![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাংবাদিক ও লেখালেখি করি
রাজধানীতে অনুমোদনহীন ও নকশাবহির্ভূত পাঁচ হাজারের বেশি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাজউকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে একের পর এক নির্মিত হচ্ছে নকশাবহির্ভূত বহুতল ভবন। আর নকশা ছাড়া নির্মিত ভবনের সঠিক কোনো তথ্য নেই রাজউকের কাছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজউকের এক সূত্রের মতে, নকশা ছাড়া ভবনের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আর নির্মিত ভবনের পিলার ডেম একটু বাঁকা হয়ে পড়েছে এ রকম আরো ভবন আছে তিন-চার হাজার। এসব মিলিয়ে রাজধানীর প্রায় ২০ হাজার ভবন ও বাড়ি ধসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরান ঢাকার ভ্যাস্টেট প্রপার্টি ভবনগুলোসহ দুই হাজারের বেশি ভবন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে রিয়েল এস্টেট অনেক কোম্পানি অনুমোদনকৃত নকশার বাইরে তিন থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত বাড়িয়ে নির্মাণ করেছে। ট্রপিক্যাল হোমস ও ফ্রেন্ডস বিল্ডার্সসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ট্রপিক্যাল হোমস এলিফ্যান্ট রোডে নয়তলা ভবনের নকশা অনুমোদন নিয়ে সেখানে ১৪ তলা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেছে। ইতিমধ্যে সব ফ্ল্যাট বিক্রিও হয়ে গেছে। একইভাবে টিকাটুলিতে ফ্রেন্ডস বিল্ডার্স লিঃ ১২ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন নিয়ে সেখানে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করছে, যার কাজ প্রায় শেষের দিকে। ২২/১ তোপখানা রোডে ছয়তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে নয়তলা ভবন। তোপখানা রোডে মেট্টোরাজ হোটেলের নকশা চারতলার, সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে সাততলা ভবন। এসব ঘটনা রাজউক জানলেও অবৈধ স্বার্থগত কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্যদিকে, রাজনৈতিক তদবিরেও নকশাবহির্ভূত অনেক ভবন বহাল তবিয়তে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক তদবিরের চেয়ে অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মিত হয়েছে বেশি।
নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ বন্ধ এবং অবৈধভাবে নির্মাণ করা ভবন ভেঙে ফেলতে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন রাজউকে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, মোহাম্মদপুরের আদাবর রিং রোডের মাথায় অবৈধভাবে নির্মিত ভবন ভেঙে ফেলার জন্য প্রতিবেশীরা রাজউকে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি। তেজগাঁও থানার ১৮৬/৬ তেজকুনিপাড়া ভবনের মালিক মো. শাহজাহান পাঁচতলা ভবনের নকশা অনুমোদন নিয়ে সেখানে ছাদে আরেকটি ফ্লোর নির্মাণ করেছেন। তা ছাড়া, তার পেছনের প্লটে প্রবেশপথ আটকে দিয়ে মালিক নাজির আহম্মদ মাস্টারের ওয়ারিশদের মাত্র তিন ফুট রাস্তা দিয়ে আট ফুট জমি তাকে লিখে দিতে বাধ্য করেন। এছাড়াও নকশায় তিন ফুট ছেড়ে ভবন নির্মান করার বিধি থাকলেও রাজউকের সে বিধি অমান্য করে নাজির আহম্মদ মাস্টারের জমির ওপর দেয়াল দিয়ে ভবন নির্মান করেন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রাজউকের কাছে আবেদন করলেও রাজউক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেন জানান ভুক্তভোগী রাশিদা আনোয়ার।
এ প্রসঙ্গে মো. শাহজাহান বলেন, “আমি নিয়মানুযায়ী তিন ফিট জায়গা ছেড়েই ভবন নির্মাণ করেছি। ভবনটির ছয়তলা ফাউন্ডেশন করা হয়েছে।”
মুগদা থানার দক্ষিণ মুগদাপাড়ার ৬/৭ নম্বর বাড়ির এক কোণ ১৯৯৮ সালে মাটির নিচে দেবে গিয়ে একটু হেলে পড়ে। আতঙ্কে ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি রাজউককে জানালে সেখানে অথরাইজড অফিসার বাড়ির মালিকের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাকে এটি পাইলিং করে ঠিক করে নেয়ার পরামর্শ দেন বলে জানান ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া। কয়েক বছর পর ভবনটি আবার কিছুটা হেলে পড়েছে বলে জানা গেছে। তারপরও রাজউক এই ভবনের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। গত বছর স্বামীবাগে একটি চারতলা ভবন হেলে পড়ায় সেটি পরিত্যক্ত হয়ে আছে।
এমন অনেক ভবন এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হলেও এ বিষয়ে রাজউক প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ভবনধসে মানুষ মারা যাওয়ার পর রাজউক কয়েক দিন একটু তদারকি করলেও মাস না যেতেই তা আবার শিথিল হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৯
আল-মুনতাজার বলেছেন: এগুলো বিএনপি-জামাতের নাশকতা বলে মনে করে শেখ আওয়ামী লীগ।আসেন ঐ ২০ হাজার ভবন নাড়াচারা দিয়ে ভেঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্বকে জোড়ালো করি।জয়তূ শেখ আওয়ামী লীগ,মখ আলমগীর!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!