![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
বৃটিশরা যখন মেঘনা রেলব্রিজ তৈরি করলো তখন অনেক বাঙ্গাল গেলো সেই ব্রিজ দেখান জন্য। তাদের মাঝে ছিলো এক ফইখরা আর ফকিন্নি।
ব্রিজ দেইখা ত দুইজন তাজ্জব, ফইখরা কয়-
আল্লাও আল্লা!! অতবড় লুয়ার হাফু’ (সেতু, সাঁকু) কেমনে বানাইলো রে আললা। ফকিন্নি কয়--
হ, তাজ্জবের বাত!! দেখছোনি বিটিশের (বৃটিশের ) মাথা, কম অইলেও ৬ কুড়ি টেকা লাগছে মন্ডাল (মনেহয়)। অ আল্লাগ আল্লা, ছুবাহান আল্লা।
মাহমুদ আনামের বিরুদ্ধে ৫০-৬০ হাজার কোটি কাটার মান হানির মামলা হইছে। আমার কাছে অনেকটা এমনই লাগছে। কারণ এই পরিমান টাকার জন্য আমি সেই ফইখরা দম্পত্তির পর্যায়েও পড়িনা, তার থেকেও নিছে। অনুমান কী করোম, পরমানুমান করাই মুশকিল।
আমাদের অর্থমন্ত্রী অনুমান করতে পারবেন, কারণ ওনার কাছে ৩ চার হাজার কোটি টাকা কিছুইনা, ৫০-৬০ হাজার কোটি হলে হয়তো ওনি বসে কতক্ষন গোনতে পারবেন। মাহমুদ আনামের নাম হয়তো আগে অতমানুষ জান্তনা। এখন বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত শিক্ষিত সমাজটাই জেনে গেছে ওনি কে। ওনার অপরাধ ওনি এক এগারোর সময় নাকি প্ররোচিত খবর প্রকাশ করে অগণতান্ত্রিক একটি শক্তিকে ক্ষমতায় আন্তে চেয়েছিলেন।
যারা তথ্যের ভান্ডার, তারা এই তথ্যখানি আগে থেকে জানলোনা, জানলো মাহমুদ আনাম এর শিকারোক্তির পরে। আমান সাহেবেই বা কেনো এতদিন পর এই তথ্যখানি প্রকাশ করিয়া নিজের পায়ে কোড়ালের বদলে বোলড্রেজার মারতে গেলেন বুঝলামনা। জয় সাহের বল্লেন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা উচিৎ, কিন্তু উনি করলেননা। তবে-----
সারা দেশে মামলা করার হিরিক পড়ে গেলো। মামলা হতেলাগলো মানহানি রাষ্ট্রদ্রোহ মিলিয়ে। এক এক জেলায় মামলা হচ্ছে তো কয়েকশো কোটি টাকার দেনা লেগে যাচ্ছে আনাম সাহেবের গলায়। জনৈক দেশ প্রেমিক একাই করলের ৫০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ মামলা। মামলায় বলা হচ্ছে যে, আনাম সাহের ঐ সময় দায়ীত্বজ্ঞান হীন কাজ করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল এবং দেশের সু প্রাচীন রাজণৈতিক দল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি নাকি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর সম্মান গেছে, এ কারণে এত মান হানির মামলা।
যারা মামলা করেছে তারা অবশ্যয় অতি উচুঁ কান্ডজ্ঞান ওয়ালা। তবে এরা নিজেদের কে জহির করার জন্য এই সব করছে কিনা বোঝা যাচ্ছেনা।
আওয়ামিলিগের মতো একটা রাজনৈতিক দলের মান অবশ্যই আছে, সেটি টাকার অঙ্কে হিসাবের যোগ্য না, টাকার অংকে এই সব হিসার মিলাইতে গেলে অনেক বড় বাজেটেও কুলাবেনা। কারণ রাজ নৈতিক দল কোন দোকান নয় । ৫০ হাজার কোটি টাকাতো মানের বিচারে সেখানে কিছুই না।
যেহেতু সবাই মান নিয়া টান টান উত্তেজনায় আছে তাই ধরে নিলাম একটি অনেক বড় মানহানি। কিন্তু আনাম সাহেবের মতো মাত্র এক জন মানুষের দ্বারা এত বড় একটি দলের এত বড় মান কী করে গেলো, এত বড় ইজ্জতের ক্ষতি আনাম সাহেব কেমনে করলো আওয়ামিলিগের বোঝা মুশকিল।
যারা যারা মামলা করছে তারা সবাই আলাদা আলাদা মানের দাম চাচ্ছে। কে কী হিসাবে দর নির্ধারণ করছে বুঝা যাচ্ছে না। অনেকটা ফাঁসির আসামীকে আলাদা আলাদা মামলায় ৪০০ বছরের জেল দেবার মত।
দলের পক্ষ থেকে দলের মুখপাত্রদের একজন একা মামলা করলেই তো লেটা চুকে যেতো। একি ইস্যুতে ৬৪ কোর্টে বিভিন্ন পরিমান সাজা চেয়ে মামলা কিভাবে চলে আমি বুঝিনা।
এখন কোন জেলার মামলায় বিচার হবে আল্রাই জানেন। আর জানেন সরকার। এই তথ্য আর কারো জানার কথানয়।
©somewhere in net ltd.