নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিও গ্রামের পোলা চুতমারানি গাইল দিতে জানি।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

ফেসবুক কিংবা ব্লগপাড়ায় আর যাই হোক ইস্যুর কোন অভাব কখনো হয়নি, হবেও না। আমরা যেন হয়ে গেছি সেই পাড়া বেড়ানো প্রৌড় মহিলার মত, যার সারাটা দিন যায় এবাড়ির কথা ওবাড়ি, আর ওবাড়ির কথা এবাড়ি করে করে। শাহবাগ, আস্তিক-নাস্তিক, হেফাজত, সাভার, রেশমা, মহাসেন, এত্তগুলা পঁচা, চুদুরবুদুর পেরিয়ে বর্তমানের আলোচিত টপিক ‘চুতমারানি’!!

জাতীয় সংসদ চিরকালই যেন বিনোদনের এক জ্বলজ্যান্ত আখড়া। যার যেমন ইচ্ছে তেমনটা বলছেন, যার যেমন খুশি তেমনটা করছেন। সংসদের কার্যকরী প্রতিটি সভায় প্রতিটি মিনিটে কত টাকা খরচ হচ্ছে সে হিসেব বুঝি মাননীয় সাংসদ নিজেও রাখেন না। আর তাই সংসদের মূল্যবান সময়ে দেশের সব মাথাগুলো দুলেদুলে কবিতা শোনেন। জনগণের রক্ত-ঘাম ঝড়ানো পয়সার এরচে সর্বোত্তম ব্যবহার আর কি হতে পারে!

আজ প্রিয় কবি হেলাল হাফিজ ভাইয়ের যার যেখানে জায়গা ( যে জলে আগুন জ্বলে ) কবিতাটি পঠিত হল সংসদে মাননীয়া সাংসদ শাম্মী আকতারের কন্ঠে।

এই কবিতার শেষ দুটি লাইন হল-

“রাইত অইলে অমুক ভবনে বেশ আনাগোনা, খুব কানাকানি,

আমিও গ্রামের পোলা চুতমারানি গাইল দিতে জানি।”

এই শেষ লাইনের বিশেষ শব্দটি নিয়েই আজ যত কানাকানি, মাতামাতি। ফোন দিলাম Helal Hafiz ভাইকে। ব্যক্তিগত কুশলাদি বিনিময়ের পর ওনাকে ব্যাপারটা বলতে যেতেই উনি তো শুনে হাসতে হাসতেই শেষ! বলেন আজ সারাদিন এটা নিয়েই যত তিক্ত যাতনা। কেউ ফোন দিচ্ছে তো কেউ মেসেজ দিচ্ছে। সবারই এক প্রশ্ন, এই শব্দকে ঘিরেই। কিন্তু, দুঃখ কজন লেখাটি পড়ে দেখেছে? উনি তখন খুলে বললেন সেই লেখার পটভূমি। সেই ৮১ সাল যখন তিনি কবিতাটি লিখেছিলেন, তখনকার পুঁজিবাদী সমাজের চিত্র। অথচ সে লেখার অপব্যবহার আজ এভাবে হল এই ২০১৩ সালে! কবিতাটি না পড়লে কখনো বোঝাই যাবেনা শব্দটা ওই স্হানে কতটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট। তবে হে মাননীয় সাংসদ, ওইখানেই সেটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট। সংসদের আসন দখল করে, জনগণের পাছায় লাথি দিয়ে এসির বাতাস খাওয়া আপনার জোড়াঠোঁটে মোটেই অ্যাপ্রোপ্রিয়েট নয়।।



পুরো কবিতাটি পড়ুন-



যার যেখানে জায়গা

- হেলাল হাফিজ---যে জলে আগুন জ্বলে



ভোলায়া ভালায়া আর কথা দিয়া কতোদিন ঠাগাইবেন মানুষ

ভাবছেন অহনো তাদের অয় নাই হুঁশ।

গোছায়া গাছায়া লন বেশি দিন পাইবেন না সময়

আলামত দেখতাছি মানুষের অইবোই জয়।



কলিমুদ্দিনের পোলা চিডি দিয়া জানাইছে,–’ভাই

আইতাছি টাউন দেখতে একসাথে আমরা সবাই,

নগরের ধাপ্‌পাবাজ মানুষেরে কইও রেডি অইতে

বেদম মাইরের মুখে কতোক্ষণ পারবো দাঁড়াইতে।’



টিকেট ঘরের ছাদে বিকালে দাঁড়ায়ে যখন যা খুশি যারা কন

কোনো দিন খোঁজ লইছেন গ্রামের লোকের সোজা মন

কী কী চায়, কতোখানি চায়

কয়দিন খায় আর কয়বেলা না খায়া কাটায়।



রাইত অইলে অমুক ভবনে বেশ আনাগোনা, খুব কানাকানি,

আমিও গ্রামের পোলা চুত্‌মারানি গাইল দিতে জানি।



।।সা।ত।কা।হ।ন।।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

ইয়েন বলেছেন: উনি আবার সমর্থন ও পাচ্ছেন :( .... আওয়ামিলিগ ও সংসদে গালি দিয়েছে এই যুক্তিতে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.