নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমীকরণ

০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

আচ্ছা যান, হিসেবের সুবিধার্থে সব ভুলে গেলাম।

সরকার, আওয়ামী লীগ, বি এন পি, জামায়াত, হেফাজত, গণজাগরণ, পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, বিএসএফ, জিহাদ, আগুন, কাটাগাছ, পোড়া কোরআন, বায়তুল মোকাররম, ভাঙ্গা লাঠি, মাদ্রাসার কচিমুখ, ককটেল, পাটকেল, হাতবোমা, টিয়ারশেল, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, সাউন্ডবোমা, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমারদেশ, বাঁশেরকেল্লা, ছাগু, সুশীল সব- সঅঅঅব ভুলে গেলাম। সব ভুলে একটা সহজ সমীকরণে আসি।

সাধারণ আমজনতা আমরা। রাজনীতি আর ব্যালট বাক্সের কারসাজি বুঝি কমই। যা একটু বুঝি সেটা হোলো এই যুক্তি আর সমীকরণ।



কিছু মানুষের ভাষ্যমতে হেফাজতে ইসলামের তৌহিদি জনতাকে ১০ মিনিটের অপারেশনে বিতাড়িত করা হয়েছে সমাবেশস্হল থেকে। আর কেউ বলছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা করেছে দুই হতে তিন হাজার তৌহিদী জনতাকে। এরপর ময়লার গাড়িতে করে লাশ পরিবহন, পানি ছিটিয়ে রক্তের দাগমোচন, বুড়িগঙ্গার জলে লাশ গুম আর লাশেরাও পাথরের মত টুপ করে একেবারে সাথে সাথে জলের নিচে। আচ্ছা সে যাই হোত তাও মানলাম হিসেবের খাতিরে। ব্রাশফায়ার, লাশ, গুমখুন, সিটি কর্পোরেশনের করিৎকর্মা পানির গাড়ি, ফটোশপ ছবি, দরদী কবি সবই বাদ।

নিহতের লিস্ট ভুলে আমরা সমীকরণ মেলাতে আহতের যোগ বিয়োগ করি।



স্বাভাবিক বুদ্ধি ও যুক্তি অনুসারে আহতের সংখ্যা নিশ্চয়ই নিহতের তুলনায় বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই দুই তিন হাজার নিহত হলে স্বাভাবিক ভাবেই হাজার দশেক হবেন আহত। বিভিন্ন সচেতন(!) মহলেও ঠিক সেভাবেই বলা হয়েছে আহত হয়েছেন ২০ হাজার তৌহিদি আলেম। যাক আমাদের হিসেবে অতজনের দরকার নেই। অন্ততঃ হাজার পাঁচেক তো আহত হয়েছেনই। তো আমার প্র্শ্নটা হোলো- বর্তমানে এই আহত হাজার হাজার গুলিবিদ্ধ আলেম কোন হাসপাতালে চিকিৎসারত? তাদের মধ্যে কারা গুরুতর, আর কারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই ছাড়া পেয়েছেন? কোন হাসপাতালে আত্মীয় স্বজনেরা আহত ব্যক্তিটির গলা জড়িয়ে কাঁদছেন? কোথায় আরো কিছু গুলিবিদ্ধ জিহাদী আলেমকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছেন?

কোথায় কি! এইসব কোন সংবাদ নেই কোথাও। নেই কোন ভিডিও ফুটেজ। আরে রাতের অন্ধকারে অপারেশনের ফুটেজ না থাকুক হাসপাতালের ফুটেজ তো থাকতে পারত। আহত কেউ বিবৃতি দিয়ে কি হয়েছিল রাতে ব্যাখ্যা করলেই তো চুকে যায় ল্যাঠা। নাকি সরকার নিহতদের সাথে আহতদেরও গুম করেছে বুড়িগঙ্গায়? ক্যামনে কি!!?



সমীকরণটা প্যাঁচ লাইগা গেল !!!!



।।সা।ত।কা।হ।ন।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মুহসিন বলেছেন: সেটাই। আগে বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসায়, বাসায়, হাসপাতালে বা লুকিয়ে থাকা জায়গায় আহতদের অভয় দিয়ে খোঁজ করে বের করা হোক। নিহতের সংখ্যা তার একটা অংশ হবে, বেশী হওয়ার কথা নয়।

অথবা বিকল্প হিসেবে সব অভিভাবককে নিখোঁজের তথ্য নিয়ে আসতে বলা হোক প্রমাণসহ, অভয় দিয়ে, কোন হয়রানি নয় বরং নিহত প্রমাণিত হলে পুরস্কৃত করা হবে। এভাবে একটা ডাটাবেজ করলে সঠিক সংখ্যা বের করা সম্ভব।

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪

অংকনের সাতকাহন বলেছেন: সেই দিকে তো কেউ আগাচ্ছেন না, বরং এগোচ্ছে লাশ নিয়ে রাজনীতি !!

২| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

মুহসিন বলেছেন: অন্ধকার না করে লাইভ টিভির সামনে অভিযান চালালেই এতো প্রশ্নের জন্ম হতোনা। এ আরেক রাজনীতির খেলা শুরু হলো সংখ্যা নিয়ে দুপক্ষের মাঝে।

তার চেয়ে এতো হানাহানির রাজনীতি না করে আমরা বড় দুই দলকে কি প্রস্তাব দিতে পারিনা একটা অনাক্রমণ চুক্তি করতে পোড়ামাটি নীতির পরিবর্তে? তাহলে পাঁচ বছর পরপর দুদলই পালাবদল করে ক্ষমতায় থাকবে এবং সরকার ও বিরোধীদল হরতাল ধ্বংসযজ্ঞ গোলাগুলি আর সংখ্যাতত্বের এতা কচলাকচলি না করে পরস্পর সহযোগিতায় জনকল্যাণমূলক কাজ করে জাতিকে এগিয়ে নেবে।

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

অংকনের সাতকাহন বলেছেন: আকাশ কুসুম বাংলাদেশে ওইটারেই বলে :-(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.