নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি করি স্কুল বয়স হতে। এখন যেহেতু মানুষ ভুলেই গেছে খাতায় লেখা, তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমিও গা ভাসিয়েছি স্রোতের অনুকুলে। ব্লগে লিখালিখি তেমন কখনো করিনি। ফেইসবুকেই সকল কিছু লিখে থাকি। চিন্তা করলাম এখন থেকে ব্লগেও কিছু লিখি। যেই ভাবা সেই কাজ।

আরেফিন কাজী

তেমন বিশেষ কোন পরিচয় নেই। আমি মানুষ এইটাই আমার বড় পরিচয় বলে মনে করি।

আরেফিন কাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজনামচা-১

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

বিকেলে ঘুম থেকে উঠেই দেখলো বাহিরে ভ্যপসা একটা গরম। বাসার পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছটার একটা পাতাও নড়ছে না। এই গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখীর প্রতাপে, প্রকৃতিতে কেমন যেন বর্ষা বর্ষা ভাব। তবে আজকের দিনটা ভিন্ন। সকালে যখন অফিসে যাওয়া হচ্ছিলো, নীল আকাশে সাদা মেঘগুলো পেঁজা তুলোর মত ভেসে বেড়াচ্ছিলো। রবি বাবুও তার আলো বিলিয়ে দিতে কার্পণ্য করছিলো না। অফিস শেষে এসে, কখন যে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে গেল, জানা নেই। ঘুম যখন ভাঙ্গলো, তখন কাকেরা বাড়ি ফিরছে, আর বাদুরের দল বেড়িয়েছে পৃথিবী প্রদক্ষিণে। এক মগ কফি বানিয়ে টেরেসে গিয়ে চুপচাপ এক কোণায় বসে পড়লো। এই সময়টা খুব প্রিয়। মাঝে মাঝে মনে হয়, এই গৌধুলী বেলা যদি সবসময় থাকতো। অবশ্য গৌধুলীর সময়টা ভালো লাগে না, এমন লোক পাওয়া খুব দুস্কর। প্রায়ই বসে থাকে সন্ধ্যা নামার আগ পর্যন্ত। চারদিকে আস্তে আস্তে জ্বলে উঠতে থাকে, কৃত্রিম আলোর রঙে। এই আলোটা ভালো লাগে না। রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ গান শুনে। এসো আমার শহরে। শুনতে শুনতে কখন যে রাত হয়ে যায়, জানা থাকে না। সন্ধ্যের পর থেকে রাতের ১১ টা পর্যন্ত হয়ে থাকে রুমবন্দী। আস্তে আস্তে যখন শহরের কৃত্রিম আলোগুলো নিভে যাওয়া শুরু করে, তখন গিয়ে বসে টেরেসের সেই কোণটায়। চুপচাপ রাতের আকাশ দেখে, আর তারা গোনে। মাঝে মাঝে সঙ্গ দেয় পূর্ণিমার চাঁদ। ছাদের ঠিক একটা কোণায় কিছুদিন হলো এক জোড়া চড়ুই পাখি বাসা বেধেছে। মাঝ রাতে ওদের বোধয় ঝগড়া হয়। প্রায়ই হুটহাট জানান দেয় ডাক দিয়ে। কখনো অবশ্য ওদের সংসারে নাক গলায় নি। আজ আবার সন্ধ্যে থেকেই পরিবেশটা কেমন যেন গুমোট। যখন বসে আছে, ঠিক রাতের প্রথম প্রহরে শুরু হলো বৃষ্টি। সাথে পাগলা ঘোড়ার মত দমকা হাওয়া। কফির মগটা যে কখন শেষ হলো, ও দিকে খেয়াল নেই। আবার পুরোটো ভরে নিয়ে বারান্দায় এসে দাড়ালো। বাইরে বাতাসের শো শো শব্দ, আর ঝাপটা দেওয়া বৃষ্টি। খুব ইচ্ছে হচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজতে। কাওকে পাশে নিয়ে। কিন্তু সে সাধ করে লাভ নেই। হঠাত পকেটে থাকা দূরালাপনীর টুং শব্দে সম্ভিত আসে। হাতে নিয়ে দেখলো, সবুজ আলো জ্বলছে আর নিভছে। দেখেই আবার পুরে রাখলো পকেটে। কিন্তু কিছুদিন আগেই, এই টুং শব্দে মন খুশি হয়ে উঠতো। একটা বিদ্রুপের হাসি ফুটে উঠলো মুখে। নিজেকেই নিজে বিদ্রুপ করছে। অনেকদিন হলো লিখতে বসে না। মাথার ভিতরে হাজারো শব্দ ভিড় করে প্রতিনিয়ত। শেষমেষ পরিণতি সেই স্বপ্ন দেখে জেগে উঠার মত। লিখা আর হচ্ছে না। সাউন্ড বক্সে মৌসুমি ভৌমিক গেয়ে যাচ্ছে, সমুদ্র জল ছুয়ে আসার গান।
(২৭ মে ২০১৮)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মৌসুমি ভৌমিকের গান মাঝেমধ্যে আমিও শুনি। ২০১০-১১ দিকে একবার উনার 'যশোর রোড' গানটা উপজেলার সব কটা কম্পিউটার বা গানের সিডির দোকান খুঁজে পাইনি। অনেকে তখনো উনার নামটাও নাকি শুনেনি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

আরেফিন কাজী বলেছেন: আমি এখনো মাঝে মাঝে শুনি।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ডায়েরী লিখেছেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

আরেফিন কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.