নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতায় ইসরায়েলি হামলায় আরো অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই নিয়ে প্রায় চার সপ্তাহের হামলায় প্রায় ২ হাজার জন ফিলিস্তিনির প্রাণ ঝরে গেছে। তাদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ। এর মধ্যে ৪৪৮ জন শিশু ও ২৩৫ নারী। ৭২ ঘণ্টার মেয়াদ শেষ যুদ্ধ আবার শুরু।
নতুন করে যুদ্ধ বিরতিতে রাজী নয় কোন পক্ষ।
এই ছোট্ট গাজা ইদুরের প্রাণ নিয়ে কেন ইসরাইলের মত কেউটের সাথে লড়ে যাচ্ছে?
উত্তর সহজঃ
এটি বুঝতে হলে আমাদের একটু পেছনে ফিরে তাকাতে হবে। ১৯৪৬-৪৭ সালে পশ্চিমা বিশ্ব প্রথম সাারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইহুদেরকে এনে ফিলিস্তিনে স্থাপন করে। মহাত্বা গান্দি তখন বলেছিলেন "ভবিষ্যত পৃথিবির জন্য একটি সমস্যার বীজ রূপন করা হলো। কেবল গান্দীজী নয়, অনেক বিশ্ব নেতাই তখন এমনটি বলেছিলেন। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব তখন দূর্দান্ত অবস্থানে। স্বদ্য যুদ্ধজয়ী বিশ্ব দখলকারী সামরিক গুষ্টি তখন তারা। বসিয়ে দিলো ইয়াহুদিদের আরব ভূমিতে, সম্পুর্ণই গায়ে র জোড়ে। এর পর ধিরে ধিরে তারা দখন করে নিলো ৮০ ভাগ ফিলিস্তিনি ভূমি, গাজা রইলো ঠিক কিন্তু অবশিষ্ঠ সামাান্য ফিলিস্তিন থেকে হয়ে গেলো বিচ্ছিন্ন। এক দিকে মিশর দুই দিকে ইসরাইল এবং এক দিকে সাগর। এই সাগরটিও নিয়ন্ত্রন করে ইসরাইল। মাত্র ৩০০ (+-) বর্গমাইলের গাজা এলাকার নিজস্ব কোন উৎপাদন নাই। উৎপাদন করার যায়গাও নাই এর মাঝে বসত করে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ। জীবন তাদের এমনি বাচেনা। তার উপর তাদের উপর ইসরাইল এবং মিশর গায়ের জোড়ে ৮ বছর যাবত জারি করে রেখেছ পরিবহন এবং বানিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা। নাই বহিঃবিশ্বের সাখে কোন যোগাযোগ। এমন কি তাদের নিজের দেশে ফিলিস্তিনের সাথে যোগাযোগ করতেও ইসরাইলের দয়ার উপর র্নিভর করতে হয়। দয়াও দইবাত মেলে। এমন কি জাতিসংঘের ত্রান পরিবহকারি জাহাজ পর্যন্ত সেখানে যেতে দেয়া হয়না। জীবণ তাদের বাচেনা। এখন কেবল মৃত্যুর অপেক্ষা। নিরব মৃত্যু। এমনি এক সময়ে ইসরাইল হঠাতই বলে বসলো তাদের ৩ সেনাকে অপহরণ করেছে হামাস। সেই অযুহাতে আক্রমন করা হলো গাজার উপর।
যুক্ত রাষ্ট ইরাক আক্রামন করেছিলো জীবানু অস্ত্রের ধূয়া তুলে। যুদ্ধ শেষে নাটকিয় ভাবে বলে গেলো ইরাকে কোন জীবানু অস্ত ছিলোনা। আসলে তত্বের ভুল। যে কারনে তারা যার পর নাই দুঃখিত।তবে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।
ইসরাইল ও কয়েক দিন আগে জানালো সেনা অপহরনের সাথে হামাস জড়িত নয়। বাহঃ কি দারুন মিল। তাদেরও যুদ্ধ থামলোনা। নির্বিচারে নারী ও শিশু হত্যা করছে, গন হত্যা। নিরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে মিশর এবং সৌদি, আর কাতার। এখন গাজার সামনে পথ একটিই, হয়তো লড়ো নয়তো মরো। আর এক কারণেই গাজা লড়ছে।
আর ইসরাইল এর লক্ষ হলো সম্পুর্ণ ফিলিস্তিন। কিভাবে ধাপে ধাপে ফিলিস্তিন রাষ্ট হয়েগেলো ইসরাইল তা উপরের ছিবিটিতে দেখানো হয়েছে। আর মিডেল ইস্ট কাতরাচ্ছে বিষফোড়ার ব্যাথায়।
ইরাকের কুর্দিস্থানে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষের একটা বসতি রয়েছে. যেখানে ইরাকের সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নাই। এলাকাটা নিয়ন্ত্রন করে ইসলামি মিলিশিয়ারা। আমেরিকার ভাষায় যারা জঙ্গি। আমেরিকার ধারণা সেখানে সু্ন্নি জঙ্গিরা গনহত্যা চালাতে পারে। সুতরাং বিশ্ব মোড়ল হিসাবে তাদের একটা দায়ীত্ব রয়েছে বিধায় সেখানে সামরিক অভিযান চালানো পেন্টাগনের দায়ীত্ব। গতকাল তারা সেই দায়ীত্ব নিবিড় ভাবে পালন করেছে, চমৎকার।
সেখানে গণহত্যা হতে পারে, মানে হতে পারে। গাজায়তো আর গণ হত্যা হচ্ছেনা, সেখানে ইসরাইল তাদের নিরাপত্যার জন্য জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত সামরিক স্থাপনায় হামলা করেছে মাত্র। এটা তাদের অধিকার।যেসকল শিশু মরেছে তারা ভবিষ্যতে হামাস হইবার সম্ভাবনা রয়েছে যে।
রক্তাক্ত গাজার ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন পশ্চিমায় মেডিয়া প্রচার করছে হামাসের রকেট হামলায় ইসরাইলের বিধ্যস্ত ঘরবাড়ি এবং ফিলিস্তিনি মানুষের মরদেহকে দেখাচ্ছে ইসরাইলি হিসাবে। তার পর আবার র্নিলজ্জের মত ক্ষামাও চাচ্ছে । ক্ষামা চাওয়ার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে (এবিসি নিউজ-অস্ট্রেলিয়া) আর আমাদের দেশের ভার্চুয়াল জগতে মানে ফেসবুকে এবং ব্লগে ঘাসেরমত গজাচ্ছে কুশিক্ষিত নাস্তিক। আপনি যদি ফিলিস্তিন নিয়ে কিছু লিখেন তবে তারা স্বাধিনতা যুদ্ধ পর্যন্ত টানবে। এমন বেকুব, কোন খবর যানেওনা রাখেওনা পড়েওনা।
এখন গাজার দাবি, তাদের উপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হোক। তাদের ভূমি ত তাদের কাছে থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছেই বেঁচেথাকার মত যোগাযোগ ব্যবস্থাটাও যদি থাকে অবরুদ্ধ তাহলে গাজার সামনে একটাই পথ, হয় নিজে মরো নাহয় ইসরাইলিদের হাতে মরো।
গাজা তাদের একটি স্বাধীন জীবন একটি স্বাধীন ভূমি চায়। যা এই নির্লজ্জ পৃথিবী দিতে পারছেনা!!!
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২২
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
প্রথম বাংলা বলেছেন: চমতকার, আপনার কবিতাটা পড়লাম। অল্প কথায় অনেক কথাই বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দাজ্জালের আবির্ভাব মনে হচ্ছে ।
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
প্রথম বাংলা বলেছেন: দাজ্জালি কর্মকান্ড তো আরো আগ থেকেই আরম্ব হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১
প্রথম বাংলা বলেছেন: দুঃখিত ছবিটা দিতে পারিনি, ভুলে গেছি কিভাবে দিতে হয়।