![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিকাল ৫ টা,এইমাত্র অফিস থেকে বের
হলো অরণ্য।ছোট-খাট একটা মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানিতে চাকরি করে অরণ্য। অফিস
থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হাটা শুরু
করে অরণ্য। হঠাৎ পিছন থেকে কেউ তার নাম
ধরে ডাক দেয়।
--অরণ্য,এই অরণ্য।
--আরে শফিক! ! কেমন আছিস দোস্ত।
--ভালো, তুই?
--আমিও ভালোই আছি।অনেকদিন পর
দেখা হলো তোর সাথে।
--হুম।প্রায় তিন বছর পর দেখা।তারপর,
সবকিছু কেমন চলছে তোর?
--চলছে কোনরকম। ছোট-খাট একটা জব
করছি।বিয়েও করেছি।আর সবকিছু ভালোই
চলছে।তোর কি অবস্থা?
--আমার আর অবস্থা! ! বেকার জীবন।
চাকরির আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিস।এই
আর কি....
--চল্
একটা দোকানে বসে চা খেতে খেতে গল্প
করা যাক।
..
শফিকের সাথে গল্প করতে করতে অনেক
সময় পার হয়ে গেল। শফিককে যখন বিদায়
জানালো অরণ্য তখন ঘড়ির কাটায়
৮টা বাজে। অরণ্যর মনে পড়ল আজ
রিমি ওকে খুব তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলেছে।
ওহ্ রিমি হচ্ছে অরণ্যের স্ত্রী। অনেক
লক্ষ্মী একটা মেয়ে।অনেক
ভালবাসে অরণ্যকে।অনেক কেয়ার করে তার।
আর অরণ্যও অনেক বেশি ভালবাসে তার
লক্ষ্মী বউটাকে। কাল রিমির জন্মদিন।অনেক
প্লান করেছিল অরণ্য। কিন্তু পুরনো বন্ধুর
সাথে গল্প করতে যেয়েই
এতো দেরি হয়ে গেল। কিন্তু কিছুই
করা হলো না তার।
..
রাত দশটা সেই সন্ধা থেকে অরণ্যের জন্য
অপেক্ষা করে আছে রিমি। আজ অনেক
সেজেছে মেয়েটা। একদম পরীর
মতো লাগছে মেয়েটাকে।সবকিছুই অরণ্যর
জন্য।কিন্তু অরণ্যর এখনো দেখাই নেই।বার
বার অরণ্যর ফোনে ট্রাই করছে মিমি।বাট
ফোনটা শুধু অফ পাচ্ছে।খুব
কান্না পাচ্ছে মেয়েটার।
..
রাত ১১:৩০ এ বাসায় ফেরে অরণ্য।
রিমি ভেবেছিল অরণ্যর হাতে থাকবে হয়ত
একগোছা লাল গোলাপ। কিন্তু তার
বদলে সারাদিনের কর্মব্যস্ত অরণ্যের
মলিনমুখটাই দেখতে পাই রিমি।
অরণ্যকে খেতে আসতে বললে বলে আজ
বাইরে থেকেই ডিনার করে এসেছে।এই
বলে ঘুমাতে চলে যায় অরণ্য। অনেক কষ্ট হয়
রিমির।অরণ্য কি রিমির জন্মদিনের কথাটাও
ভুলে গেছে!! এই অরণ্য আর আগের
অরণ্যকে মিলাতে পারে না রিমি।অরণ্যের
কাছে তো সে কখনো দামি গাড়ি,গহনা,বিলাস
বহুল বাড়ি চাইনি।চেয়েছে শুধু
একটুকরো ভালবাসা। আর সেই অরণ্য.........
আর ভাবতে পারে না রিমি।খুব
একা একা কাঁদতে ইচ্ছা করে রিমির।
দৌড়ে ছাদে চলে যায় সে।
ছাদের গেট খুলতেই অবাক হয় রিমি।
পুরো ছাদজুড়ে বেলুন আর ফুলের সমারোহ।
ছাদের
চারপাশে অনেকগুলো মোমবাতি জালানো।
আর ছাদের ঠিক মাঝখানে একটা টেবিলের
উপর কেক রাখা।কেকের উপর লেখা " I Love
you, Rimi"
পিছন ফিরতেই রিমি দেখে অরণ্য
দাড়িয়ে।,মুখে একটা মিস্টি হাসি,আর
পিছনে একগুচ্ছ লাল গোলাপ। রিমির
সামনে হাটু গেড়ে বসে অরণ্য। তারপর হাতের
ফুলগুলো রিমির দিকে বাড়িয়ে বলে,
--হ্যাপি বার্থডে রিমি।ভালবাসি তোমায়
মিস্টি বউ।
চোখের পানি আর
আটকে রাখতে পারে না রিমি।কান্নারত
অবস্থায় ঝাপিয়ে পড়ে অরণ্যর বুকে।অরণ্যও
কাদতে মানা করে না রিমিকে।
কাঁদুক পাগলীটা।ভালবাসার কান্না।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৪
ইফতেখার অপু বলেছেন: ধন্যবাদ। কমেন্ট করার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুখপাঠ্য