![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিকিউরিটিঃ আরে ভাই, কই যান!
বৃদ্ধ ব্যক্তিঃ কেন ভাই, ভেতরে।
সিকিউরিটিঃ ভেতরে যাওয়া যাবে না। ভেতরে বড় অনুষ্ঠান চলতেসে।
বৃদ্ধ ব্যক্তিঃ তাতে কি!
সিকিউরিটিঃ ভেতরে সব গণ্যমান্য মানুষ আসছে। ওইখানে গিয়া তাদের ডিস্টার্ব করা নিষেধ।
বৃদ্ধ ব্যক্তিঃ সে কি! ডিস্টার্ব করব কেন?
সিকিউরিটিঃ আমার এইসব চেনা আছে। কোনমতে ভেতরে ঢুইকা তারপর হাত পাইতা দু’চার পয়সা কামানের ফন্দি!
বৃদ্ধ ব্যক্তিঃ ছি ছি! আপনি চেনেন আমাকে?
সিকিউরিটিঃ আপনে কি মিনিষ্টার?
বৃদ্ধ ব্যক্তিঃ না।
সিকিউরিটিঃ আপনে কি কোন এম.পি?
বৃদ্ধঃ না।
সিকিউরিটিঃ আপনার মামা, চাচা পোলাপান কেউ সরকারি সচিব আমলা?
বৃদ্ধঃ না।
সিকিউরিটিঃ আপনার চৌদ্দগুষ্টির কেউ পুলিশে আছে?
বৃদ্ধঃ না।
সিকিউরিটিঃ ছাত্র রাজনীতিতে?
বৃদ্ধঃ কেউ নাই।
সিকিউরিটিঃ তাইলে মিয়া আপনেরে চিইন্যা আমার কাম কি?
বৃদ্ধ ব্যক্তিঃ আমি রবীন্দ্রনাথ।
সিকিউরিটিঃ কোন নাথ?
বৃদ্ধঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সিকিউরিটিঃ গেট পাশ আছে?
রবি ঠাকুরঃ কিসের গেটপাশ?
সিকিউরিটিঃ অনুষ্ঠানের।
রবি ঠাকুরঃ না নাই।
সিকিউরিটিঃ তাইলে দশ হাজার।
রবি ঠাকুরঃ কিসের দশ হাজার!
সিকিউরিটিঃ কিসের আবার, টিকিটের! কনসার্ট দেখবেন না!
রবি ঠাকুরঃ টাকা পয়সা তো নাই। ওই পারে নিতে পারি নাই কিছু।
সিকিউরিটিঃ যে পার থেকেই আসেন না আসেন, টিকিট ছাড়া গেটর ওইপার যাওয়া নিষেধ।
রবি ঠাকুরঃ আচ্ছা, বলেন তো অনুষ্ঠান কিসের?
সিকিউরিটিঃ কি আর! রবি ঠাকুরের স্মরণে…
রবি ঠাকুরঃ আমিই তো সেই…
সিকিউরিটিঃ আরি তাই তো! সরি বস, খেয়াল করি নাই। পোস্টারের সাথে তো ফটোকপি মার্কা মিল!
রবি ঠাকুরঃ আরে না, আমি অরিজিনাল।
সিকিউরিটিঃ আচ্ছা ঠিকাছে, যান ঢোকেন। আপনারই তো অনুষ্ঠান। পিছনের দিকে বসবেন। কোন ঝামেলা পাকাইবেন না।
রবি ঠাকুরঃ জি আচ্ছা হুজুর।
( মনে মনে গজগজ করে সিকিউরিটিকে গালি দিতে দিতে অনুষ্ঠানে কবিগুরুর প্রবেশ, দু’মিনিট পরেই দৌড় দিয়ে আবার সেই পথেই হাঁপাতে হাঁপাতে বের হতে দেখা গেল তাকে…)
সিকিউরিটিঃ কি ব্যাপার ঠাকুর সাব, দৌড়ান কেন?
রবি ঠাকুরঃ আরে মিসটেক হইসে কোন একটা। এইটাতো আমার অনুষ্ঠান না।
সিকিউরিটিঃ ক্যামনে বুঝলেন?
রবি ঠাকুরঃ আরে গেঞ্জি-জিন্স পড়া এক মেয়ে স্টেজে উঠে দুলে দুলে কি যেন গাইছে, এটা তো আমার গান না!
সিকিউরিটিঃ বলেন কি! কি গাইতেসিলো?
রবি ঠাকুরঃ লিরিক তো চেনা চেনা… মায়াবন বিহারিণী… বাট সুরটা শুনে বুঝলাম অন্য কারো গান টান হবে। আমারটার সাথে গুলাইয়া ফেলসে।
সিকিউরিটিঃ আরে না, আপনারই। কপিরাইট… কপিরাইট, সব কপিরাইটের খেল।
রবি ঠাকুরঃ কপিরাইট!
সিকিউরিটিঃ হুমম। কপিরাইট আইনে তো এখন আপনের আর কিছুই আপনের না। লিরিক ঠিক থাকলেই হল। মাঝে হানি সিংয়ের র্যাপ ঢুকাইলেও প্রবলেম নাই।
রবি ঠাকুরঃ কও কি!
সিকিউরিটিঃ হুমম। এখন আপনার কিছুই আর আপনার না। এই যে আপনি, আপনি নিজেও এখন আপনার না। চাইলেই এখন বাইন্ধা রাখতে পারি।
রবি ঠাকুরঃ এ কি জামানা! আমার আর সাহিত্যসুধায় কাজ নাই। গেলাম।
( রবি ঠাকুর ছু্টছেন। পিছনে হেভি মেটাল মিউজিক হচ্ছে… আমি চিনি গো চিনি, ইয়ো ইয়ো বেইবি, ইউ ভেরি ক্রেইজি! ইয়া চিনি গো চিনি… বেবি বিদেশিনী !!!.... )
একটি #সাতকাহনীয়_ক্যাচাল পরিবেশনা ।।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১২
অংকনের সাতকাহন বলেছেন: সমসাময়িক ক্যাচাল যারে বলে !!
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৩
মুক্তকণ্ঠ বলেছেন:
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৩
অংকনের সাতকাহন বলেছেন:
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আসলে হয় তো অনেকক্ষেত্রে তাই ।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ভালো লাগলো লেখাটি।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৩১
রাজিব বলেছেন: রবিন্দ্রনাথের কাছে আমাদের ঋণ অনেক। তিনি আমাদের শেক্সপিয়ার, তিনি আমাদের হোমার, দান্তে, হাফেজ কিংবা মিল্টন। বাংলা সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাঁখাতেই তিনি হাত দিয়েছেন এবং সমৃদ্ধ করে গেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার আধুনিক যুগে সাহিত্যে সকল ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার সাহিত্য বোধহয় সবচেয়ে সেরা। এক্ষেত্রে অন্য সকল কবি ও সাহিত্যিকের অবদান যতখানি রবিন্দ্রনাথের একলার অবদান তার থেকে বেশী।
না রবিন্দ্র ভক্ত হিসাবে আবেগের বশে এই ধরণের দাবী আমি করছি না। পশ্চিম বাংলা ও ত্রিপুরার বাহিরে আপনি ভারতের অন্যান্য প্রদেশে যান, পাকিস্তানে যান, ইরানে যান, চীনে যান, আর্জেন্টিনা যান, লন্ডনে যান, যেখানেই যান তারা বাংলা সাহিত্যের একজনকেই চেনেন এবং তা হল রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। আইনস্টান তাঁকে সম্মান করতেন
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা এবং বাংলা ভাষার একমাত্র রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশে রবিন্দ্রনাথের উপর অধিকার ভারতের থেকেও বেশী। তাই আমাদের কর্তব্য রবিন্দ্রনাথের রচনাবলীকে পৃথিবীর সকল গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় অনুবাদ করে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব কপিরাইটের খেল।
রবি ঠাকুরঃ কপিরাইট!
সিকিউরিটিঃ হুমম। কপিরাইট আইনে তো এখন আপনের আর কিছুই আপনের না। লিরিক ঠিক থাকলেই হল। মাঝে হানি সিংয়ের র্যাপ ঢুকাইলেও প্রবলেম নাই।
রবি ঠাকুরঃ কও কি!
সিকিউরিটিঃ হুমম। এখন আপনার কিছুই আর আপনার না। এই যে আপনি, আপনি নিজেও এখন আপনার না। চাইলেই এখন বাইন্ধা রাখতে পারি।
সব সময়ের ফসল!!!!!!!!!!!!