![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের জনগন আমরা নিজের পরিচয় কি ভাবে দিবো? আমাদের সরকার আমাদের বলে দিচ্ছেন বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিতে। আমার আচার আচরন চিন্তা চেতনায় বাঙ্গালীয়ানা আছে, তাই আমি নিজেকে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিতে সমস্যা নাই। কিন্তু বাংলাদেশে যারা বাঙ্গালী নয় তারা কি ভাবে নিজের পরিচয় দিবে?
একটি মঞ্চে মধ্যপ্রাচ্যের কোন নাগরিক যদি পরিচয় দেয় সে আরাবিয়ান, তাকে যদি পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকে তা হলে কি আমি বুঝতে পারবো, সে কোন দেশের নাগরিক?
ঠিক একই ভাবে আমি যদি পরিচয় হই আমি বাঙ্গালী, তাহলে কি তারা বুঝতে পারবে আমি কোন দেশী?
আমার এক যুগ প্রবাস জীবনে আমি দেখিনি ভারতের কোন বাঙ্গালী নিজের পরিচয় দিতে সে বাঙ্গালী, প্রথমে তারা পরিচয় দেয় ইন্ডিয়ান, তারপর ইন্ডিয়ায় কোথাকার প্রশ্ন করলে বলে বাঙ্গালী।
আমার মতে বাংলাদেশের মানুষ প্রথমে নিজের পরিচয় দেওয়া উচিৎ এক জন বাংলাদেশী হিসেবে, এতে সে উপজাতি হলেও কোন সমস্যা নাই। ভিন দেশের মানুষরা সহজেই বুঝতে পারবে আমি কোন দেশের নাগরিক।
তার পরে কেউ যদি জানতে চায় আমি কি বাঙ্গালী জাতী নাকি চাকমা জাতী তাহলে বাঙ্গালী অথবা চাকমাও পরিচয় দেওয়া যেতে পারে। বা কেউ যদি বাংলাদেশের বাঙ্গালী বলে নিজের পরিচয় দেন তাতেও সমস্যা দেখিনা।
কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তি বাংলাদেশের মানুষকে বাঙ্গালী সম্বোধন করে বক্তব্য রেখে গেছেন, তাই বাংলাদেশের মানুষকে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিতে বাধ্য করতে হবে, এটা কখনো গ্রহণ যোগ্য হতে পারেনা। একজন চাকমা, একজন মারমা কখনো নিজের পরিচয় বাঙ্গালী বলে দিতে পারবেনা।
স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ নিজের পরিচয় যদি বাঙ্গালী দেয়, তাহলে ভারতের বাঙ্গালী নাকি বাংলাদেশের বাঙ্গালী বুঝা মুশকিল হয়ে যায়। আরও একটা সমস্যা বাংলাদেশের উপজাতীয়দের ভাষা তাদের আচার আচরন চিন্তা চেতনায় বাঙ্গালীয়ানা নেই, তারা কি ভাবে নিজেকে বাঙ্গালী হিসেবে পরিচয় দিবে?
বাংলাদেশের নাগরিক নিজেকে বাংলাদেশী বলেই পরিচয় হওয়া উচিৎ।
বর্তমান সরকার এই সকল বিষয়ে জগা খিছুড়ি মার্কা সিদ্ধান্ত কেন দিচ্ছেন? এই বাংলাদেশী থেকে বাঙ্গালী পরিচয় করাতে যাইয়া সরকার আরও একটি সমস্যা দাড় করিয়েছেন, আদিবাসী কে উপজাতিরা নাকি বাঙ্গালীরা.........।
কেন শুধু শুধু সমস্যা গুলো খাড়া করাচ্ছেন? এই সবের পিছনে সুদুর প্রসারী কোন ষড়যন্ত্র নেইতো? বাংলাদেশের নাম বাংলাদেশের মানচিত্র মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নয়তো?
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
আমজামকাঠাল বলেছেন:
@ দেবোত্তম
অসাধারন বলেছেন ।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৩
মাহবুব মাসুম বলেছেন: এটা পরিকল্পিত অপপ্রচার। চাকমা বা সাওতালকে কেউ বাঙালি বলে নি। বলে না। শেখ মুজিবের সেই ভুল মন্তব্যকে বারবার সামনে নিয়ে আসার হঠাৎ কি কারণ ঘটলো ? তবে হ্যাঁ, বাঙালির একমাত্র স্বাধীন ভূমি বলতে পৃথিবীতে বাংলাদেশকেই বোঝায়। আর বাংলাদেশ বহুজাতিক দেশ একথাও সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪০
দেবোত্তম বলেছেন: বাঙ্গালী বাঙ্গালী, উপজাতিরা উপজাতি। জোর করে কারোর ওপরে কোন লেবেল চাপালে ফলটা উলটো হয়। উপজাতিরা বাংলাদেশের সাথে তখনই একাত্মবোধ করবে যখন তাদের মধ্যে একটা ‘সেন্স অফ পার্টিসিপেশন’ বা অধিকারবোধ আসবে। ভারতীয় বাঙ্গালীরা যে নিজেদেরকে আগে ভারতীয় পরে বাঙ্গালী ভাবে তার কারণ এটাই। দীর্ঘ ষাট বছরের গণতন্ত্রের পর ভারতে বাঙ্গালীর একটা অধিকারবোধ এবং দায়িত্ববোধ তৈরী হয়েছে। অর্থনীতি, বিদেশ বা রেলের মত গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রক বাঙ্গালীরা সামলেছে। ভারত মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তির জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী আমেরিকায় লবি করেছে। সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় জমি অধিগ্রহণ নীতি স্থির হয়েছে মূলতঃ পশ্চিমবঙ্গের ফরমাইশ মেনে। কেন্দ্র প্রতি বছর রাজ্যকে প্রচুর আর্থিক সাহায্য করে। এসবের বিনিময়ে বাঙ্গালীকেও ছাড়তে হয়েছে অনেক কিছু। কলকাতা শহরে বাঙ্গালীর থেকে অবাঙ্গালী বেশী। কলকাতা আর শুধু বাঙ্গালীর নয়, আজ সর্বভারতীয় শহর। বাংলার পাশাপাশী হিন্দি, নেপালী, সাঁওতালী, ওড়িয়া, পাঞ্জাবী ভাষাকে পশ্চিমবঙ্গে সরকারী স্বীকৃতি দিতে হয়েছে এরাজ্যে বসবাসকারী অবাঙ্গালী/ভিনরাজ্যের মানুষদের জন্যে।
ভারত বাংলাদেশের তুলনায় জাতিগত ভাবে অনেক বেশী বিভক্ত। এতটাই যে আজও ভারতের কোন জাতীয় ভাষা নেই। আনা যায় নি। কিন্তু তা সত্বেও অধিকাংশ ভারতীয়রা যে এতটা জাতীয়তাবাদি তার কারণ এই গণতান্ত্রিক অধিকারবোধ। এখানেই গণতন্ত্রের সাফল্য। আর ঠিক যেখানে ভারত গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয়েছে, যেমন কাশ্মীরে, উত্তর পূর্বে, সেখানকার মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন।
উপজাতিরা বাঙ্গালী নন এবং তাদের জোর করে বানানোরও কোন মানে হয় না। আপনার ধারণা একদম ঠিক। কিন্তু তারা যে বাংলাদেশী সেই বোধ তাদের মধ্যে তখনই আসবে যখন তারা দেখবেন যে বাংলাদেশের সমাজে, রাজনীতিতে তাদের কথার একটা দাম আছে। সরকারের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ তাদেরকে সামলাতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব না করে যদি তাদেরকে শুধু বাঙ্গালী লেবেল পরানো হয়, তাহলে তারা বাঙ্গালীতো হবেনই না, উলটে বাংলাদেশী পরিচয় থেকেও দূরে সরে যাবেন।