![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জহিরের পকেটে একটা হাত ঢুকেছে। সে টের পাচ্ছে হাতটা তার মানিব্যাগটা নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করেছে। হাতের মালিক যতটা সম্ভব মোলায়েমভাবেই কাজটা সম্পাদন করতে চাচ্ছে, যদিও জহির সবই টের পাচ্ছে। বোধহয় লাইনে নতুন। জহির জানে কাজটা ছেলেটার জন্য খুব একটা সহজ হবেনা। তার পকেটের চেয়ে মানিব্যাগটা ভালই স্বাস্হ্যবান। টাকার চেয়ে বেশি কাগজে ঠাসা। পেপার কাটিং, ভিজিটিং কার্ড আর চিরকুটে ভর্তি। চিরকুটই বেশি; নিপার চিরকুট। মেয়েটা প্রতিবার দেখায় একটা করে চিরকুট ধরিয়ে দিত। মেয়েটা চলে গেছে, চিরকুটগুলো নিয়ে যেতে ভুলে গেছে। এখন এগুলো রাখারও প্রয়োজন নেই, ফেলে দিতেও মায়া লাগে। মানিব্যাগে অবশ্য আজ পুরো মাসের বেতনটাও আছে জহিরের।
বাসটা থেমেছে। তখনই জহির ঝট করে মানিব্যাগটা বের করে ছেলেটার হাতে গুঁজে দিয়ে বাস থেকে নেমে যায়। পেছন ফিরে জহির দেখে কিশোর ছেলেটা বাসের জানালা দিয়ে মুখ বের করে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। বাসটা চলতে শুরু করেছে।
যাক, চিরকুটগুলোও হারিয়ে গেল… নিপার মতন !!!
সাতকাহন
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০১
অংকনের সাতকাহন বলেছেন: গল্পকে যতটা সম্ভব ছোট পরিসরে আনার একটা চেষ্টা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখাটা ভালো হয়েছে তবে আরো কিছুটা পরিবর্ধন করলে পাঠে তৃপ্তি পাওয়া যেত।