নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Three words, eight letters, and I'm yours.

God's rules for traveling the road of life: STOP at least once a day, LOOK for the beauty around you, LISTEN to what your heart is saying.

একান্ত কথা

হাত বাড়িয়ে দিলাম...। ধরো, নয়তো ফিরিয়ে দাও। অপেক্ষায় রেখনা...।

একান্ত কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

** "একটি বাংলাদেশ - তুমি জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিষ্ময়, তুমি আমার অহংকার" ** হাজারো ব্যথতার মাঝে বাস্তব কিছু আশার বানী

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯







যে দেশ দূর্নীতিতে ১৩ তম, এই বৈশ্বিক মন্দার মাঝেও তার জিডিপি ৬ !!



যে দেশের ৩৩ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে, গার্ডিয়ান বলছে সে দেশ আর ২০ বছরের মধ্যে ইউরোপের সবগুলো দেশকে ছাড়িয়ে যাবে !!



যে দেশের ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষ নিরক্ষর,সে দেশে বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হয় !!



তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ, অথচ বিশ্বের ১১তম সুখী দেশ !!



সারা পৃথিবী অর্থনীতি নিয়ে মাথায় ঘাম পায়ে ঝড়াচ্ছে, আর গেল বছরে এদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার সারা দুনিয়ায় ৫ম !!



আমেরিকার মত দেশ এখন বিদেশী সাহায্যের জন্যে হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। আর আমার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে।



কানাডার মত দেশ খাদ্যের জন্যে অন্যের দুয়ারে দুয়ারে হাত পাতছে, আর আমার দেশ এখন খাদ্যে ৯৩% স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা দৃঢ় কন্ঠে বলি, এই বছর অক্টোবরের মাঝে আমরা খাদ্যে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাব।



নেদারল্যান্ডের মানুষ এখন আমার দেশের আলু খায়। কানাডা আমার দেশের মাঠের ভুট্টা দিয়ে খাবার তৈরি করে। ইংল্যান্ডের মানুষ আমার দেশের জলে জন্মানো মাছ খায়।আমাদের সম্বল খুব কম। পান থেকে চুন খসলেই আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস লেগেই আছে। কিন্তু তবু আমরা দাঁড়িয়ে আছি ! আর ওদিকে দেখ, বড় বড় দেশগুলো একটা মাঝারি শক্তির ঝড় হলেই হাঁপিয়ে যায়।



আমাদের দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা লেগেই আছে। তবু বিদেশীরা আমাদের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাঁকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়, যখন দেখে সারা দুনিয়া মন্দন কমাতে ব্যস্ত আর এই দেশ ত্বরণ বাড়াচ্ছে। এখন আর আমার দেশের মানুষ না খেয়ে মরে না। আমার দেশের মানুষ রাতে রাস্তায় ঘুমায়,কিন্তু তবু পেটে এক মুঠো হলেও ভাত পড়ে।



আমার দেশের স্কুলে একটা ভাল ল্যাব নেই, ক্লাস হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট লেগেই আছে। কিন্তু এই দেশের ভাঙ্গা কলসির তলায় ঝুলে থাকা একটা ছাত্র তখন বিশ্বের ১নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, ওদের ছাত্রদের চেয়ে নিমিষেই অনেক সামনে এগিয়ে যায়।



আমার দেশের ক্লাস টু পর্যন্ত পড়া ছেলে পানি দিয়ে তড়িৎ উৎপাদন করতে পারে (ওকেরাশিয়া নিয়ে গেছে এখন) :( আমার দেশের ছেলেরা ব্যায়ামের যন্ত্র দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবার পদ্ধতি বের করেছে। আমার দেশে দামী দামী ওষুধ তৈরী হয় না, কিন্তু ডাক্তার খালি হাতেই চিকিৎসা করতে পারেন। মুমূর্ষু রোগীর জীবন ফিরিয়ে আনতে পারেন কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে কেনা লাইফ সাপোর্টিং মেশিন ছাড়াই।



আমার দেশ বিশ্বের কৃষিতে নতুন বিপ্লব দেখাচ্ছে দুনিয়াকে।এই দেশের ১ একর জমি থেকে ১১১ মণ চাল আসে। জাপানের ১৩% তরুন হতাশায় সুইসাইড অ্যাটেম্পট করে (৬০ বয়স্কদের কথা বলছি না) কর্ম না পেয়ে।



আর আমার দেশের ২৭% তরুন এখন ভাবে তারা চাকরি করবে না, চাকরি দেবে!! আমরা চিৎকার করে বলতে পারি,"আমরা বড্ড বেশি আশাবাদী"!! আমার দেশের মানুষ কোন কিছুর উপরই অতি নির্ভরশীল না। একটা হারালে অন্য পথ খুঁজে নিতে চেষ্টা করতে জানে। আর ওদিকে চেয়ে দেখ, সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড জার্মানিতে একটা ট্রেন ২.৩৫ মিনিট দেরী করাতে পরের ২ দিন ট্রেনই চলে না, ৩য় দিনেও কোন ট্রেনের শিডিউল মেলে না। আর আমার অ্যানালগ দেশের একটা ট্রেন ৪ ঘন্টা দেরী করলে পরদিন আবার সেটা ১৫ মিনিটে নেমে আসে। উন্নত মেশিনপত্র নাই আমাদের, কিন্তু তারপরও গার্মেন্টস শিল্পে আমরা সারা পৃথিবীতে ২ নম্বর স্থানে আছি।



কোন কাঁচামালই নাই, নাই কোন উন্নত ডক-ইয়ার্ড। এক হাতে অক্সি-অ্যাসিটিলিনের শিখা আর আরেক হাতে স্টিলের পাত চেপে ধরে আধুনিক জাহাজ-লঞ্চ বানাই আমরা। তারপরও আমরা পৃথিবীর ১৭ তম জাহাজ নির্মাণকারী দেশ। অথচ আমরা আধুনিক জাহাজ বানাতে শিখেছি ২ বছরও হয় নি। আমরা যুদ্ধ জাহাজ বানানোও শিখে গেছি !!



তাকিয়ে দেখ, ভাল করে চোঁখ মেলে দেখ!!

আমরা এখনও অনেক ছোট, কেবল হাঁটতে শিখছি।

অনেক ভুল-ত্রুটি আমাদের আছে। এটা থাকবেই।

কিন্তু বন্ধু, স্বীকার কর বা নাই কর, আমার দেশ দূর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে চলেছে।

আমরা এখন বুঝতে শিখছি, কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না।

আমি বারবার বলি, "একটি বাংলাদেশ - তুমি জাগ্রত জনতার,

সারা বিশ্বের বিষ্ময়, তুমি আমার অহংকার"






তথ্য সুত্রঃ লিঙ্ক

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

টোকাই সিকদার বলেছেন: আমি বারবার বলি, "একটি বাংলাদেশ - তুমি জাগ্রত জনতার,
সারা বিশ্বের বিষ্ময়, তুমি আমার অহংকার"

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

একান্ত কথা বলেছেন: অনেক ভুল-ত্রুটি আমাদের আছে। এটা থাকবেই। তারপরও আমার দেশ দূর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে চলেছে...

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বীরেনদ্র বলেছেন: কানাডার খাদ্য ঘাটতির ব্যাপারটা বুঝলাম না কারন ২০১১ সালে কানাডা ৪০ বিলিয়ন ডলারের কৃষি পন্য রফতানী করে এখানে দেখুন

আমরা টোরোন্টোতে যা খাদ্যপন্য কিনি তার বেশীর ভাগ আমদানী করা কারন কানাডা শীত প্রধান দেশ। বছরে একটা মাত্র ফসল হয় আর গ্রীস্ম মন্ডলীয় খাদ্য এখানে হয় না সুতরাং আমদানী করে।
শুধু ওন্টারিও প্রদেশ বছরে যে টাকার মদ খায় তা দিয়ে দুটো পদ্মা সেতু নির্মান সম্ভব।

যাক সেসব। আমাদের ব্যার্থতা যেমন আছে আমাদের অর্জন ও অনেক ।আমরা এগোচ্ছি। পশ্চিমারা বুঝে গেছে বাংলাদেশ আর বটমলেস বাস্কেট নয়। মনে পড়ছে সেই গানটা " We Shall overcome, we shall overcome, we shall overcome someday/ Deep in my heart I do believe that we shall overcome someday"

১৯৯৮ সালে প্রথম যেবার কানাডা আসি বাংলাদেশী কোন পন্য দেখিনি , কিন্তু আজ সমস্ত কাপড়ের দোকানে বাংলাদেশী পোষাক। কানাডিয়ান দের দেখিয়ে বলি এই পোষাক আমাদের দেশের।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

একান্ত কথা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নুতুন তথ্য গুলো শেয়ার করবার জন্য... We Shall overcome, we shall overcome, we shall overcome someday

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

যাযাবর৮১ বলেছেন:

গণদাবি একটাই

আবার জেগেছে তারুণ্যের প্রজন্ম
দ্বিধা ভেদ ভুলে জাগরণের জন্ম,
কবে কে দেখেছে এই বাংলার বাঘ
শাবাশ জনতা ঐ জেগেছে শাহবাগ।

আলোকিত প্রাণ প্রজন্ম চত্বরে
বিকশিত গান খুঁজছে সত্তারে,
আর নয় ভুল, মুক্তির স্লোগান
ধূম্র ধূসরে ফাগুনের জয়গান।

ঘৃণায় আক্রোশে জানায় যে ধিক্কারে
গণদাবি আজ প্রদৃপ্ত হুঙ্কারে,
জেগেছে জনতা, বিচার এবার চাই
ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি, গণদাবি একটাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.