নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলার নাই.........

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব

অনুিম রায়

বাঙালি কখনো প্রভুভক্ত নয়। এক প্রভু নিঃশেষ হয়ে গেলে বাঙালি আরেক প্রভু ধরে। আগের প্রভুর নিন্দায় ও নতুন প্রভুর জয়গানে মুখর হয়।

অনুিম রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা জীবনের শেষ প্রান্তে একজন ছাত্রের সহজ স্বীকারোক্তি..............

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪২





পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেঈমান কে ? আমি বলব “সময়”। কত না বিচিত্র এই সময়, কত না এলোমেলো। এই সময়কেই কখনো ধরা হয়নি আমার। সময় ছুটেছে তার গন্ত্যব্যে, আর আমি তার পিছন পিছন হেঁটেছি সদ্য হাঁটা শেখা শিশুর মত। এই সময়ের আহবানে ২০০৭ সালের ১লা জুলাই পদার্পন করি জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে। ভর্তি হই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে। সময়টা জানান দিচ্ছিল নতুন এক অনুভূতির, নতুন কিছু পাওয়ার, নতুন কিছু শেখার অথবা দেখার।



১/১ অথবা ১/২ সেমিষ্টারের কোন এক কাসে শফিক স্যার আমাদের সবাই কে গনহারে একটি প্রশ্ন করেছিলেন; সেটি হলো- আমরা কেন ইংরেজী সাহিত্য পড়তে এসেছি অথবা ইংরেজী সাহিত্য পড়ার উদ্দেশ্য কি ? সবাই মোটামোটি গটবাধা একটা উত্তর দিল যে তারা সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালবাসা অথবা জীবনকে বুঝার জন্যই ইংরেজী সাহিত্যে পড়তে এসেছে। কিন্তু আমার সাহিত্যের প্রতি কোন অগাধ ভালবাসা (তাও আবার ইংরেজী) ছিলনা কিংবা জীবনকে বুঝার কোন উদ্দেশ্য ছিলনা। আমি জীবনকে কখনো সিরিয়াস ভাবে দেখিনি কিংবা দেখতে ইচ্ছে করেনি। যে ভাবে জীবন চলছে তা তো মন্দ না (অন্তত আমার কাছে) , তবে জীবন চলুক জীবনের মত। সেদিন কাসে আমার বলার সুযোগ হয়নি। যদি হত তবে হয়ত বলতাম- “আমার বাবা আমাকে বলেছেন ইংরেজী সাহিত্যে পড়ার জন্য তাই আমি ইংরেজী সাহিত্যে পড়ছি” । তাছাড়া চাকড়ির বাজারে ইংরেজীর মার্কেট ভাল, আর কোন কারন বা উদ্দেশ্য নেই।।



সাহিত্য পড়তে বা বুঝতে যে শ্রম বা মনসংযোগ দেয়া দরকার তা আমার কোন দিনও ছিলনা। আমি পাগলা ঘোড়ার মতই অস্থির। ভার্সিটির কাস শুরু হবার পর থেকে অস্থিরতা আরো বেড়ে যায়। স্যার/ম্যাডামদের ল্যাকচার আমার কাছে বিটিভি’র ইংরেজী সংবাদের মত লাগত্।কত ক্লাস যে ঝিমিয়ে/ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি তার ইয়ত্তা নাই। ক্লাসে বসে মনে হতো- “এ কোন দুনিয়ায় এসে পরলাম রে বাবা”। সময় কিন্তু ঠিকই ছুটে চলেছে তার পথে...কান্তিহীন। কিন্তু কয়েকটি সেমিস্টার অতিবাহিত করার পর, আমার মধ্যে আরেক আমি’র সন্ধান পাই। এক নব জাগরনের গান শুনি প্রতিনিয়ত। অস্থির জগত থেকে প্রবেশ করি কল্পনার এক অসীম জগতে। কত কল্পনা সারা রাত জেগে থেকে ঠোট মিলিয়েছে ভোরের পাখির কলতানে; তার আর সীমা নাই। কবিতা কখনই ভালো লাগত না আমার যদিও আমার বাড়িতে কবিতার মোটামোটি বড় আকারের সংগ্রহ রয়েছে (উল্লেখ্য: আমার বড় ভাই বই পাগল মানুষ)। সেই আমি লিখতে শুরু করি কবিতা ! এমনকি সারা রাত কেটে গেছে কবিতার প্রেমে,তাকে কল্পনা করে, তাকে পাওয়ার আকুল বেদনায়। একটা বড় ধরনের ট্রান্সফরমেশান ঘটে গেছে আমার জীবনে, সেটা এতটাই নিরবে যে এটাকে বুঝতেই পারলাম না। সময় যে বড়ই বেয়াড়া। ইউনিভার্সিটির শিক্ষা শুধু মাএ একজন দক্ষ ভবিষ্যত কর্মচারীই তৈরি করেনা বরং একজন বুদ্ধিদীপ্ত সচেতন নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলাই এর প্রধান কাজ। এখানেই পেয়েছি সাহিত্যের সার্থকতা বা মৌলিকতা।



আজ ভার্সিটি জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে অবস্থান করছি। ভাবতেই অবাক লাগে সময় এত দ্রুত চলে গেল। এ যেন প্রেমিকার ভালবাসার মত ; আসে একবার কিন্তু চলে যায় বার বার। অনন্ত স্মৃতির মাঝে উজ্জল হয়ে থাকবে প্রথম যৌবনের কয়েকটি বছর, শত পাওয়ার আনন্দ, কিছু কিছু না পাওয়ার বেদনা, প্রথম কাস, ওরিয়েন্টেশান, প্রথম কাউকে ভাল লাগা, রাত জেগে আড্ডা, জমির মামার টং, শহীদ মিনার, বন্ধু-বান্ধবের কলরব, হাসি,রাগ,অভিমান....। শিক্ষা সফরের কথা কখনো ভুলার মত নয় (যদিও এটা কে আমার “আর্মি ট্রেনিং” মনে হয়েছে)। জীবনের এ পর্য়ায়ে এসে অনেকেই হয়ত হিসেব করবে লাভ-ক্ষতির সমীকরন। কিন্তু আমি করবনা, কারন আমি এমনই।



বিদায়ের নির্মম বাঁশি বাজতে শুরু করেছে। কান পাতলেই অনুভব করি বাতাসে তার স্পন্দন। জীবনের বাস্তবতায় কে কোথায় যাবে তা আমরা কেউ জানিনা। তবে, যে যেখানেই থাকো না কেন ভাল থেকো, অন্তত ভাল থাকার চেষ্টা করো। আর আমি....??? আমার আছে জানালার ওপাড়েই বিশাল আকাশ, বর্ষাস্নাক্ত কদম ফুল, রক্তরাঁঙা কবিতা অথবা কারো হারানো নূপুরের টুংটাং শব্দ । কোন এক শরতের রাতে গান গাইব হাজারো বরষার, সোনার তরীতে ভেসে যাব দু:খ গুলো গঙ্গায় বিসর্জনে, ঘাসফড়িং কিংবা চন্দ্রমল্লিকার রাতের খোঁজে..............

কোনদিন হয়তো দেখা হয়ে যাবে তোমাদের সাথে..... তোমরা থাকবে তো ?



অনুপম রায়

ইংরেজী বিভাগ,শাবিপ্রবি





মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫২

এ বি এম হায়াত উল্লাহ বলেছেন: অসাধারন অনুভুতি

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৭

অনুিম রায় বলেছেন: Thank you for your comment.

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫২

মোরশেদহ্যাপি বলেছেন: uh sad


such nostalgia actually cries us.it torments in the corner of our mind

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৮

অনুিম রায় বলেছেন: Definitely, nostalgia actually cries us.

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৩

জলমেঘ বলেছেন: কেন যেন বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেলেই ফেলে আসা সময়টাকে সবচেয়ে আপন মনে হয় ।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৬

অনুিম রায় বলেছেন: এটা মানব জীবনের সবচেয়ে বড় সীমাবব্ধতা। সব কিছুই চলে যায় শুধু রেখে যায় স্মৃতি।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৬

এল্মুর রেজা বলেছেন: ভাল লাগলো ভাই

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৫

অনুিম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৮

৭১৫০ বলেছেন: apnar lekha pore khb valo laglo.tai apnar baki lekha gulo pore fellam.lekha chaliye jben asha kri.

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৭

অনুিম রায় বলেছেন: সবগুলো লেখা পড়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। কারন বর্তমানে মানুষ জনপ্রীয় লেখক ছাড়া কারো লেখাকে গুরুত্ব দেয়না।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৪

নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: জটিল লিখেছেন।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৮

অনুিম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২০

অ্যাডলফ বলেছেন: জীবন চলে জীবনের নিয়মে.........।

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪৩

নিকোলাস বিপ্‌স বলেছেন: অনুপম, ভালো লিখেছ.।.।।


বিপুল ভাই (ইং ৫/১)

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪৮

আলআমিন মিরাজ বলেছেন: ছাত্র জীবনের স্মৃতি চাইলেও কোন দিন ভুলা যায় না :| নতুন দিনের জন্য শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.