নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাংবাদিক। সততার সাথে কাজ করি। উচিত কথা বলার জন্য অনেকের চোখে আমি একজন উগ্র মানুষ। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গনযোগাযোগ এ অনার্স এবং এমএ পাশ করেছি।

আরিয়ান স্ট্যালিন

আমি একজন সাংবাদিক ও লেখালেখি করি

আরিয়ান স্ট্যালিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিরজীবন আড়ালে থেকে গেলেন জিল্লুর রহমান.......

২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২০

বঙ্গবন্ধু নামক মহীরুহের আড়ালে চিরজীবন থেকে গেলেন জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক সহ আরও অনেক অনে নেতা, ছাত্র নেতা, যোদ্ধা নেতা।পরবর্তীতে এদের মধ্যে যারা রাজনীতিতে এসেছেন, তাঁদের নামই আমরা জানি, শুনেছি, কিন্তু বাকিদের আর কোন খবর আমরা রাখিনি।এই যেমন জিল্লুর রহমান, বেশ কিছুদিন আগেও নিজের দলের দুরসময়ে হাল ধরলেন, আধা সামরিক একটি সরকারের মোকাবিলা করে একদম ভীষণ ভাবে কিছু আন্দোলন করলেন, কিন্তু ফোকাসে এলেন না, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই যে কালচার, এইটা সেই সময়কার নেতারা ছাড়া আর কেউই ইদানিং প্র্যাকটিস করেন না। মানতে হয়, বাংলাদেশে যারা শ্রেণীর রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন, তারা গরীব বাঙালি মুসলমানকে যথাযথ মূল্য দেন নাই, প্রান্তিকের চৈতন্যকে ‘নিজেদের উচ্চতর’ অবস্থান থেকে নানা সময়ে অবহেলা করেছেন।একজন আপসহীন নেতাকে হারিয়েছি আজ । ব্যাথা কষ্ঠে দুঃখে আমার মন বেথিত। আমি বাক হারা । দেশের জনগন কখন ও ভুলতে পারবেনা তার কথা । ইতিহাস হয়ে থাকবে বই এর পাতায় । যে বঙ্গবন্ধুর গড়া মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে অর্জিত এই দেশ কে বুকে জড়িয়ে এক করে রেখেছিল সে নেতা হারিয়ে গেল আমাদের মাঝ থেকে । তার শোকাহত পরিবারকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে সুভকামনা রইল ।



সদ্যপ্রয়াত রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৪ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।



১৯৫২ সালে তিনি ফজলুল হক হল ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এক সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। সেই সভা থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে ১৯৫৩ সালে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তারসহ আটজনের এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেওয়া হয়। পরে ছাত্র-আন্দোলনের মুখে সরকার তাদের ডিগ্রি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।



১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ঐ বছরই তিনি আওয়ামি স্বেচ্ছাসেবক লিগের প্রধান এবং কিশোরগঞ্জ আওয়ামি লিগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন।



১৯৬০ সালে জিল্লুর রহমান ঢাকা জেলা আইনজীবী-সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২-এর ছাত্র-আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয়দফা এবং ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছিলেন জিল্লুর রহমান। ১৯৭০-এর নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তাকে বিশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।



১৯৭২ সালে বাংলাদেশ গণপরিষদ-সদস্য হিশেবে সংবিধানপ্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদসদস্য নির্বাচিত হন।



স্বাধীনতার পর তিনি আওয়ামি লিগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুহত্যার পর তিনি গ্রেপ্তার হয়ে চার বছর কারাগারে থাকেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামি লিগ সরকার গঠন করলে তাকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা করা হয়। তিনি একাধিকবার আওয়ামি লিগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও নির্বাচিত হন।



জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেডহামলায় আহত হয়ে দুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন তার স্ত্রী, আওয়ামি লিগের তত্‍কালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা আওয়ামি লিগের সভাপতি আইভি রহমান।



২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাগারে যাবার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে তিনি আওয়ামি লিগের দুঃসময়ের কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং আমৃত্যু দলীয় আনুগত্য পোষণ করা এই খাঁটি আওয়ামি লিগার ২০০৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।



ভাষাসৈনিক, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের দুঃসময়ের সাথী, অবিসংবাদিত ও বর্ণাঢ্য রাজনীতিক, বাংলাদেশের রাজনীতির ঋষিতুল্য পুরুষ জিল্লুর রহমানের অন্তর্ধানে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা!সদ্যপ্রয়াত রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৪ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।



১৯৫২ সালে তিনি ফজলুল হক হল ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এক সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। সেই সভা থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে ১৯৫৩ সালে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তারসহ আটজনের এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেওয়া হয়। পরে ছাত্র-আন্দোলনের মুখে সরকার তাদের ডিগ্রি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।



১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ঐ বছরই তিনি আওয়ামি স্বেচ্ছাসেবক লিগের প্রধান এবং কিশোরগঞ্জ আওয়ামি লিগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন।



১৯৬০ সালে জিল্লুর রহমান ঢাকা জেলা আইনজীবী-সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২-এর ছাত্র-আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয়দফা এবং ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছিলেন জিল্লুর রহমান। ১৯৭০-এর নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তাকে বিশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।



১৯৭২ সালে বাংলাদেশ গণপরিষদ-সদস্য হিশেবে সংবিধানপ্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদসদস্য নির্বাচিত হন।



স্বাধীনতার পর তিনি আওয়ামি লিগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুহত্যার পর তিনি গ্রেপ্তার হয়ে চার বছর কারাগারে থাকেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামি লিগ সরকার গঠন করলে তাকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা করা হয়। তিনি একাধিকবার আওয়ামি লিগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও নির্বাচিত হন।



জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেডহামলায় আহত হয়ে দুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন তার স্ত্রী, আওয়ামি লিগের তত্‍কালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা আওয়ামি লিগের সভাপতি আইভি রহমান।



২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাগারে যাবার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে তিনি আওয়ামি লিগের দুঃসময়ের কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং আমৃত্যু দলীয় আনুগত্য পোষণ করা এই খাঁটি আওয়ামি লিগার ২০০৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।



ভাষাসৈনিক, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের দুঃসময়ের সাথী, অবিসংবাদিত ও বর্ণাঢ্য রাজনীতিক, বাংলাদেশের রাজনীতির ঋষিতুল্য পুরুষ জিল্লুর রহমানের অন্তর্ধানে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.