নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যত অপ্রিয়ই হোক, সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না। আমি সদাই সত্যে অবিচল। অন্যের কাছে থেকে কিছু জানা আমার শখ।
আবহমান কাল ধরে আমাদের এই উপমহাদেশের আরবী শিক্ষিত কতিপয় আলেম-ওলামা নামধারী ব্যক্তিরা ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যে ব্যাখ্যা দিয়ে এসেছেন, তা এক কথায় বড়ই জটিল এবং চরম কঠিনও বটে। ইসলামকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে খুবই কঠিন একটা ধর্ম হিসাবে। কঠিন বিধি নিষেধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কঠিন ও রসকস বিহীন এক জীবন ব্যবস্থা হিসেবে তারা ইসলামকে ব্যাখ্যা করে এসেছেন। তাদের ব্যাখ্যা মানলে মুসলমানের জীবনে আরাম আয়েশ বলে কিছুই থাকে না। চোখের সামনে ভাসতে থাকে দাঁড়ি টুপিওয়ালা খটখটে কোন এক গুরুগম্ভীর মানুষ। অনুমিত হয়, হিন্দুধর্ম এবং অন্যান্য ধর্মের ছাঁচে তারা ইসলামকে টেনে এনেছেন নিজেদের অজান্তেই। সহজাতভাবে ভেবে নিয়েছেন, কঠোরতায় অনেক বেশী পূণ্য অর্জন করবেন। কঠোরতার জালে নিজেদের জড়াতে গিয়ে যুগে যুগে তারা ফরজের চাইতেও অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন নফল এবাদতের। নানা নফল এবাদতের বেড়াকলে নানা মনগড়া ব্যাখ্যায় মানুষকে কঠোর থেকে কঠোরতার দিকেই ঠেলে দিয়েছেন। ধর্মবেত্তারা সাধারণ মানুষজনের কাছে নফল এবাদতের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে করেই জীবন পার করে দিয়েছেন। সাথে পীর-দরবেশের নানা নফল মুস্তাহাবের রেফারেন্স তো আছেই, আছে তাদের কঠোর জীবন যাপনের চটকদার কাহিনীও। টুপি দাড়ি না হলে ধর্ম হবে না, ইংরেজদের মত প্যান্ট শার্ট পড়লে, বা ইংরেজী শিখলে মুসলমান থাকা যাবে না, ইত্যকার মনগড়া ফতোয়ায় তারা নিজেদের অজান্তেই ইসলাম ধর্মের বারটা বাজিয়েছেন। ধর্মবেত্তাদের এই কর্মযজ্ঞের ফলস্বরুপ এই উপমহাদেশের মানুষ টুপি পাওয়া না গেলে নামাজই পড়েন না। ফরজ নয়, কেবল নফল, সুন্নত, ওয়াজিব মোস্তাহাবের গুরুত্ব বর্ণনা্ করেই তারা ক্ষান্ত হয়েছেন। কোরআন নয়, দূর্বল আর জাল হাদীসগুলোকেও তিলকে তাল বানিয়ে সাধারণ মানুষের সামনে পেশ করেছেন। বেশীদিন আগের কথা নয়, প্যান্টশার্ট পরা থাকলে মসজিদে ঢোকা যেতো না। ফরজ নামাজ না পড়লেও, তারাবীর নামাজ তারা ঠিকই পড়েন। ফরজ নামাজ পড়েন না, কিন্তু শবে বরাতের রোজা, মহরমের রোজা. শাওয়াল মাসের রোজা ঠিকই রাখেন। কেউ কেউ আবার শির্ক মিশ্রিত এবাদতেও লিপ্ত হয়ে পড়েন। এসব মানসিকতায় সাধারণ মানুষের দোষ দেয়া যায় না। ধর্মবেত্তাদের যুগে যুগে কঠিন পরিশ্রমের (কু)ফল এটা। যার কারনে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ জীবনের সব কাজ শেষ করে বৃদ্ধ বয়সে ধর্মকর্ম করবেন বলে নিয়ত করে থাকেন। অনেক যুবককেই বলতে শোনা যায়, এটা কি ধর্মকর্ম করার বয়স? ধর্ম কি এতো সহজ?
এবার আসুন কোরআন থেকেই শুনি।
আমি তোমার উপর কুরআন এ জন্য নাযিল করিনি যে তুমি দু:খ-কষ্ট ভোগ করবে। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত: ১-২)
আল্লাহ তোমাদের পক্ষে যা সহজ আল্লাহ্ তাই চান ও তোমাদের পক্ষে যা কষ্টকর তা তিনি চান না...”[সূরা বাকারাহ্; ০২:১৮৫]
আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না। (সূরা আল মায়েদা, আয়াত ৬)
“তিনি (আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন) দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি’ ”[সূরা হজ্ব; ২২:৭৮]
‘আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাজিল করেছি; সেটি এমন যে, প্রত্যেক বস্তুর সত্য ও সুস্পষ্ট বর্ণনা; হেদায়াত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্য সুসংবাদ (সূরা নাহল, আয়াত ৮৯)।
আল্লাহতালা সহজ করে দিলেও, গোমরাহীতে লিপ্ত লোকেরা কঠোরতার পথ বেছে নিয়েছে। আল্লাহপাক বলেন, ‘একদল লোককে তিনি সঠিক পথ দেখিয়েছেন, আর দ্বিতীয় দলটির উপর গোমরাহী ও বিদ্রোহ ভালোভাবেই চেপে বসেছে; এরাই (পরবর্তী পর্যায়ে) আল্লাহ তালাকে বাদ দিয়ে শয়তানদের নিজেদের অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে, (এ সত্বেও) তারা নিজেদের হেদায়াতপ্রাপ্ত মনে করে। (সুরা আল আ’রাফ ৭: ৩০)
জীবনকে শরীয়ত সম্মতভাবে উপভোগ করার জন্যে আল্লাহপাক বরং তাগিদ দিয়েছেন, একই সুরার পরবর্তী আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, হে আদম সন্তানেরা, তোমরা প্রতিটি এবাদতের সময়ই তোমাদের সৌন্দর্য গ্রহন করো, তোমরা খাও এবং পান করো, তবে কোন অবস্থাতেই অপচয় করো না। আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না। (সুরা আল আ’রাফ ৭: ৩১)
‘(হে নবী)তুমি বলো, আল্লাহতালার (দেয়া) সেসব সৌন্দর্য এবং পবিত্র খাবার তোমাদের জন্যে কে হারাম করেছে? যেগুলোকে তোমাদের জন্যে আল্লাহতালা স্বয়ং উদ্ভাবন করেছেন ; তুমি বলো এগুলো হচ্ছে যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্যে পার্থিব পাওনা, (অবশ্য) কেয়ামতের দিনও এগুলো ঈমানদারদের জন্যেই (নির্দ্দিষ্ট থাকবে); এভাবেই আমি জ্ঞানী সমাজের জন্যে আমার আয়াতসমুহ খুলে খুলে বর্ণনা করি।’ (সুরা আল আ’রাফ ৭: ৩২)
নিম্নোক্ত হাদিসটিও উপরিউক্ত আয়াত দুটির স্বপক্ষের দলীলঃ
“দ্বীন সহজ এবং যে কেউ দ্বীনকে নিজের জন্যে কঠিন করে ফেললে সে তা আর পালন করতে পারবেনা। সুতরাং, তোমাদের উচিৎ হবে না চরম পন্থীহওয়া। বরং সাধ্যমত নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা কর এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর যে তোমরা প্রতিদান প্রাপ্ত হবে; এবং সকালে ও রাতে ইবাদতের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় কর।” [সহীহ্ আল-বুখারী; ১:২:৩৮]
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : অবশ্যই
ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: অযথা কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি এ কথাটি তিন বার বলেছেন। (মুসলিম)
হযরত আয়শা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী করিম (দ) সাহাবীদের কোন আমলের আদেশ করিতে এমন আমলের আদেশ করিতেন যা সর্বদা সহজে করে নেয়া সম্ভব হয়। সে জন্যে তিনি যথাসম্ভব অল্প ও সহজ আমলের শিক্ষা দিতেন। সাহাবীগণ নেক কাজের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহশীল ছিলেন। তারা বেশী বেশী ও কঠিন কঠিন এবাদত ও সাধনা নিজেদের উপর টেনে নেওয়ার চেষ্টায় থাকতেন এবং মনে মনে এরূপ ভাব পোষন করতেন যে, রসুল (দ) নিষ্পাপ, তার মর্তবা অতি উর্ধ্বে, সেজন্যে এবাদতের প্রয়োজন তার নেই। এই ভেবে তারা কোন কোন সময় বলে ফেলতেন, এয়া রসুল (দ) আমরা তো আপনার মতো নই, আপনি সম্পূর্ণ নিষ্পাপ-পূর্বাপর সমস্ত গুনাহই আপনার জন্যে মাফ করে দেয়া হয়েছে। (তাই আপনার ন্যায় আমরা কম এবাদত করলে চলবে কেন?) এরূপ শুনে রসুল (দ) রাগান্বিত হয়ে উঠতেন। তার চেহারা মোবারকের উপর রাগ প্রকাশ পেতো।) তারপর ঐ ভুল ধারনা নিরসনে বলতেন-নিশ্চয় জেনো, আল্লাহকে আমি সবচেয়ে বেশী ভয় করে থাকি। কারণ, আল্লাহর মা’রেফাত ও তত্ত্বজ্ঞান সকলের চেয়ে বেশী আছে আমার। (বুখরিী ১ম খন্ড, হাদীস নং-১৯ (ঈমান অংশ)
হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত আছে, নবী করিম (দ) বলেছেন, দ্বীন (অর্থাৎ দ্বীনের বিধি বিধান ও তার পন্থাসমূহ) অত্যন্ত সহজ ও সরল। কিন্তু যে কোনও ব্যাক্তি দ্বীনের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করতে সে পরাজিত হবে। তাই সকলের কর্তব্য হবে, ঠিকভাবে দৃঢ়তার সাথে ইসলামের নির্দেশিত পথ অবলম্বন পূর্বক অতিরিক্ত তাড়াতাড়ি বা বাড়াবাড়ি না করে ধীরস্থির গতিতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে চলা এবং আল্লাহর রহমত ও করুনার আশা পোষন করা। (বুখরিী ১ম খন্ড, হাদীস নং-৩৫ (ঈমান অংশ)
এটা জানা কথা যে, রাসূল মুহাম্মদ সা: ধর্মীয় বিষয়ে বাড়াবাড়ি বা চরম পন্থাকে সর্বদাই প্রতিরোধ করেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবন আমর রা:-কে এক দিন তিনি বললেন, আমি কি এটা ঠিক শুনেছি যে, তুমি প্রতিদিনই রোজা রাখো এবং সারা রাত সালাত আদায় করো?’ তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসূল সা:।’ তখন রাসূল সা: বলেছিলেন, তা কোরো না। রোজা রাখবে। আবার খাওয়াপিনাও করবে। সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়াবে; আবার ঘুমাবেও। কারণ তোমার ওপর তোমার দেহের অধিকার আছে; তোমার ওপর তোমার চোখের অধিকার আছে; তোমার স্ত্রীর অধিকার রয়েছে তোমার ওপর; তোমার মেহমানেরও অধিকার আছে তোমার ওপর’ (আল বুখারি, ১২৭)।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: আপনি কোন গ্রুপের মোল্লা?
লিবারেল বাম, নাকি খাজাবাবা?
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবাই ইসলামের "ভাব সম্প্রসারণ" করাতে ইসলাম "সম্প্রসারিত" হচ্ছে ক্রমাগতভাবে
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ইসলাম একটি সহজ সরল সত্য ধর্ম । এর প্রতিপালন আল্লাহ খুবই সহজ করে দিয়েছেন । যারা সত্য পথে থেকে কোরান ও হাদিস অনুসরণ করে সঠিকভাবে ধর্ম পালন করতে চায় তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহ তায়ালার অশেষ দয়া , রহমত ও পরিস্কার দিক নির্দেশনা ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহ অন্যান্য ফরযগুলো আদায় করে তারাই নফলের কথা চিন্তা করে। বাকী যারা আছে তারা মওসুমী নফল এবাদতগগার। এরা ধর্মটাকে শটকাট করতে চায়, যেমনটা আপনার পোষ্টের উদ্দেশ্য।
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মোল্লারা ইসলাম বিষয়ে ১৬ বছর পড়িয়াও অর্ধশিক্ষিত , আর আফনে না পড়িয়াই পূর্ণ শিক্ষিত ! পুরান পাগলে ভাত পায় না , নতুন পাগলের আমদানি !
৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২০
রাখালছেলে বলেছেন: হুম ..ধর্মের মধ্যে এত মতপার্থক্য ।
৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ ধর্ম ইসলাম। অথচ আমাদের অর্ধশিক্ষিত মোল্লারা এটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন ধর্মে পরিণত করেছেন।
সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ।
এই সমস্যা সেই প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। এর সমাধান দরকার। মুসলিম সবাইকে এক হাতে হবে।
৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৮
chondrobhuk বলেছেন: রামছাগলের মত কথা। ইসলাম আল্লাহর বিধান, এর আবার সহজ কঠিন কি ? লিবারেল ইসলাম, র্যাডিক্যাল ইসলাম, মডারেট ইসলাম কত কি।
১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:০৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: এই মোল্লাদের ইসলামের নামে ভয়ংকর একটি বানোয়াট কথা হচ্ছে : মেয়েরা তেতুঁলের মত !
এই একটি কথাই যে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করবে ছাগলে বুঝেনা !
এইভাবে এইসব বাংলাদেশী মোল্লা-হুজুররা ইসলামকে একটা জঘন্য ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করে চলেছেন।
আসলে কিন্তু ইসলাম তা নয়।
১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
মিঃ আতিক বলেছেন: মসজিদের ইমাম সাহেব ও ইসলাম পালন করেন, ডঃ ইউনুস, সুলতানা কামালরাও ইসলাম মানেন মানে মুসলিম।কে কোন শ্রেণীর এটা বুঝা যায় কর্মে।
১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ সত্য ধর্ম ইসলাম। অথচ আমাদের অর্ধশিক্ষিত মোল্লারা এটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন ধর্মে পরিণত করেছেন। মুসলমানদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভিবক্ত করে ফেলেছেন। ধর্মটাকে শুধু পরকালের মুক্তির উপায় করে ফেলেছেন; এটাযে মানুষের জীবন বিধান, সেই উপলব্ধিটা মানুষ ভুলে যেতে বসেছে।
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ...
এই সমস্যা সেই প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। এর সমাধান দরকার। মুসলিম সবাইকে এক হতে হবে।
১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মন্তব্য এডিট করার সুযোগ নাই। কিছু বানান ভুল আছে। আর পুরোটাই বোল্ড হয়ে গেছে। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধর্মে পরিপূর্নভাবে দাহেল হতে হবে, তবেই ধর্মের মর্মবানী বুঝে অাসবে। অাপনার উপরোক্ত আলোচনা অনেক ভাল লেগেছে। তবে আমরা মানুষ ভুলের উর্দ্দে নয় আল্লাহ গাফুরুর রাহিম ওনি ক্ষমা করবেন। তবে দোষা দোষি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নাইলে সঠিক ধর্ম পালন করা হবেন না। যে যার সাধ্যমতে পালন করছে কেহ বুঝে কেহ না বুঝে বুঝদারদের কর্তব্য কুরআন- হাদিসে এমন আছে আপনি এমন ভাবে চলতে চেষ্টা করুন আর অবুঝদার তা মেনে চেষ্টা করা উচিৎ দলা-দলী এসব ধর্মেল বারটা বাঝাচ্ছে। আল্লাহ আমাদের সঠিক দীন পালন করার তৈফিক দান করুন। আমীন।
১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
১. একতরফা এক দিকের কিছু আয়াত এবং হাদিস নিয়ে এসেছেন। এর বিপরীতে কুরআন এবং হাদিসের যে আলোচনা রয়েছে তা উল্লেখ না করার কারনে পোস্টটি একপেশে মনে হল। আপনার উল্লেখিত আয়াত এবং হাদিসগুলো দেখলে যে কেউ ভেবে নিতেই পারেন, ইসলাম একটি কলা গাছের ভেলা, এতে কোনমতে চরতে পারলেই হল, অমনি জান্নাতে গিয়ে উপনীত হয়ে যাবেন। জান্নাত যেন মামুর বাড়ি। এর বিপরীতে যে অসংখ্য আয়াত এবং হাদিস রয়েছে সেগুলো সযত্নে এড়িয়ে গেলেন কেন?
২. আলেম-ওলামাদের আপনার দৃষ্টিতে অর্ধশিক্ষিত মনে হওয়ার কারন কি? বাংলায় বুখারী শরীফ পড়ে আর কুরআন শরীফের বঙ্গানুবাদ পড়ে, কিছু আয়াতের অর্থ জানা আর পাশাপাশি কিছু হাদিসের অনুবাদ শিখলেই কি তাকে জ্ঞানী (আলেম) বলা যায়?
৩. আলেমের ফজিলত মর্যাদা মর্তবা সম্পর্কে অাপনি কতটুকু জানেন? কুরআনে তো এসেছে, আল্লাহ পাক বলেছেন, 'ইন্নামা ইয়াখশাল্লাহা মিন ইবাদিহিল উলামা-' অর্থাৎ, 'সত্যিকারার্থে আল্লাহকে ভয় করেন কেবল তাঁর জ্ঞানী (আলেম) বান্দাগনই'। সহীহ হাদিসে এসেছে- কিয়ামতের দিন বান্দার কোন ফরজ আমলে ঘাটতি দেখা দিলে মহান রবের অনুকম্পায় সে ব্যক্তির কোন নফল আমল আছে কি না তালাশ করতে বলা হবে। নফল পাওয়া গেলে তা থেকে নিয়ে সেই ফরজের ঘাটতি পূরন করা হবে। প্রিয় ভাই, যাদের নফল আমলে এত নাক ছিটকানোর অভ্যাস, আলেম-ওলামাদের প্রতি এত বিদ্বেষ যে অন্তরে, তাদের অবস্থা কী হবে? আপনার কথায় তো বোঝা যায়, তাদের হিসাব নিকাশের ঝামেলায়ই যেতে হবে না! হাশর কায়েম হল, অমনি তারা জান্নাতের সিঁড়ি বেয়ে একেবারে ভেতরে গিয়ে আসন নিয়ে নিবেন!
৪. আমরা জানি, এক শ্রেনির বিভ্রান্তিতে নিপতিত আপটুডেট নামধারী মুসলিম সমাজে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে মুসলিম জাতিকে আমলশুন্য করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এদের পেছনে ইন্ধনদাতারা থাকেন বরাবর ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সুদূরপ্রসারী এই চক্র সুকৌশলে কুরআন-হাদিসের দলিল দিয়ে চমকদার কথামালায় ফাঁদে ফেলে মুসলিম জাতির সূর্যসৈনিক যুবসমাজকে টার্গেট করে চলে। এদের চক্রান্তও যথেষ্ট শক্তিশালী। আগাগোড়া কুরআন হাদিসের দোহাই দিয়ে যাবে। তলে তলে উদ্দেশ্য হল, মুসলিম জাতিকে আমলশুন্য করা। তাদের 'কথা সত্য তবে মতলব খারাপ'। দলিল কুরআন হাদিস, উদ্দেশ্য মুসলিমদের বিভ্রান্তিতে ফেলা। সময় সুযোগ হলে এ বিষয়ে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে থাকল।
সর্বশেষ কথা, আলেম ওলামাগন প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায়- তাঁরই উত্তরসূরী। ইসলাম আগমনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোন কাল এমন যায় নি, যখন পৃথিবী আলেমশুন্য ছিল। সারা পৃথিবীর সকল আলেমের প্রথম মহান শিক্ষক আলেমকূল শিরোমনি স্বয়ং প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কোন হাদিসকে অপমান অবজ্ঞা করলে, তা যেমন প্রিয়তম রাসূলের কলিজায় আঘাত করে, তেমনি কোন সত্যিকারের আলেমকে অবজ্ঞা করা হলে, প্রকারান্তরে তা রাসূলেরই গায়ে গিয়ে লেগে যায়। সুতরাং আমাদের ভেবে দেখা উচিত, আমরা কারও পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছি না তো?
সকল মন্তব্য মনযোগের সাথে দেখেছি। কয়েকটি বেশি ভাল লেগেছে। যেমন-
১. শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহ অন্যান্য ফরযগুলো আদায় করে তারাই নফলের কথা চিন্তা করে। বাকী যারা আছে তারা মওসুমী নফল এবাদতগগার। এরা ধর্মটাকে শটকাট করতে চায়, যেমনটা আপনার পোষ্টের উদ্দেশ্য।
২. টারজান০০০০৭ বলেছেন: মোল্লারা ইসলাম বিষয়ে ১৬ বছর পড়িয়াও অর্ধশিক্ষিত , আর আফনে না পড়িয়াই পূর্ণ শিক্ষিত ! পুরান পাগলে ভাত পায় না , নতুন পাগলের আমদানি !
৩. মিঃ আতিক বলেছেন: মসজিদের ইমাম সাহেব ও ইসলাম পালন করেন, ডঃ ইউনুস, সুলতানা কামালরাও ইসলাম মানেন মানে মুসলিম।কে কোন শ্রেণীর এটা বুঝা যায় কর্মে।
প্রত্যেককে মোবারকবাদ। পোস্ট লেখককেও।
আল্লাহ পাক আমাদের দ্বীন-ঈমান-আমল হেফাজত করুন। আমীন।
১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৭
কানিজ রিনা বলেছেন: নতুন নকিবের সাথে একমত, আল্লাহ্
আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সাথেই
ফরজ সুন্নাত নফল মিলিয়ে দিয়েছেন।
সতরাং নফলের সন্দেহ করার সুযোগ
নাই।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে মানুষের
সাথে ভাল ব্যবহার নিষ্ঠা সততা ফরজ
ইবাদতের সামীল। মুসলমান ভাই ভাই
একসাথে বসে আল্লাহর প্রশংসা নবী
মোহাঃসঃ আদর্শ কোরআন হাদীস
মোতাবেক আলাপ আলোচনা নফল
ইবাদত। যেটাকে বলা হয় মিলাদ
মাহ্ফীল। পাড়া প্রতিবেশী নিকট আত্বীয়
নিজের পরিবারের সাথে সৌহার্দতা রাখা
ফরজ ইবাদতের সামীল।
আল্লাহর নিশিদ্ধ ঘসিত কাজ থেকে
বিরত থাকাও ফরজ ইবাদত।
প্রতিটি কাজ কর্মে সততার সাথে
পালন করাও ফরজ ইবাদত।
ফরজ ইবাদত শুধু নামাজের মধ্যে
সীমাবদ্ধতা নয়। সেই সাথে সুন্নাতনফল
অসংখ্য ইবাদত পরিপূর্নতা আনে
ফরজ ইবাদতের। এগুল কখনই
খুব কঠিন না। সহজ থেকে সহজওতর।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
বিজন রয় বলেছেন: কেন এমন হয়!!
মানুষ কেন এমন করে?