| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাত্তরে আমি জন্মাই নাই। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো আমি ইতিহাস পড়ে জেনেছি। কোন চেতনায় সে যুদ্ধ কে গৃহযুদ্ধ বলা হয় তাও বুঝি। কিন্তু কোন বিবেক মানুষের রক্ত দেখে উল্লসিত হয়, কোন বিবেক সে উল্লাসের ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা ব্যাখ্যা করে সেটা ভেবে আমি অবাক হই। সেকালে যারা ২৫ মার্চ এর রক্তপাত দিয়ে পাকিস্তান রক্ষা করতে চেয়েছিল আমি ভেবে অবাক হই, কি করে তারা ভাবতে পারল মানুষকে মেরে ফেললে তার অধিকারবোধ মরে যায়? কেন তারা ভাবল ভয় দেখালে মানুষের বিবেকের শক্তি কমে যায়? এটা এক ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক অন্ধত্ব যা তাদের গ্রাস করেছিল।
মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার সরবাগ্রে। কোন মানুষ পারেনা অন্য মানুষের মৃত্যু তার স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে। বরং অন্যের প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করাই প্রকৃত মানবতা। যে আইন হত্যার বদলে হত্যার কথা বলে সে আইন আরও হত্যা বন্ধের জন্য একটা মানবিক প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টা কতটা সফল তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে কিন্তু যার বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর প্রিয়জনের আকুতির মূল্যায়ন করা যে জরুরি সে ব্যাপারে কি সন্দেহের অবকাশ আছে? যে মানুষ বেঁচে থাকার প্রচণ্ড আকুতি নিয়ে মানুষের নিষ্ঠুর মনোবৃত্তির বলি হল সে মৃত্যুর আগে কি বলে গেল? সে কি পৃথিবীর বেঁচে থাকা মানুষদের কাছে একটা দায়িত্ব দিয়ে গেলনা?
২|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫১
আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
আশফাক সুমন বলেছেন: " সেকালে যারা ২৫ মার্চ এর রক্তপাত দিয়ে পাকিস্তান রক্ষা করতে চেয়েছিল আমি ভেবে অবাক হই, কি করে তারা ভাবতে পারল মানুষকে মেরে ফেললে তার অধিকারবোধ মরে যায়?"--- সহ মত আপনার সাথে ।