![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবেলার সাতকাহন
অনীল সুমন
উল্টে দেই, ছুঁয়ে দেই আমার মত
আপন করে গড়ে দেই আবার।
কেন তোমাতে গড়াগড়ি খাই বুকে আসন করে
বাতাসের শাড়ি খুলে শরীর ছুঁয়ে
ট্রেনের জানালায়, ভাঙ্গা কাঁচের পুরোটা দিয়ে-
হাত বাড়িয়ে বাইরে, সুদূর গ্রামে, আরো গ্রামে
কাশফুলের ছাই দিয়ে উড়িয়ে দেই অমোঘ যৌনতা।
কেন তোমাতে ফিরে ফিরে যাই
কেন বারে বার ফিরে ফিরে যায়
শুস্ক বালুময় এবেলার শরীর ও বেলায়!
জানো, তুমি অনেকটা ডালের বড়ার মত
পাখীর নীড়ের মত নয়, গরুর মত তোমার চোখ
চোখের পাড়ে বসে ছিপ ফেলা যায়
দৌড়ানো যায়, শেষ বিকেলে শুয়ে
খুব দুপুরের রোদে ভেজা যায় শার্ট খুলে
ইচ্ছেঘোলা জল ছুঁয়ে মাছ ধরা যায়।
কেন ছাদে যাই তোমার কোল বেয়ে
চুরি করে নিঃশব্দে তোমাকে দেখা
আচার শুকানো তুমি, ঘামময় চোরাবালির বুক।
তোমার বুকেইতো আচার চাষ হয়, খুব প্রাকৃতিক
তবে আলতো প্রাকৃতিক আচার কেন।
আচ্ছা, ভালবাসার আচার হয়, বয়ামে রাখা যায়?
হলে আমি ভরে রাখতাম পচনশীল ভালবাসা
তোর, দস্যি মেয়ের। পচা মেয়ে
খুব পচা মেয়ে তুই, আমাকে ডাকাত বানিয়েছিস
ভরদুপুরে সিধেল চোর নয়, এক লাফে ডাকাত!
তোকে লুট করার মত গোঁফওয়ালা। তুই অমন কেন!
ডাকাতি শেখালি আবার নির্বাসন দিলি লুটের দায়ে,
অল্প তোকে, একটু তোকে। তুই না অসীম
ওটুকুতে কিছু হয় না তুইও জানিস
আমিও জানি, তবুও নির্বাসিত অচীন দ্বীপে,একলা আমি
স্মৃতি সাঁতরে ওপাড়ে আসতে কত কষ্ট হয়,
তোর বুকে ফিরতে খুব হাটতে হয়
কাদামাঠা, অচেনা, অজানা অনেকটা পথ!
©somewhere in net ltd.