নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি শুধুই মানুষ অন্য কিছু নয়\"

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া

সমস্ত ভালোবাসা কবি এবং কবিতার জন্য

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিজারে বাচ্চা ডেলিভারি এবং বাংলাদেশের সিজার সংস্কৃতি।। এম এস আরেফীন ভুঁইয়া।।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮


সিজারে বাচ্চা ডেলিভারি এবং বাংলাদেশের সিজার সংস্কৃতি
----------------------------------------------------------

বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারত পাকিস্থান নেপাল বার্মা থাইল্যান্ড মত দেশ গুলোয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিজার করে বাচ্চা নেই, আজ কাল তা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। ভাবুন আজ থেকে তিরিশ বছর আগের কথা।
আমাদের বাবা মায়েরা পাচ সাতটি সন্তান জম্ম দিয়েছেন খুব স্বাভাবিক ভাবে এবং এদেরকে সঠিক ভাবে লালন পালন করেছেন, তাদের থেকে কত জ্ঞানি গুনি মানুষ জম্ম নিয়েছে,মানুষের কল্যানে দেশের কল্যানে আবদান রেখেছেন।
অথচ আজ অল্প কয় বছরের ব্যবধানে এই দেশ গুলোর নারীদের কি করুন পরিণতি।তারা প্রয়োজনেও একটি অধিক বাচ্চা নিতে ভয় করে।
আপনারা কখনো শুনেছেন হলিউড বলিউডের কোন নায়িকার সিজারে বাচ্চা হয়েছে? শুনেছেন বাংলাদেশের কোন সুনাম ধন্য নায়িকা বা সেলিব্রিটির মধ্যে কেউ সিজারে বাচ্চা হয়েছে? না তা শুনেন নি।
আপনি খোজ নেন আপনার পরিচিত এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে যারা ইউরোপের দেশে থাকে বা নর্থ আমেরিকার দেশ আমেরিকা বা কানাডা থাকে। তারাও বলতে পারবেনা এই রকম ঘটনা শুনেছে।
আমাদের দেশের পাশ্ববর্তী দেশ গুলোয় শুনবেন এই সব কথা কারণ আমাদের দেশের অনেক ডাক্তার বলেন আপনার বাচ্চাতো উলটে গেছে আপনার শরীর দুর্বল, পানি শুকিয়ে গেছে ইত্যাদি। অনেক ডাক্তার সরাসরি বলেন আমি সিজার ছাড়া নরমাল ডেলিভারি করিনা।এতে করে নারীরা দুর্বল হচ্ছে ধবংস হচ্ছে ছেলেমেয়ের প্রতি মায়ামমতা।শারীরিক ভাবে বাচ্চারা হচ্ছে দুর্বল পাশাপাশি মা ঝুকিতে থাকেন বেশি।
গর্ভাবস্থায় কোন জটিল সমস্যা যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ। নরমাল ডেলিভারি শুধু বর্তমান গর্ভাবস্থার জন্যই ভালো নয় বরং পরবর্তীতে গর্ভধারণের জন্যও ভালো।

শুধু ডাক্তারের দোষ দিয়ে কি লাভ আমাদের এই যুগের দাম্পত্য যুগল ফ্যাশন করে এখন সিজার করায়। এই রকম ঘটনা হাজারো আছে। এতে করে সংসার জীবনে হাজারো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
যেমন-সিজার করার পর সিজার হওয়া মা বলে আমি চাপের কাজ করতে পারবো না ডাক্তার বারণ করেছে। তার কাজ কে করবে! তা বৃদ্ধ বয়সে মাকে করতে হয়,ছেলের রোজগার খায় বলে। বৃদ্ধ মা জীবনের পুরো অংশ কাজের বুয়া হয়ে অনাদরে কাটে।
...

পদটিকাঃ নর্মাল সব কিছু সব সময় সুন্দর,নিজেকে কেটে গর্ভ করার কিছু নেই।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: কল্লোল পথিক ভাই, খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য দেখে। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন, ভাললাগা জানবেন। অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ কবি।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: কি আর করার!

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: শ্রদ্ধাভাজন ঢাকাবাসি ভাই, ভাল লাগল আপনার মন্তব্য, সত্যিই কিছু করার নেই। মন্তব্যে খুব অনুপ্রেরণা ও প্রীত হলাম।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

বিজন রয় বলেছেন: আমি বুঝি না তারা কেন করে।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: সুমন কর ভাই, প্রীত হলাম,সহমত প্রকাশে ধন্য হলাম
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ,,,

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনার সাথে পুরো একমত। এটা একধরণের ফোবিয়া রূপান্তর করা হয়েছে। অথচ এতে করে মায়ের শরীরকে যেমন দূর্বল করে দেওয়া হচ্ছে, তেমনি পরবর্তী বাচ্চা নেওয়াটা একদম ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।আমি আমার খালাদের ঘরে দেখেছি,ওদের ঘরে কয়েকজন ডাক্তার,ওদের ঘরে কোন বাচ্চাই আজ পর্যন্ত সিজার করতে শুনি নাই। কিন্তু এর বাইরে যাদেরই শুনি সব সিজার,এটা জানিনা ডাক্তাররা কাদের ঈঙ্গীতে এসব করছে।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১১

ক্রন্দসী বলেছেন: দুর্দান্ত ফাইন্ডিংস। ভাই আমার একটা অদ্ভুত ধারনা আছে। সিজার করলে দুইয়ার বেশী বাচ্চা নেয়া যায় না। এটা পপুলেশন কন্ট্রোলের রাস্তা নাতো আবার?আমার অজ্ঞতাজনিত প্রশ্নে কেউ মাইন্ড করবেন না যেন

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২২

জাহিদ মজুমদার বলেছেন: ঢালাও ভাবে ফ্যাশন বলাটা ঠিক হবে কি? কারণ মহিলারা সাধারণত সিজার করাতে আগ্রহী হয় না। নিজের একটি অভিজ্ঞতা বলতে পারি। যেমন বাচ্চা হওয়ার তারিখ ছিল অক্টোবরের ১০ তারিখ, ৩ তারিখে নিয়মিত চেকআপ করাতে গেলে ডাক্তার হঠাৎ বলে বসেন, বাচ্চাতো নিস্তেজ হয়ে গেছে, ইমার্জেন্সি সিজার না করালে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায়-দায়িত্ব আপনাদের। (জাপান-বাংলাদেশ হসপিটাল, ডা. আমেনা) আপনারা প্রস্তুতি নিয়ে কালকের মধ্যেই চলে আসুন। এ কথা শোনার পর আপনি আসলে কি সিদ্ধান্ত নেবেন তখন, এর মধ্যে যদি মেয়ের আত্মীয়স্বজন সাথে থাকেন, বিশেষ করে শাশুড়ি বা এরকম। কিন্তু অপারেশনের পর দেখি আসলে বাচ্চার কোনো সমস্যাই নাই, সম্পূর্ণ সুস্থ এবং বেশ নাড়াচাড়াও করছে অর্থাৎ নিস্তেজ হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই। এরপর আপনি আসলে কি করতে পারেন। এবং আরেকটি অভিজ্ঞতা বলতে পারি, মায়ের যখন ব্যাথা উঠেছিল, বাসায় এসে এক নার্স ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর তার ব্যাথা আর নেই, এবার ওরা বলল যেহেতেু ব্যাথা নেই, তাহলে সিজার করতে হবে-এ নিয়ে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে টানাহেচড়া। দ্রুত হাসপাতালে, ডাক্তার আসেনা, রোগী যায় যায় অবস্থা। তাড়াতাড়ি সিজারের প্রস্তুতি নিতে নিতে কোনোরকমে নরমাল হয়।
প্রায় সবার গল্পই এরকম বা কাছাকাছি। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রকৃত চালচিত্র কি তা ভুক্তভোগী ছাড়া সাধারণ মানুষ আন্দাজ করতে পারবে না।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের ডাক্তারদের মরাল সামন্য আদম ব্যাপারীর পর্যায়ে নেমে এসেছে।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: বিজন রয় দাদা, আসলে মায়া মমতা ভালোবাসা সবেইতো আর্টিফিসিয়াল হয়ে গেছে,আর যা হচ্ছে তা অতি সাধারণ। সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছাসহ শুভ কামনা। প্রিয় বন্ধু বর।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: প্রিয় মুসাফির নামা ভাই, প্রথমে সহমত প্রকাশের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ,শুভেচ্ছা। অধিক ঝুকি থাকলে সিজার করা জুরুরি মা বাচ্চাকে বাচিয়ে রাখার জন্য কিন্তু আমাদের দেশের কিছু ডাক্তার আছেন এবং কিছু বাবা মা আছেন যারা নিজ ইচ্ছায় সিজার হচ্ছেন আর ডাক্তার করাচ্ছেন। তাদেরতো বুঝতে হবে তাদের ভবিয্যত, কি হচ্ছেন তারা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন পাশে থাকবেন।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: ক্রন্দসী ভাই তাও হতে পারে,কিন্তু আমারা যারা বুঝে করছি তাদের কথা বললাম। আসলে এখন অনেকেই একটু কষ্ট করতে চায় না, চায় না বলে সারা জীবন কষ্ট বহিয়া বেড়ায়। সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন পাশে থাকবেন।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: প্রিয় জাহিদ মজুমদার ভাই, ঢালাও ফ্যাশন বলাটা ঠিক হয়নি, এই জন্য আমি লজ্জিত ও দুঃখিত। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাই হচ্ছে। আপনি সুন্দর ভাবে উপলব্দি করতে পেরেছেন। আপনাকে অসঙ্গখ্যধন্যবাদ সুন্দর গঠন মূলক সমালোচনা করার জন্য। পাশে থাকবেন। শুভ কামনা ।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: প্রিয় চাঁদগাজী ভাই, সব ডাক্তার নয় সব মা বাবা এই রকম চায় না। তবে অধিকাংশ ডাক্তার এবং পেশেন্ট এই রকম চরিত্রের হয়, সাময়িক সুখকে খুব বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে , ভবিয্যত কষ্টকে পুঁজি করে কষ্টের গ্লানি টানে। সুন্দর মন্তব্যের অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। শুভ কামনা।

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

কাজী দাস বলেছেন: সহমত।

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: কাজী দাস ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।ভাল থাকবেন সব সময়।শুভ কামনা।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

আহমাদ সালেহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

মো কবির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। তবে এই নিয়ে আমাদের জোড়ালো পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। আগে গ্রামে দেখেছি, একজন বয়স্ক মহিলা থাকতেন, কারো বাচ্চা হওয়ার সময় হলে তাকে ডেকে নিয়ে আসতাম। তার কিছুক্ষণ পরেই খবর আসত, অমুকে ছেলে/মেয়ে হয়েছে। আর আজকে বাচ্চা হওয়ার সময় হলেই হাঁসপাতাল, অতঃপর সিজার !!!!


এর নিরোধনের জন্য কিছু করা উচিৎ আমাদের।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: আহামাদ সালেহ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন, আমি মুগ্ধ। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: মো: কবির ভাই,
সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন, আসলে আগে দাইমারা বিনা পরিশ্রমে করতো বলে হয়তো এখন তা বিলুপ্তির পথে, এখন মানুষ টাকা না দিলে বা টাকা না নিলে সন্তুষ্ট হয় না, তাই ইচ্ছা করে ডাক্তার কে টাকা দিয়ে সিজার বা ডেলিভারি করানো হয়,
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ,,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.