নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর কোন ধর্ম কিংবা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির কারণ হয়নি। বকধামিকেরাই কেবল ধমের অপব্যবহার বা বিকৃতি সাধন করে শান্তির বিপক্ষে কাজ করতে পারেন। বাংলাদেশে সিলেটের শাহজালাল, শাহপরান, খুলনার খানজাহান আলী, চট্টগ্রামের বারো আউলিয়া কিংবা বাইরের রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, স্বামী বিবেকানন্দ, গৌতম বুদ্ধ, লোকনাথ ব্রহ্মচারী—তাঁরা কেউ বিশৃংখলা সৃষ্টি বা সম্প্রীতি নষ্টের কারণ হননি, মানুষের শান্তি নিশ্চিতকরণে সংগ্রাম করেছেন। অথচ এই ধর্মকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে,ধমের প্রতি মানুষের আবেগ অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে অনেকে বড় রকমের অধম করেছেন। ধমের অপব্যবহার করেই অযৌক্তিকভাবে মানুষ হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট করাকে বৈধতাদানের অপচেষ্টা হচ্ছে, সমাজে অশান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমারে রক্তপাত, আহমদিয়াদের নির্যাতন, শিয়া-সুন্নিতে সংঘর্ষ ভীতসন্ত্রস্ত করছে মানুষকে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংস করাটাতেও যে পাপ-এই বোধটা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।
ধর্মের নামে সহিংসতা হলে তা কখনো মেনে নেয়া যায় না। কারো ওপর হামলা সব ধর্মই পাপ ও অন্যায় বলেছে। সমাজে বিচিত্র প্রকৃতির অধর্ম হচ্ছে। যেমন: ঘুষ-দুর্নীতির অধর্ম,গরিব মানুষকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার অধর্ম, টাকা দিয়ে রায় কেনার অধর্ম, অশ্লীল আচরণে অধর্ম।ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর গুরুত্ব না দিলে কখনও এই অধম দূর হবে না।অজ্ঞতার জন্যও মানুষ ধর্মান্ধ হচ্ছে। অনেক মানুষ নিজ ধর্ম সম্পর্কে জানে না এবং ৯৯ শতাংশ মানুষ অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানে না। সত্যিকার অর্থে মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও হিন্দু হতে পারলে বাংলাদেশে কেন, বিশ্বে কোনো সহিংসতা থাকত না। ইহুদি ধর্মের ১০টি নির্দেশের মধ্যে ষষ্ঠ নির্দেশ হচ্ছে, ‘কাউকে হত্যা কোরো না’। হিন্দু সম্প্রদায়ের ‘নমস্কার’ শব্দটার অর্থ হচ্ছে, ‘তোমার ভেতরে যে ভগবান আছে, তার প্রতি আমি মাথা অবনত করছি।’ এ সম্বোধন যে ধর্মে আছে, তারা তো অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি আঘাত হানতে পারে না।
ইসলাম ধর্মেও বলা হয়েছে, নিরপরাধ একজন মানুষকে হত্যা করার অর্থ হলো দুনিয়ার সব মানুষকে হত্যা করা। এবং একজন অসহায় মানুষকে রক্ষা করার অর্থ হলো, দুনিয়ার গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করা। যিশুখ্রিষ্টের আদর্শ যদি খ্রিষ্টানরা পালন করত, তাহলে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আণবিক বোমা ফেলতে পারত না। বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন, যদি কোনো ধর্ম সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু বলতে বলা হয়, আমি বলব বৌদ্ধধর্মের কথা। কারণ, এ ধর্ম স্বর্গ বা নরকের ভয়ে সৎ থাকতে বলে না, বিবেকের তাড়নায় সৎ থাকতে বলে। আজকে তাঁদের আদর্শ কোথায়? ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কমবেশি অন্য ধর্মের মানুষ জানলেও অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে মনে হয় মানুষ কম জানে। ইসলাম ধর্ম অন্য ধর্মের প্রতি আঘাতের কথা বলেনা। পূর্ণ জীবনব্যবস্থা ইসলামে বৈষম্য নেই, ধর্মীয় সম্প্রীতি আছে। স্বাভাবিক সময় তো নয়ই, এমনকি যুদ্ধের সময়ও কোনো উপাসনালয়ে আঘাত করা, শিশুদের আঘাত করা, বৃদ্ধ ও ধর্মীয় নেতাদের আঘাত করা-ইসলামে নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবার অধিকারটি সংবিধানস্বীকৃত। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪১(১)(ক) তে বলা হচ্ছে – আইন, জনশৃংখলা ও নৈতিকতার সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যেকোন ধর্ম ‘অবলম্বন, পালন ও প্রচারের’ অধিকার রয়েছে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সংবিধানেই নাগরিকদের এ অধিকারটি দেয়া হয়েছে। তবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের বিষয়টি যদি ধর্ম পালনেরই একটি অংশ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে অবস্থান কি হবে সে ধরণের বিধান আমরা সংবিধানে পাই না। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় নব্বইটিরও বেশি দেশে ধর্মভিত্তিক দলগুলো রাজনীতি করে যাচ্ছে, কেউ কেউ ক্ষমতাও লাভ করছে।
স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক দলগুলো দেশের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিত, সত্তরের নির্বাচনেও তাদের অংশগ্রহণ ছিল। তবে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে তৎকালীন ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সবগুলোই এ সংগ্রামের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যার ফলশ্র“তিতে স্বাধীন বাংলাদেশে তারা রাজনীতি করবার অধিকার হারিয়ে ফেলে। বাহাত্তরের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৮ এ সংগঠনের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলা ছিল, ‘জনশৃংখলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠনের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। তবে শর্ত থাকে যে, কেন ব্যক্তিরই এমন কোন সংগঠন গঠন করবার, সদস্য হবার কিংবা কোন কার্যক্রমে অংশ নেবার অধিকার থাকবে না যদি ঐ সংগঠনটি সাম্প্রদায়িক হয় অথবা কোন ধর্ম বা ধর্মীয় উদ্দেশ্যকে ভিত্তি করে কোন রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হয়।’ এর মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে একটি আদেশের মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ৩৮ এর ঐ শর্তাংশটুকু বাতিল করে দেন, পরবর্তীতে যা ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক বৈধতা পায়। সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞাটি উঠে যাওয়ায় ইসলামী দলগুলো তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করে এবং একে একে পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করে । ২০১০ সালে যখন আদালতের রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হয়ে যায়, তখনই বিভিন্ন পর্যায় থেকে ধর্মভিত্তিক দলের রাজনীতি করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আসতে শুরু করে। সর্বশেষে, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে কিছু নতুন শর্তাবলী যুক্ত করা হয়, যার মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের মত স্পষ্টভাবে না বললেও সরকারের হাতে ধর্মভিত্তিক দলের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করবার কিংবা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে রাখবার এখতিয়ার চলে আসে। বাংলাদেশের সংবিধান এখন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ চরিত্রের, ধর্মভিত্তিক দলের গঠণতন্ত্র ও কার্যক্রমের সাথে বহু জায়গাতেই এটি সাংঘর্ষিক। বাহাত্তরের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২ অনুচ্ছেদের ৩য় শর্তটি, অর্থাৎ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার বিলোপ করা’ – ইসলামী দলগুলোর জন্য মাথাব্যাথার বড় একটি কারণ । কেননা ‘ধর্মের অপব্যবহার’ কি, কিভাবে হয় বা কতটুকুতে হয় এ বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য কোথাও নেই, সুতরাং সরকার চাইলে সুবিধামত সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা ইসলামী দলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও অনুচ্ছেদ ৮ এ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ এর বদলে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ প্রতিস্থাপন হয়েছে।
বিশ্বের প্রায় আশিটি দেশে একশ সত্তরটি খ্রিষ্টান ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দল রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছে। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি কিংবা ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টি – এ ধরণের নাম দিয়েই ভিন্ন ভিন্ন দেশে দলগুলো কাজ করে চলেছে। জার্মানীতে অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের নেতৃত্বাধীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এখন ক্ষমতায়। নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা সহ বিশ্বের আরও বিভিন্ন দেশে এ ধরণের দল ক্ষমতায় রয়েছে। তবে নামে ক্রিশ্চিয়ান দল হলেও দলগুলো তাদের রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক মূলনীতি অনুসরণ করে চলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হল সেক্যুলারিজম। খ্রিস্টান ধর্মে রাজনীতি বা রাষ্ট্রক্ষমতা লাভের উপর কোন সুনির্দিষ্ট গুরুত্বারোপ করা নেই। অপরদিকে মুসলিম দেশগুলোতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর অবস্থা চোখে পড়বার মত। ৩০ টি দেশে প্রায় ৭৯টি ইসলামী দল বর্তমান বিশ্বে গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে মুসলিমপ্রধাণ দেশগুলোর মধ্যে সাংবিধানিক ভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে মূলত চারটি দেশে – মিসর, তুরস্ক, আলজেরিয়া এবং তিউনিসিয়া। এছাড়াও সাবেক ফরাসী কলোনীভুক্ত পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সাংবিধানিক ভাবে নিষিদ্ধ । ফ্রান্সে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ।
আমাদের দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১১টি ইসলামী দল রয়েছে, এদের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বপ্রথম নিবন্ধিত ইসলামী দল, যারা ২০০৮ এর ৪ঠা নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়। দেশের জাতীয় নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণের হিসাব করলে দেখা যায়, ১৯৭৩ এর প্রথম নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ থাকায় জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৮ সালে কার্যক্রম শুরু করবার পর ১৯৮৬ এর নির্বাচনে দশটি আসন লাভ করে জামায়াত। ১৯৯১ এর নির্বাচনে ১৮টি আসন লাভ করবার পর ১৯৯৬তে তা নেমে আসে ৩টি আসনে। এরপর ২০০১ এর নির্বাচনে ১৮টি আসন পেলেও সর্বশেষ ২০০৮ এ জামায়াত পায় মাত্র দু’টি আসন। অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনে চোখে পড়বার মত কোন তৎপরতা এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা প্রণীত আইনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোন দল নিবন্ধন পাবে না। ভারতের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫২ এর ২৯(ক) আইনের ৫ম উপধারা অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি দলকে অবশ্যই তার গঠণতন্ত্রে এ অনুচ্ছেদটি যোগ করতে হবে যেখানে বলা হয়েছে, “এ দলটি ভারতের সংবিধান ও সকল আইনের প্রতি এবং সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতন্ত্রের মূলনীতিসমূহের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ধারণ করবে এবং ভারতের সার্বভ্যেমত্ব, ঐক্য এবং উন্নতি নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হবে।” তবে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়াসহ আরো বেশকিছু দেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে সাংগঠনিক দৃঢ়তা এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছতাকেই মূল বিবেচ্য হিসেবে দেখা হয়, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সম্পর্কে কোন আলাদা বিধিনিষেধ সেখানে আরোপিত নেই যদি না তা দেশের সার্বভৌমত্ব হানিকর কোন উদ্দেশ্যে গঠিত হয়।
দেশের লাখো-কোটি খেটে খাওয়া মানুষের স্বপ্ন এবং স্বর্ণালী আগামীর প্রেরণা বুকে নিয়ে পথ চলা তরুণ-যুবসমাজের অমিত সম্ভাবনাময় এই দেশ নিয়ে আমরা আশাবাদী। সংকীর্ণতা এবং প্রতিহিংসার রাজনীতির বলয় থেকে বেরিয়ে এসে মসৃণ গণতান্ত্রিক পথ চলা নিশ্চিত করতে এবং দেশ গড়তে সর্বজনীন অংশগ্রহণের ভিত্তিতে কার্যকরী সংসদ গড়ে তুলতে পরমতসহিষ্ণুতা এবং পরম বুদ্ধিমত্তার পরিচয় সরকারকে দিতে সক্ষম হবে । দেশের জন্য একটি আলোকিত ভবিষ্যতের দরজা উন্মুক্ত করণে সম্মিলিত প্রয়াসের বিকল্প নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
ফুরব বলেছেন: পৃথিবীতে যদি কোণ ধর্মীয় লেবাস না থাকত।যেমন হিন্দু /মুসলিম/ বুদ্ধ/খ্রিস্তান ইত্যাদি ইত্যাদি। সব মানুষের একই ধর্ম ,আমরা শুধুই মানুষ। একই পৃথিবীতে একই আলো বাতাশে লালিত পালিত, একই খাদ্য ভক্ষন করে বেচে থাকি। তা হলে মনে হয় কোণ হানাহানি ,কাটাকাটি থাকত না। সবাই উৎকৃষ্ট শ্রেনীর মানুষ হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারত।