্ধ হন তিনি। তবে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে আজও তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
©somewhere in net ltd.