নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যত অপ্রিয়ই হোক, সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না। আমি সদাই সত্যে অবিচল। অন্যের কাছে থেকে কিছু জানা আমার শখ।
ধর্ম বিদ্বেষীরা একটা সহজ সরল উদাহরন দিয়ে বুঝাতে চান যে, পৃথিবীর সকল মানুষ শান্তিতে মিলে মিশে বসবাস করছিল, ধর্ম এসেই মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে নানা যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্ম দিয়েছে। ধর্ম না থাকলে পৃথিবীতে আবারও শান্তি ফিরে আসবে। তাই ধর্ম ত্যাগ করার মধ্যেই মানবতা ও কল্যাণ আছে বলে তারা প্রচার চালান। আপাতঃ দৃষ্টিতে দেখলে তাদের এসব কথায় যুক্তি আছে বৈকি।
কিন্তু তাদের একথা একেবারেই সত্য নয় যে, একটা সময় পৃথিবীতে কোন ধর্ম ছিল না। যেদিন থেকে মানুষের বিবেক ডেভেলপ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই ধর্ম পৃথিবীতে স্থান গেঁড়ে নিয়েছিল। আব্রাহামিক ধর্মই ছিল গোড়া থেকে। একের পর এক নবি রাসুল পৃথিবীতে এসেছেন এবং আল্লাহর বানী মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। কোন নবি রসুল কখনোই কোন বিভেদ ছড়াননি। তারা একেশ্ববাদ প্রচার করেছিলেন মাত্র।
একটিবার পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখুন তো, সামান্য কারনেই ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি, কালোয় সাদায় হানাহানি, এক বাড়ির লোকের সাথে আরেক বাড়ির হানাহানি, এক পাড়ার লোকের সাথে আরেক পাড়ার হানাহানি, এক সম্প্রদায়ের সাথে আরেক সম্প্রদায়ের, এক জাতির সাথে আরেক জাতির, একদেশের সাথে আরেক দেশের হানাহানি। এখানে কি কেবল ধর্মই বিভেদ সৃষ্টি করেছে? একই ধর্ম আর একই মতাদর্শের হওয়া সত্বেও এরা হানাহানি করেই চলেছে।
একটা গল্প শুনুন।
আপেল গাছের এক আপলে আরেক আপেলকে বলছে, পৃথিবীর দিকে একবার তাকিয়ে দেখ। মানুষে মানুষে কত হিংসা, কত হানাহানি। এইভাবে হানাহানি করতে করতে মানুষ জাতি এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর তখন গোটা পৃথিবী আমরাই শাসন করবো। অপর আপেলটি বললো, তা তো ঠিক। তবে আমাদের মধ্যে কারা? কাঁচারা নাকি পাকারা?’
পৃথিবীর নানা বিভেদ আর হানাহানির জন্যে যারা কেবল ধর্মকেই দায়ী করছেন, তারা তাদের দৃষ্টিকে একটু প্রসারিত করলেই বুঝতে পারবেন, পৃথিবীর মানুষে মানুষে নানা ধর্মের বৈচিত্র্যের কারনে বিভেদ একটু সৃষ্টি হয়েছে এটা কিঞ্চিৎ সত্য হলেও, প্রকৃত সত্য আসলে তা নয়। এই বিভেদ মানুষের সহজাত। এটাই সৃষ্টির বৈচিত্র্য।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৫
সনেট কবি বলেছেন: সহমত
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সত্যি কথা এই পৃথিবীতে ধর্মের কারনেই সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ মারামারি হানাহানি হয়েছে। আমাদের নবীজীকেও অনেক বার যুদ্ধ করতে হয়েছে।
ধর্ম না থাকলে সভ্যতা আরও বেশি বেগবান হতো।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর পোস্টে ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
ইনাম আহমদ বলেছেন: কাপুরুষ নকিব সাহেব আমাকে উনার মৌলবাদি পোস্টে কমেন্ট করার পর ব্লক মেরেছেন। আহাব সাহেবের কমেন্ট ডিলিট করেছেন। ঢাবিতে আমারও সিট ছিলো প্রথম ৫০০ জনে। ভর্তি হইনি কারণ আরও ভালো সুযোগ ছিলো্। আর এই ছাগল যে কিনা ব্লগে ওয়াজ করা ম্যাওপ্যাও পোস্ট দেয় সে নিজেরে ঢাবীয়ান পরিচয় দিয়ে উদ্ধার করে দেশকে।
আমাদের মতো স্টুডেন্টদের সিটগুলোতেই পড়ে এই ছাগলরা নিজেদের মহা জ্ঞানি মনে করে।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
আমি নই বলেছেন: রাজনীতি, ক্ষমতার লোভ, স্বার্থপরতা, আধিপত্ত বিস্তার এগুলাই বিভেদের মুল কারন।
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
শহীদ আম্মার বলেছেন: আসলে অনেক মানুষ মারাত্বকভাবে কিপটা। না হয় আমি সারাজীবন ধরে একটা সামান্য "থিম" খুুঁজছি যেটাতে মানুষের মধ্যে কোন বিভক্তি তৈরী হবেনা। বিশ্বাস করেন, অনেকের কাছে আছে কিন্তু তারা আমাকে দিচ্ছেনা। নিশ্চয় কবরে নিয়ে যাবে। না হলে কার জন্য এটা লুকিয়ে রাখা?
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
শহীদ আম্মার বলেছেন: @রাজীব নুর :
"সত্যি কথা এই পৃথিবীতে ধর্মের কারনেই সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ মারামারি হানাহানি হয়েছে।"
দুঃখিত! জনাব রাজীব নুর,
এটা সত্য নয়। ইতিহাস এটা বলেনা। এটা ইসলামের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ। আপনাকে পড়তে বললে বেয়াদবী হবে।পারলে পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসটা একটু দেখতেন ভাল হতো।
মনে কষ্ট নিবেন না।
৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সারা পৃথিবীতে একটি ধর্ম আর ভাষা থাকলে সমস্যা অনেক কমে যেত। এখন কেবল ঝামেলা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
ইনাম আহমদ বলেছেন: মতাদর্শ বিভেদ সৃষ্টি করে বৈকি। তখন, যখন মানুষ যুক্তি-বিবেক ছেড়ে ধর্মের ব্যবসায়ীদের অনুসরণ করে, অর্থাৎ মৌলবাদী হয়।
তাবলীগের সাদ-পার্টি আর অ্যান্টি সাদ পার্টির মাঝে সন্ধি কতদূর এগোলো? সৌদি আর ইরান কবে বন্ধু হলো?
আপনি কি ফিলিস্তিনের পাশে থাকা রাষ্ট্রটিকে কখনো স্বীকৃতি দেবেন? ভারতীয়রা কি গরুরক্ষা কর্মসূচী বন্ধ করে মুসলিমদের গরুহত্যার স্বাধীনতা দেবে?
ধর্মকে ধর্মব্যবসায়ীমুক্ত, মৌলবাদমুক্ত করতে পারবেন আপনি? রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধর্মের কান্ডারীদের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের চেষ্টা বন্ধ করতে পারবেন?
যতদিন না পারছেন, এটা স্বীকার করতে বাধ্য থাকবেন যে ধর্ম বিভেদের কারণ।