নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুগিচুগি ব্লগার :পি

চুপ করে থাকতে চাই।কিন্তু মুখ বন্ধ থাকলেও কলম ও কম্পিউটারে টাইপ করা তো আর থামাতে পারিনা।লেখালেখি করে আনন্দ পাই।তাই যা বুঝি তা লেখার মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই।আরো জানতে চাইলে ফেসবুকে আসেন।আড্ডা হবে…… adD / follow mE - https://www.facebook.com/ar.rayh

এ.আর.রায়হান

খুবই সাধারন জীবন যাপন করি। কবিতা লিখা আমার সখ,মাঝে মাঝে লিখিও। পাশাপাশি নাটক ও লিখছি, কিন্তু পরিচিত কোনো পরিচালক/প্রযোজক নেই বিধায় নাটক কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে । তাই নাটক লেখার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে ..........

এ.আর.রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক vs আস্তিক ; মাঝে ভাবনীয় কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

¤¤ Please Please Please,দয়া করে ধৈর্য ধারন করে লেখাটা পড়ুন।পুরাটা পড়ার পর যদি আপনার মনে হয় আপনার পড়া বৃথা তখন আমি আপনার কথা শুনতে রাজি।আর পড়ে যদি ভাল লাগে তবে আমার লেখা স্বার্থক হবে।¤¤



ব্লগার থাবা_বাবা(রাজীব) মারা যাওয়ার পর থেকে আস্তিক নাস্তিকদের মধ্যে অনেক রেশারেশি হচ্ছে।নাস্তিকদের কিছু প্রশ্ন আমার চোখে পড়েছে যা যেকোনো স্বাভাবিক মানুষের সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিবে।আমি যতটুকু ব্যাখ্যা করতে পারছি তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আল্লাহ ইচ্ছা করলে সব কিছু করতে পারেন।তার মানে তিনি ইচ্ছা করলে এমন ভারি কিছু বানাতে পারবেন,যেটা তিনি নিজেই তুলতে পারবেন না।এখন তিনি যদি সেই ভারি জিনিসটাকে তুলতে না পারেন,তার মানে তিনি সবকিছু করতে পারেন না।আর তিনি যদি সব কিছু তুলতে পারেনই,তার মানে তিনি আসলে এমন ভারি কিছু বানাতে পারেন না,যেটা তিনি নিজে তুলতে পারেন না।সুতরাং আল্লাহ বলে কিছু নেই।(নাউযুবিল্লাহ্)

এই ধরণের প্রশ্ন ফিলোসফিতে পড়ান হয় যাতে করে ফিলোসফির ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নাস্তিক বানিয়ে দেওয়া যায়।এই সব শত শত প্রশ্ন নিয়ে বছরের পর বছর চিন্তা করেও শিক্ষার্থীরা কোন উত্তর বের করতে পারে না এবং ধীরেধীরে তারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে,একসময় নাস্তিক হয়ে যায়।এছাড়াও আপনি নাস্তিকদের বইয়ে এধরণের অনেক প্রশ্ন পাবেন,যা দিয়ে তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে আসলে কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।এইসব প্রশ্নের সমস্যা হচ্ছে,আপনি এর উত্তর‘হ্যা’ বলতে পারবেন না,আবার‘না’ ও বলতে পারবেন না।দুই দিকেই ফেঁসে যাবেন।

আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর দেন – হ্যা;তার মানে আল্লাহ নিজেই এমন কিছু বানাতে পারেন,যেটা এতই ভারি যে তিনি নিজেই সেটা তুলতে পারবে না।এর মানে দাঁড়ায় আল্লাহ সর্ব শক্তিমান নন।

আপনি যদি উত্তর দেন –না;তার মানে আল্লাহ এত ভারি কিছু নিজেই বানাতে পারবেন না,যা তিনি নিজেই তুলতে পারেন।তার মানে দাঁড়ায় আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করতে পারেন না।

যারা এধরনের প্রশ্ন করে,তারা আসলে নিজেরাই চিন্তা করে দেখেনি তাদের প্রশ্নটাই কতখানি অবাস্তব।প্রথমত,ভারি মানে কি?ভারি মানে হচ্ছে যার ওজন বেশি।ওজন কি?ওজন হচ্ছে অভিকর্ষের ফলে কোন বস্তু যে টান অনুভব করে।পৃথিবী কোন বস্তুকে যে বল দিয়ে টানে সেটাকে ওজন বলে।আমরা যখন বলি কোন কিছু অনেক ভারি,তার অর্থ হচ্ছে পৃথিবী সেটাকে অভিকর্ষের ফলে এমন বল দিয়ে টানছে,যা আমাদের সীমিত পেশি শক্তি আর মাটির উপরে ধরে রাখতে পারছে না।আমরা যখন বলি,“এটাকে উপরে তুলো”,তখন আমরা আসলে বলি সেই জিনিসটাকে শক্তি দিয়ে পৃথিবীর থেকে তার দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দাও।

এখন উপরের প্রশ্নটা কতখানি অবাস্তব সেটা চিন্তা করে দেখুন। প্রথমত,কোন কিছু ভারি হওয়া মানে অন্য কোন কিছু তাকে অভিকর্ষ দিয়ে টানছে।তাহলে আমরা যখন বলছি,“আল্লাহ কি এত ভারি কিছু বানাতে পারবে…”,তার মানে দাঁড়ায় আমরা বলছি,আল্লাহ কি এমন কোন কিছু তৈরি করতে পারবেন, যা তার অসীম ভরের কারণে পৃথিবীকে অসীম বল দিয়ে নিজের দিকে টানবে?মহাবিশ্বে কোন কিছুর ভর অসীম হতে পারে না।বরং কোন কিছুর ভর একটা সীমা পার করলেই সেটা ব্ল্যাকহোল হয়ে যায় এবং আশে পাশের সবকিছু খেয়ে ফেলে।সুতরাং অসীম ভরে যাবার অনেক আগেই সেই বস্তুটা ব্ল্যাকহোল হয়ে যাবে।আল্লাহ যদি পৃথিবীর উপরে থাকা কোন কিছুর ভর বাড়াতে বাড়াতে একটা সীমা অতিক্রম করে ফেলেন তাহলে সেটা ব্ল্যাকহোল হয়ে পৃথিবীকেই খেয়ে ফেলবে।তখন তাকে আর “উপরে তোলার” প্রশ্ন আসবে না।দ্বিতীয়ত, আমরা যখন বলছি,“…এত ভারি যে আল্লাহ সেটা তুলতে পারবে না?”এখানে “তোলা” মানে কি?কোন কিছু তোলা মানে হচ্ছে পৃথিবীর পৃষ্ঠের সাথে সেই জিনিসটার দূরত্ব বৃদ্ধি করা।এখন কোন কিছুর ভর যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে,তাহলে সেটা এক সময় মাটি ভেদ করে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ঢুকে যাওয়া শুরু করবে।পৃথিবীর ভেতরে ঢুকে পৃথিবীর সাথে যদি মিশেই যায়, তাহলে তাকে আর তোলা যাবে কি করে?একটা জিনিস তো তখনই তোলা যায় যখন সেটা পৃথিবীর পৃষ্ঠ তলের উপরে থাকে!

একই ধরণের আরও প্রশ্ন আপনি পাবেন।যেমনঃ

“আল্লাহ যদি সব কিছু সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে আল্লাহ কি আরেকটা আল্লাহ বানাতে পারবে?”

“আল্লাহ যদি সবকিছু ধ্বংস করতে পারে,তাহলে কি আল্লাহ নিজেকে ধ্বংস করে দিতে পারে?”এ রকম যত প্রশ্ন পাবেন,তারসবগুলোর ধরন একটাই।যারাই এই ধরনের প্রশ্ন করে,তারা আসলে বোকার মত জিগ্যেস করছেঃ“সৃষ্টিকর্তা কি এমন কিছু করতে পারে যা সৃষ্টিকর্তার বেলায় প্রযোজ্য নয়,শুধুই সৃষ্টির বেলায় প্রযোজ্য?”

“কাউকে সৃষ্টি না করলে তো সেটা সৃষ্ট হতে পারেনা। তাহলে কি আল্লাহকেও কারও সৃষ্টি করতে হবে না?”

প্রথমত, আল্লাহকে যে বানিয়েছে তাকে কে বানিয়েছে ?যে আল্লাহকে বানিয়েছে,তাকে যে বানিয়েছে, তাকেই বা কে বানিয়েছে?এই প্রশ্নের তো কোন শেষ নেই!এটা চলতেই থাকবে।

দ্বিতীয়ত,এই প্রশ্নটা একটা ভুল প্রশ্ন।কারণ সৃষ্টিকর্তা অর্থ ‘যে সৃষ্ট নন বরং যিনি সৃষ্টি করেন।’

সুতরাং কেউ যখন জিজ্ঞেস করে, “সৃষ্টিকর্তাকে কে বানিয়েছে?”,সে আসলে জিজ্ঞেস করছেঃ

“যাকে কেউ সৃষ্টি করেনি,তাকে কে সৃষ্টি করেছে?”

এধরনের অনেক নির্বোধ প্রশ্ন আপনারা ফিলোসফার এবং নাস্তিকদের কাছ থেকে পাবেন,যারা ভাষার মারপ্যাঁচ দিয়ে এমন সব প্রশ্ন তৈরি করে,যা পড়ে আপনার মনে হবে–“আসলেই তো!এর উত্তর কি হবে?হায় হায়!আমি কি তাহলে ভুল বিশ্বাস করি?”তাদের আসল সমস্যা হচ্ছে তারা ভাষা এবং বিজ্ঞান ঠিকমত বোঝে না এবং তাদের প্রশ্নগুলো যে ভাষাগত ভাবে ভুল এবং বৈজ্ঞানিকভাবে অবাস্তব,সেটা তারা নিজেরাই ঠিকমত চিন্তা করে দেখেনি।এরা আপনাকে ভাষাগত ভাবে ভুল বাক্য তৈরি করে,বৈজ্ঞানিকভাবে অবৈজ্ঞানিক একটা প্রশ্ন করে,আপনার কাছে দাবি করবে একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেবার।

এদেরকে জিগ্যেস করুনঃ

“আপনি কি কোন কথা না বলে একটা কথা বলতে পারবেন? যদি তা না পারেন, তাহলে সেটা পেরে তারপর আমার কাছে আসুন।”



আশা করি,সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছুটা হলেও বিশ্বাস জাগাতে পেরেছি



for more add or follow this link :- http://www.facebook.com/ar.rayhan.54

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

ডাব্বা বলেছেন: যুক্তির খাতিরে বলছি, কথা না বলে কথা বলা যায়।

কথা হল ভাবের আদান প্রদান। কথার মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। আর ভাষা আছে অনেক ধরনের। সাইন ল্যাংগুইজ, বডি ল্যাংগুইজ, ড্যান্স মুভমেন্ট ও একটা ভাষা।

কথা বলতে শব্দ ই ব্যবহার করতে হবে এমন কোন কথা নেই।

ধন্যবাদ।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনার পোস্টটা ভালা পাইলাম ভাই। সকল নাস্তিকগনকে এই পোস্ট দেখানো উচিত।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

সেলিম মোঃ রুম্মান বলেছেন: সহমত। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে হেদায়েত করুন।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: আরে ভাই রিয়েল নাস্তিক আছে কয়জন।সব তো ভন্ড আমার এই পোস্ট এ যেমন এক ভন্ডরে দেখাইছিলাম গুতান

নাইলে ৩০ কোটি বাঙ্গালির মাঝে ১৪ কোটি বাঙালি হিন্দু থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ্‌ অবিশ্বাসী নাস্তিক আছে মাগার ভগবান অবিশ্বাসী নাস্তিক নাই =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

আহলান বলেছেন: এমন চিন্তা ভাবনা করার অধিকার সবারই আছে, সেখানে তো সমস্যা না, সমস্যা হলো যখন কেউ অন্যের ধর্য় অনুভুতিতে আঘাত করে। যেমন আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কতগুলো কুকুরও হাটছে। এটা কোন সমস্যা নয়, কিন্তু কুকুর গুলো অকারণে যদি আপনাকে কামড়াতে আসে, বা আপনি যদি কুকুরগুলোকে অকারণে মারতে উদ্যোত হন, সেটাই সমস্য। বর্তমানে আমাদের টিনএজ কুলাঙ্গার নাস্তিক গুলো পাগলা কুকুরের মতো সবাইকে কামড়াতে উদ্যোত ... সমস্যা সেখানেই ...

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

এ.আর.রায়হান বলেছেন: সকলের মতবাদের জন্য ধন্যবাদ,,,,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.