| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ.আর.রায়হান
খুবই সাধারন জীবন যাপন করি। কবিতা লিখা আমার সখ,মাঝে মাঝে লিখিও। পাশাপাশি নাটক ও লিখছি, কিন্তু পরিচিত কোনো পরিচালক/প্রযোজক নেই বিধায় নাটক কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে । তাই নাটক লেখার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে ..........
ক্ষমতায় আসার আগে স্লোগান ছিল দিনবদলের। এই অঙ্গীকার করেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনকরে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বেশির ভাগ সাফল্য আর ব্যর্থতা আংশিক নিয়েই মহাজোট সরকার পার করল চার বছর।পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকারের বিগত চার বছরের শাসনামলে নিজেদের অবশ্যখুব সফল বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।তাদের মতে, এক সঙ্কটময় মুহূর্তে দায়িত্বভার গ্রহণ করে সরকার তার নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মূল্য দ্রুত জনগণেরক্রয়মতার মধ্যে নামিয়ে আনতে পেরেছে। বিশ্বমন্দার প্রভাব থাকলেও সরকারের গৃহীত পদেক্ষেপর ফলে দেশে বিশ্বমন্দার প্রভাব তেমনিভাবে পড়েনি। ফসলের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষি খাতে দেশ আবারোস্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে চলেছে। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী জোরদার করার ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ফলে দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে, যা বর্তমান সরকারেরঅন্যতম অর্জন বলে মনে করছেন জনগন।বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকর, ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডির সমাধান, সমুদ্রবিজয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করাই এ সরকারেরসবচেয়ে বড় সাফল্য।মহাজোট সরকারের ৪ বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। আজথেকে শুরু হলো সরকারের মেয়াদের শেষ বছর। গত ৪ বছরের শাসনামলে সরকারের সাফল্য যেমন রয়েছে উল্লেখ করার মতো, তেমনিব্যর্থতার তালিকাও খুব কম নয়। তবে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব মেলাতে গিয়ে দেখা যায় সরকারের সাফল্যই বেশি। আর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে সরকারের ওপর জনগণের আস্থার সংকট বেড়েছে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আশাতীতভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার শপথগ্রহণ করে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়ারাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দেশবাসীর মনে যে স্বপ্ন জাগিয়ে সেদিন যাত্রা শুরু করেছিল সেই স্বপ্নকে আনেক বাস্তবতা করতে পেরেছে তার হিসাব কষার দিন আজ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কি করবে কি রবেনা তা জানান দিয়েছিল দলের নির্বাচনী ইশতেহারে। সে ইশতেহার সামনে নিয়ে মহাজোট সরকারের ৪ বছরের শাসনামলের চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে পরিসংখ্যানেরতালিকায় সাফল্যই বেশি। অর্থনীতির সব সূচকেইসাফল্যের বার্তা দেখা দেয়। এছাড়াও বড় মাপের সাফল্য মিলেছে শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য, বিদ্যুৎ, জনপ্রশাসন, পররাষ্ট্র, আইনশৃঙ্খলা, আইটি, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার ভালো কাজ করেছে বলে বিভিন্ন সংস্থারজরিপ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে বেরিয়ে এসেছে। সাধারণ মানুষকে সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রের বাইরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর এবং দেশের মানুষের প্রত্যাশিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে শুধু দেশেই নয় বিদেশেও সরকার সুনাম কুড়িয়েছে। মহাজোট সরকারের ৪ বছরে অর্থনীতি ছিল বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে। সরকারের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা আর দক্ষিণাঞ্চলের ওপরদিয়ে বয়ে যাওয়াভয়াবহ সিডরের ক্ষত ছিল অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। এ অবস্থায় একদিকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজারকোটি টাকারপ্রথম বাজেট পেশ করে সরকার। চতুর্থ বছরে এসে ওই বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ঘরেই রয়ে গেছে। তবে আলোচ্য সময়ে জীবনযাত্রারমান বেড়েছে, বেড়েছে জাতীয় আয়। প্রবাসী আয় ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি এসেছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতিছিল তার সবটাই বাস্তবায়ন করতে পারেনি তবে ৯০% করেছেসরকার। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দুর্বলতা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে দেখা দিয়েছে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব। হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে এ সময়। প্রতিশ্রুতিথাকলেও দুর্নীতির অভিযোগে অনিশ্চয়তায় পড়েছে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন। ৪ বছরে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কিছুটা । মহাজোট সরকারের ৪ বছরে সবচেয়ে বেশি সাফল্যএসেছে শিক্ষা খাতে। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়নের। প্রায় এক বছরের মাথায় ২০১০ সালে জাতিকে একটি শিক্ষানীতি উপহার দিতে সক্ষম হয় সরকার।এছাড়াও সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। এবং বিনামূল্যের এ বই বছরের প্রথম দিনে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌছানো সরকারেরযুগান্তকারী সাফল্য। এছাড়াও সারাদেশের ৫ম ও অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের সাফল্যও সরকারের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ৪ বছরে সরকার কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে।
©somewhere in net ltd.