নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শান্তি, সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা, সহযোগিতা

মিলে মিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ!

নাজনীন১

আমি বাংলাদেশি নারী। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ বলেন, “আমি তো কোন বিচক্ষণ ব্যক্তির কথাই কবূল করি না; বরং আমি তার উদ্দেশ্য ও বাসনাই কবুল করে থাকি। অতঃপর তার ইচ্ছা ও প্রত্যাশা যদি আল্লাহ যা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন তাই হয়; তবে তার উদ্দেশ্যকে আমি আমার প্রশংসা ও মর্যাদায় পরিবর্তিত করে দেই, যদিও সে কথা সে নাও বলে থাকে।”

নাজনীন১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন বাদশা/ মন আমার ইচ্ছে ঘুড়ি

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

ঘূড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো – নিজের আকাশে, মঙ্গলের লাল আকাশে। এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে, নীল আকাশ ছাড়িয়ে মঙ্গলের রক্তিম আকাশই বেছে নিয়েছি ওড়বার জন্য।



ইচ্ছে ঘুড়ি শব্দমালা শুনতে ভাল শোনায়। কিন্তু মন বাদশা শব্দগুলো একটু তিরষ্কারমূলকই।

সাদি মোহাম্মদের মহাপ্রয়াণে উনার নিকট আত্মীয় স্বজনের করা অভিমানের অভিযোগ খুঁজতে খুঁজতেই উনার সম্বন্ধে অনেক কিছু জানলাম! বিশেষ করে উনার বাবার মৃত্যু সময়কার ঘটনা এবং শান্তিনিকেতনে ভর্তি হবার সময়কার ঘটনাগুলো। উনার গান তো অনেকেই শুনেছি সেই মেয়েবেলা থেকে। লিজেন্ড দুই ভাই! সবার পরিচিত!

আজকের লেখার ভাবনাট এসেছে আমার কিছু ছাত্রের কান্ড কীর্তি দেখে! সময় মতো এসাইনমেন্ট করবে না, সব জমিয়ে রাখবে, ডেডলাইন ফলো করবে না। অনেক জমিয়ে রেখে পরে সাজেশন চাইবে, আজকে ক্লাসও করেনি। মনে হলো তাদের শিক্ষাটা কেবলি তাদের ইচ্ছের উপরই নির্ভরশীল, শিক্ষকের দেয়া ডেডলাইন বা সিলেবাস বা ভার্সিটির দেয়া রুটিনমাফিক নয়।

আজকাল অনেককেই শিক্ষা ক্ষেত্রের অবনতির কথা শুনছি। ফেইসবুকে বিভিন্ন ছাত্রদের পোস্টও দেখেছি। এবার মনে হয় নিজেই প্রত্যক্ষ করছি অনেকটা। দায়িত্বশীলতার প্রচন্ড অভাব, অনীহা দেখছি ছাত্রদের মাঝে। এতোটা গত ১৯ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এতোটা প্রকট ভাবে দেখিনি। এতো দুঃসাহস! অবাক করার মতোই। আমাদের স্যারেরা হলে বলতেন, বেয়াদব!

গত কয়েক বছরেই আমার আশপাশে অনেক ক্ষেত্রেই দেখিছি ছোটদের দ্বারা বড়দের অপমান করাতে। গেল কয়েক বছর শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটেছে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

আজকাল অনেক জায়গায় কনফিডেন্ট অপরাধকর্ম – এরকম শব্দ বা ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি। বড়রাই অনেক ক্ষেত্রে ছোটদের ইনভল্ভ করছে, ইয়াবা, দেহব্যবসা, নারী পাচার, দুস্যবৃত্তি, নীল ছবি,… ভিক্ষাবৃত্তি তো বটেই! অনেক মানবতা বা ধর্মের ধ্বজাধারী ব্যক্তিরাই বা সমাজে ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদেরাই আজকাল কনফিডেন্ট অপরাধী!

প্রশ্নপত্র ফাঁস, ইচ্ছাকৃত ভুল চিকিৎসা বা ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষাক্ষেত্রে মান কমানো - সবই হচ্ছে প্রতিবাদের নামে, বিপ্লবের নামে।
প্রতিপক্ষকে ভয় বা সমুচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্ষণ, হত্যাকান্ড, দেহব্যবসায় বাধ্য করানো – সবই হচ্ছে। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হচ্ছে যেকোনভাবে লিভ টুগেদার বা মিউচুয়েল সেক্সে বাধ্য করা, পরিস্থিতি তৈরী করা। প্রচার করা মেয়েটা বড় খারাপ, ও এই অন্যায় করেছে, তাহলে আমি ওটা করবো।

অন্যায়ের মানবাধিকার!

অমুকে ভাল হোক, তারপর আমি হবো!

ও হিজাবী, গণিমতের মাল! ধর্ষণ করা যেতে পারে, একাত্তরে ওরা ধর্ষণ করেছিল! হিজাবীদেরকে ব্লু ফিল্ম করাতে হবে।

ওদেরকে মিডিয়ায় নেয়া যাবে না। ওরা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে! ওদের কাউকে সমাজে সামনের সারিতে রাখা যাবে না, যোগ্যতায় এগিয়ে গেলেও নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। কারণ, হিজাবী বা দাঁড়ি আছে। এই জবে নেয়া যাবে না, ওই জব দেয়া যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।

ওদের ধর্মীয় কাজে বাঁধা দিতে হবে। আরবী শিক্ষাকে হেয় করতে হবে। তারাবী পড়াকে জঙ্গীবাদসম ভাবতে হবে। যারা যৌন ব্যবসায় সমর্থন দেবে না, তারা জঙ্গী! রাখতে হবে পেছনের সারিতে, পরিচয়ই দেয়া যাবে না। কারণ, ওরা মোল্লা!

কেবল খুন খারাবিতে সমর্থন দিতে হবে। পোড়াতে হবে, পুড়িয়ে মানুষ মারতে হবে। কারণ, এদের জঙ্গী হতেই হবে!

এদেরকে গবেষক বা উচ্চশিক্ষিতও হতে দেয়া যাবে না। স্বচ্ছল হতে দেয়া যাবে না। পরাধীন, পরাশ্রয়ী রাখতে হবে। সংসারও টেকানো যাবে না। সম্পদ/ সম্পত্তিও দেয়া যাবে না। হতে হবে ভাসমান!

প্রতিবাদ করতে গেলে আঘাত করা হবে, বাড়ি থেকে ল্যাপটপ চুরি হবে, মোবাইল চুরি হবে, অলংকার ডাকাতি হবে। স্বজনদের মাঝে কোন্দল, ভুল বোঝাবুঝি বাঁধিয়ে দেবে! বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার আয়োজন হবে, সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার থ্রেট আসবে, সন্তানের রেজাল্টের উপর আঘাত আসবে। স্কুলে বাচ্চাদের নাকে ইরেজার ঢুকিয়ে দিবে। মেরে ফেলা, এসিড মারার হুমকি, অপহরণ – এসব থ্রেট তো রইলোই। এরা সবাই দেশপ্রেমিকের তালিকাভুক্ত, বিশেষ দেশপ্রেমিক! ভীষণ দেশ বা দল প্রেমের জায়গা থেকে এগুলো করা হবে।

দূর্নীতির স্বাধীনতা আছে, মিথ্যার প্রসার আছে। সত্য বারে বারে লুকোতে বাধ্য! দল বেঁধে আক্রমণ করবে। এই কাজে সমাজের দুই প্রান্তের একেবারে প্রান্তসীমায় থাকা উভয় পক্ষের লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে একজোট হয়ে আঘাত দিবে!
তাই ইচ্ছে ঘুড়িটা আর পজিটিভ নেই, বাদশা হয়ে গেছে!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



মাত্র ২০ বছর আগে, বাংগালী সমাজে কি নারীরা হিজাব পড়তেন?

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

নাজনীন১ বলেছেন: মফস্বলে মা – খালারা – ফুফুরা বোরকা পড়তেন, আর চাকুরী খুব কমই খুঁজতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা তখনো চাকুরীর বাজারে প্রতিযোগিতা করতেন, বিসিএস দিতেন, কর্পোরেট জব করতেন।
ভাবুন, আজকে নারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে আছেন, তারা আরো ২০-৩০ বছর আগে জবে এসেছেন। এদের মাঝে বোরকা পরা নারী কম ছিল। বোরকা পরিহিতরা গৃহিণী হতেন বেশি।

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

নাজনীন১ বলেছেন: সেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত নারী সমাজেরই অনেকে আজকাল হিজাব পরছেন, বোরকার বদলে। চলতে ফিরতে, বাস্র উঠতে, রিকশায় চড়তে সুবিধা হয়।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কি কোন লেভেলে কি পড়াচ্ছেন?

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩

নাজনীন১ বলেছেন: https://www.facebook.com/najnin.uu

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: গত পনের বছর শিক্ষার মান আসলেই কমেছে।
এজন্য দায়ী আওয়ামীলীগ সরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.