নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাথা ব্যাথা সারাতে মাথা কেটে ফেলা উচিৎ

পুরানপাপী (শুধু চেহারা বদল)

জীবন সত্যিই পিকুলিয়ার

পুরানপাপী (শুধু চেহারা বদল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছফা যে কারণে ফরহাদকে ত্যাগ করেছিলেন...

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

সিদ্দিকুর রহমান খান

কবে শুরু হবে আহমদ ছফা চর্চা’ শিরোনামে আমার একটা লেখা ছাপা হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাকের সাহিত্য সাময়িকীতে গত বছরের ১৩ জুলাই। প্রতিক্রিয়ায় অনলাইন-ছাপা পত্রিকাসহ নানা মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া ও প্রশ্ন শুনতে পাই। তবে সাত সকালে প্রথম ফোনটা পাই একজন বিখ্যাত লেখক-সাংবাদিকের। তিনি মনীষী লেখক ছফার ও তাঁর লেখার একজন ভক্ত অনুরাগী, আবার কবি ফরহাদ মজহারেরও বন্ধুস্থানীয়। কৌতুহলী এ পাঠক আমার লেখা নিবন্ধের একটি বিষয় সবিস্তার জানতে প্রশ্ন করেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির জবাব আমি ইত্তেফাকের ওই লেখার মধ্যে নানা কারণে খোলাসা করিনি। ইঙ্গিত দিয়েছিলাম মাত্র।



আলোচনার সুবিধার্থে পাঠকের জন্য ইত্তেফাকে ছাপা হওয়া লেখার ক’টি লাইন তুলে ধরছি: ‘একজন কবি ও কলামিস্ট ছফার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এ কবির সাথে প্রতিদিন খুব সকালে ছফার অন্তত আধা ঘণ্টা টেলিকথন হতো। এই কবি ও কলামিস্টের লেখা কেন পাঠককে টানে না সে বিষয়ে ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এক সকালবেলা ছফাকে আমি একটি প্রশ্ন করি। জবাবে ছফা বলেন “তিনি [লুঙ্গিপরা কবি] সব সময় অসৎ চিন্তা করেন তাই তাই লেখাগুলো সুপঠিত হয় না। উৎকৃষ্ট রচনা লেখা একজন লেখকের প্রধান কাজ। কিন্তু এ লেখকের লেখা পাঠককে কামড়াতে আসে বলে মনে হয়। একলাইন পড়লে আরেকলাইন পড়তে আর ইচ্ছে হয় না। তাদের লেখায় তেমন সার পর্দাথ থাকে না। গুটিকয় শিষ্য আছে যারা তার লেখা কষ্ট করে পাঠোদ্ধার করে মাত্র।”



শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে পাদুয়া-রৌমারির বহুল আলোচিত সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে একটা তথ্য জানার পর ওই কবি সম্পর্কে আহমদ ছফা তাঁর বহুবছরের ধারণা পাল্টেছিলেন। তারপর আমৃত্যু অন্যরকমভাবে দেখেছেন এ কবিকে। কিন্তু ছফার মৃত্যুর পর যতগুলো আলোচনাসভা হয়েছে তার প্রায় সবগুলোতে এ কবি প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে ছফাকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। একথা সবার জানা যে আহমদ ছফা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত গিয়েছেন, ট্রেনিং নিয়েছেন, সেখানকার পত্রিকায় কলাম লিখে মুক্তিবাহিনীর পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন। ভারতে বসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর প্রথম বই/উপন্যাস ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ লিখেছিলেন ছফা। পরবর্তীকালে অনেক লেখায়-আলোচনায় ছফা ভাই ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।



সীমান্ত সংঘর্ষ সংক্রান্ত যে তথ্যটি আমি ওই লেখায় খোলাসা করিনি সে তথ্যটিই জানতে চেয়েছেন লেখক-সাংবাদিক। ইত্তেফাকের নিবন্ধের অনেক পাঠকের সাথে পরবর্তী কয়েকমাসে যখনই আমার দেখা হয়েছে তখনই অনেকে একই প্রশ্ন করেছেন। অনেককে বলেওছিলাম। আজ সে কথাটি কিছুটা খোলাসা করতে চাই। তবে তার আগে মাত্র কয়েকটি কথা বলবো।



ফরহাদ মজহার ছফার বন্ধু ছিলেন। এ বিষয়ে নানাজন নানা কথা বলেন, কেউ কেউ হিসেব মেলাতে পারে না। কীভাবে হয়? দুয়েটি আপত্তিকর মন্তব্যও করেন অনেকে। মনে মনে স্মরণ করি ছফার কয়েকটি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ। ছফা আমাকে একাধিকবার বলেছেন, ফরহাদ ভাইয়ের এনজিওতে যত ছেলেমেয়েকে চাকরি দিয়েছি বছরের পর বছর কারো বেতন বাড়ে না। তাই ওরা একটা দুটা শার্ট দিয়ে বছর চালিয়ে নেয়, নতুন শার্ট কেনার টাকা থাকে না। ছেলেমেয়েগুলোকে ফরহাদ ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন, খুশি কবীরের স্বামীর এনজিও ধানমন্ডির আরবান, ড. হোসেন জিল্লুরের পিপিআরসি ইত্যাদি জায়গায় সেটেলড করাবেন। ফরহাদ মজহারের সাথে ছফার বন্ধুত্ব নিয়ে মন্তব্যকারীদের মনে করিয়ে দেই জাতীয় পতাকার শিব নারায়ণ দাশ, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছফার আমৃত্যু বন্ধু ছিলেন। ইত্তেফাকের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক নাজীমউদ্দীন মোস্তান ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ছফার অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আমৃত্যু। তাদের আরো মনে করিয়ে দেই ছফা ‘বাঙালি মুসলমানের মন’ও লিখেছেন আবার ‘শতবর্ষের ফেরারী বঙ্কিম’ও লিখেছেন, ‘গাভী বিত্তান্ত’ লিখেছেন আবার ‘পুষ্প বৃক্ষ এবং বিঙ্গপুরাণ’ও লিখেছেন। এসব বাদ প্রতিবাদ থেকেই গত বছর ছফার জন্মবার্ষিকীর আগে মনে করলাম ফরহাদ মজহারের সাথে ছফার বন্ধুত্ব যে শেষ পর্যন্ত টেকেনি তার অন্তর্নিহিত কথাটি খোলাসা করে দেই ছফার অগনিত ভক্তকূলের কাছে। আর তাই লেখা হয়েছিল ইত্তেফাকে প্রকাশিত ওই লেখাটি।



শাহবাগ আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ, সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব ইত্যাদি বিষয়ে কবি ফরহাদ মজহারের টিভি টকশোতে বক্তব্য, পত্রিকার কলাম নিয়ে নতুন করে আমি আজ আর কিছু বলছি না। এ বিষয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঈদ ফেরদৌস স্যার কয়েকটি মৌলিক প্রশ্ন তুলেছেন ফরহাদ মজহারের অবস্থানের বিষয়ে।



আমি ফরহাদ মজহার অথবা তার মতামত সম্পর্কে প্রশ্ন তুলবো না। ছফা ভাই আমাকে ওই প্রশ্নগুলোর সমাধান দিয়েছেন। সীমান্ত সংঘর্ষের অব্যবহিত পরে একটা লিফলেট খুব আলোচনার উদ্রেক ও শীর্ষ মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। ফরহাদ মজহারের চিন্তা নামক একটা ম্যাগাজিন ছিল [এখনও আছে কী না জানি না] । ওই ম্যাগাজিনটা যেখানে ছাপা হতো সেখানেই ছাপা হয়েছিল ওই লিফলেটগুলো, কঠোর গোপনীয়তায় বিলি হয়েছিল, এমন একটা খবর ছফা ভাই জেনেছিলেন।



অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে উত্তেজনা ও বিশৃংঙ্খলা বাড়াতে ফরহাদ মজহারের ৯৯ সালের লিফলেট ও আজকের এ ডিজিটাল যুগের টকশো-কলাম-মন্তব্য একই সূত্রে গাথা। তাই বলেছি, ফেরদৌস স্যারের মতো আমার কোনো প্রশ্ন নেই মজহারের কাছে। যেমনটা হয়তো ছিল না ছফা ভাইয়েরও।



জয়বাংলা। জয় হোক ছফাভক্তদের।



সিদ্দিকুর রহমান খান: ছফার শ্রুতিলেখক। নিউ এইজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আমি আওয়ামী লীগ করিনা, তার সমালোচনা করি, তাই আমি রাজাকার।

আমি সোনার ছেলেদের গুন্ডামীর কথা বললে আমি রাজাকার।

আমি ভারত তোষণের সমালোচনা করলে আমি রাজাকার।

এভাবে কাদের সিদ্দিকী সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা যারা আওয়ামী সন্ত্রাসের কঠোর সমালোচক, তারা রাজাকার।


যত্তোসব ফালতু!

আর কত??????????????????

পোষ্টের শিরোনাম "ছফা যে কারণে ফরহাদকে ত্যাগ করেছিলেন...

হা হা হা .......... কে কাকে ত্যাগ করে!

ছফার চেয়ে ফরহাদও কম কিসে!

একাডেমিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক যে কোন বিচারেই।

পোষ্টে মাইনাস।

বর্তমান সময়ে এই পোষ্ট ঘৃণ্য দালালির মতই মনে হোল।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
মুজিবের শাসন: একজন লেখকের অনুভব -

আহমদ ছফা

Click This Link

না-পড়া থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

আশমএরশাদ বলেছেন: Click This Link

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ফরহাদ মাজাহার আগেও বোমাবাজদের নগ্নভাবে সাফাই গাইতেন।

দেখুন


এটিও পড়ুন
Click This Link

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: আজকে সফা থাকার দরকার ছিল বালে তাইলে বুঝতো কত ধানে কত চাল ।
মুজিবের শাসন: একজন লেখকের অনুভব - আহমদ ছফা

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১

মতামত চাই বলেছেন: ফরহাদ মাজাহার আগেও বোমাবাজদের নগ্নভাবে সাফাই গাইতেন।



সহমত @হাসান কালবৈশাখী

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .

আওয়ামী সন্ত্রাস ও দুঃশাসনের এই টার্মে কয়েকজন বাঘের বাচ্চা।





৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: @আশরাফ মাহমুদ মুন্না ,

ছাগল তো আর ঘায়ে লেখা থাকে না ..........

যারা মাহচুদুর আর ফরহাদ কে সময়ের সাহসী সন্তান বলে

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪

দিশার বলেছেন: জামাত বিরোধী নাস্তিক , ফরহাদ মজহার , এখন বিশাল বড় জামাতি হয়ে গেসে কিসের জন্য জানতে মন চায়। কামিনী কাঞ্চন এর লোভ এই বুরা বয়সে এসেও ছাড়তে পারতেসেনা . অর লুঙ্গির তলে এখন শিবির এর গেলেমান পাওয়া যায় .

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

পুরানপাপী (শুধু চেহারা বদল) বলেছেন:

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

পুরানপাপী (শুধু চেহারা বদল) বলেছেন:

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আশমএরশাদ বলেছেন: জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় -- ফরহাদ মজহার
২০ বছর আগের ফরহাদ মজহারের সাথে আজকের ফরহাদ মজহারের একটা তুলনা

"অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে ঠিকই তো, আল্লার বিধানেই তো মানুষ চলবে, মানুষের আবার বিধান কিসের? ঠিক আছে। কোথায় আছে সেই বিধান? সেটা আছে কোরআনে, আল্লাহর কালামে। আর কোথায় আছে? আছে হাদিসে, নবীর কথায়, ‘তাঁর জীবন যাপনে। কিন্তু সেই কালাম, কথা এবং জীবনযাপন ব্যাখ্যা করে আমাদের সময়কালে গ্রহণযোগ্য বিধান কে দেবে? জামায়াতে ইসলামী বলছে সেটা দেবে তারা। কোরআন সম্পর্কে তাদের ব্যাখাই বিধান। তাদের কথা মতো আমাদের চলতে হবে, আমাদের রাষ্ট্রের নীতি, কাঠামো, আইন কি হবে তার ব্যাখ্যা দেবে জামায়াতে ইসলামী। সেটাই আল্লার বিধান আকারে আমাদের মানতে হবে। নবীর কথা এবং জীবনযাপনের ব্যাখ্যাও দেবে তারা। ওদের ব্যাখ্যাই হচ্ছে, আল্লাহর বিধান। দেখা যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী নিজেই আসলে আল্লাহর স্থান দখল করে নিতে চাইছে। এখানেই হলো জামায়াতে ইসলামীর সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক। জামায়াত গণতন্ত্রেরই শুধু শত্র“ নয়, জামায়াত ইসলামেরও শত্র“। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান খোলামেলাভাবে শেরেকী। আল্লাহর কালামকে ব্যাখ্যা করার স্বঘোষিত কর্তৃত্ব যারা গ্রহণ করে তারা আল্লাহর সঙ্গে শেরেকী করে। ইসলামের দৃষ্টিতে তারা আসলে কাফের।" ----মাজহার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.