নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষক সাবধান, আপনার লিঙ্গ আপনার মা-বোনকেও চেনে না !!!

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৫





ধর্ষণ একটি প্রাচীন প্রথা যা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রাচীনকাল থেকেই নারীর সার্বভৌমত্ব খর্ব করার কাজে সর্বোচ্চ কার্যকরী পন্হা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নারীর শরীর মাত্রেই একটা দুর্বলতা আর তাতে আঘাত করতে পারাটাই নারীর ওপর পুরুষত্বের বিজয়ের স্মারকচিহ্ন। যুগে যুগে নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়ে হচ্ছে অপবিত্র থেকে অপবিত্রতর আর পুরুষ তার শৌর্য বিলিয়ে হচ্ছে পবিত্রতার ধ্বজাধারী। নারীত্বের সম্মান নিলাম করতে পারাটা একাধারে বীরত্ব ও বিনোদন দুটোরই অ্যাফেকি্টভ টনিক বটে। তাই আমরা দেখতে পাই সেই গ্রীক আমলের যুদ্ধ হতে শুরু করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীকে লাঝ্ছনা করেই পুরুষ প্রমাণ করেছে তার শক্তিমত্তা, শত্রুকে উপহার দিয়েছে কলঙ্ক আর অপবিত্রতার লজ্জা। যার ধারাবাহিকতা আজও যুদ্ধের পরবর্তী অধ্যায়েও সদম্ভে চলমান।



ধর্ষণ একটি মানসিক ব্যাধি। মানসিক বিকৃত রুচি ও নষ্টতর মানসিকতাই এর মূল কারণ। এর কারণ হিসেবে নারীর চালচলন, তার বেশভূষা, সে টপস পড়ল কি জিন্স, সে দিনে বেরোয় কি রাতে, সে চোখ নিচে দিয়ে হাঁটে কি ছেলেদের দিকে তাকিয়ে সেটা কখনোই মূখ্য নয়। আমাদের জাতীয় জীবনের যত ধর্ষণের ইতিহাস জানে কতজন উগ্র পোশাক পড়া মেয়ে ধর্ষিত হয়, আর কতজন সাধারণ স্বাভাবিক পোশাক পড়া মেয়ে। আজ ১১ বছরের যে মেয়েটি ধর্ষিতা হল তার স্তনের মাপ কি উগ্র করেছিল ধর্ষণকারীদের? নাকি তার পোশাকের অশ্লীলতায় তারা হয়ে গিয়েছিল কন্ট্রোললেস? ১১ বছরের মেয়ে কি পোশাক পড়লে তা শোভন হবে, ধর্ষণ থেকে বাঁচা যাবে বলতে পারেন??



উগ্র নারীদের দোহাই দিবেন? প্রকৃতপক্ষে ওইসব উগ্র নারীদের কেশাগ্র ছোঁয়ার ক্ষমতাও ওই পশুদের নেই। কারণ ওই মেয়েরা থাকে কড়া সিকিউরিটির ভেতর, তাদের আগেপিছে দেহরক্ষী, আর পায়ের নিচে বাবার অঢেল টাকা। ওদের ছুঁলেও হাত হ্বলে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা। তাই, টার্গেট প্রতিবারই সেই সহজ সরল মেয়েটি যে তার অপরাধ সম্বন্ধেও অবগত নয়। এক্ষেত্রে বেশভূষার দোহাই দেয়া কলাপাতা দিয়ে লজ্জা ঢাকার মতই হাস্যকর।



ধর্ষণে এরপরে যোগ হয়েছে নুতন মাত্রা। যদিও সেক্ষেত্রে অনেক সুশীলও গা ঝাড়া দিয়ে বলে উঠবেন ধর্ষণকে ধর্মের লেবাসে জড়াবেন না। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমার জড়ানোর কিছু নেই। ধর্মই ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে গেছে এই সামাজিক অপরাধে। আজ যে শিশুটি ধর্ষিতা হলো তাকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। কেন করা হল? অন্য ধর্মের মেয়ের সাথে সহবতের পূণ্যের আশায়? নাকি মেয়েটাকে জান্নাত হাসিল করানোর মহৎ অভিপ্রায়ে? আসলে এর কিছুই না ধর্মটাকে এখানে ওরা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে পরিত্রাণের সহজতম উপায় হিসেবে। এখন তারাই যদি এর মাঝে ধর্মকে এভাবে টেনে আনে তাহলে আমরা ধর্ষকের সাথে ধর্মকে কি করে না মেলাই? এই প্রসঙ্গে বারবার টেনে আনা হচ্ছে পরিমলের নাম। পরিমল শুধু হিন্দু, এটুকুই। সে তার ধর্মকে ব্যবহার করে নি, ব্যবহার করেছে তার বিকৃত রুচি আর উত্থিত লিঙ্গকে। আর আজকের ঘটনায় ধর্মকে সামনে টেনে এনে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। তাই না দেখে উপায় নেই।



পরিশেষে বলি, যার ধর্ম যাই হোক আপনার পুরুষত্বের গর্ব, আপনার সাধের লিঙ্গ কন্ট্রোল করার দায়িত্ব আপনারই। আপনার ধর্মকে ব্যবহার করে নিজের মানবিতাবোধ উন্নত করার উপায় খুঁজুন, ধর্মকে অপরাধ লুকানোর চাদর বানাবেন না। আর যতদিন আপনিই না পারছেন আপনার অনিয়ন্ত্রিত কামবাসনা, আপনার বিকৃত রুচি লিঙ্গের লাগাম টানতে- ততদিন আপনারই ঘরে আপনার মা বোনও সুরক্ষিত নয়।।



।।সা।ত।কা।হ।ন।।



ফেসবুক প্রোফাইল

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ধর্ষক সাবধান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.