![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।
পবিত্র কুরআন প্রথমে মানুষের সাথে সৃষ্টিকর্তার
তারপর মানুষের সাথে মানুষের
তারপর মানুষের সাথে সমস্ত জীব জগত এবং
দৃশ্য অদৃশ্য বস্তুসহ সৃষ্টি জগৎ এর সব কিছুর সাথে ভারসাম্যপূর্ন সম্পর্ক স্থাপন করে।
পবিত্র কুরআন মানুষকে চিন্তাশীল করে। এই বই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়। কুরআন সৃষ্টি জগৎ নিয়ে চিন্তার নতুন দরজা খুলে দেয়। শুধু মানুষ নয় প্রানীজগতের উপরও সম্মানবোধ তৈরি করে।
চলুন একটি আয়াত দেখি-
“সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।”(পবিত্র কুরআন, সূরা বনী ইসরাঈল, অধ্যায় ১৭, আয়াত ৪৪)।
“এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না”। কিন্তু আমরা তাদের ঘোষণা অনুধাবন করতে পারি না। দেখেন আয়াতটি নিয়ে চিন্তা করলে আপনার প্রানীজগতের উপর অন্যরকম একটা সম্মান তৈরি হবেই।
কিভাবে ? ঐ যে রাস্তার ধূলিলুন্ঠিত কুকুরটি, বিড়ালটি ইত্যাদি এরা সবাই কিন্তু মহান রবের প্রশংসা করছে কিন্তু সেটা আমাদের বোধ শক্তির উর্ধে।
এখন এটা হতেই পারে না যে ওকে আমরা অকারনে একটা লাথি দিবো, ইট পাটকেল মারবো কারন ও তো আল্লাহর বন্দেগীতে লিপ্ত থাকতে পারে ঐ সময়। আপনি যেমন স্রষ্টার বন্দেগী করছেন ঐ রাস্তার অপরিষ্কার কুকুরও কিন্তু স্রষ্টার বন্দেগী করছে। কুরআন আমাদের জানিয়েয়েছে যে ওদের ইবাদতের স্টাইল আমরা বুঝবো না। তাই এদের প্রতি(ক্ষতি সাধনে লিপ্ত নয় এমন সব কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি পশু) কুরআনে বিশ্বাসী একজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে অতি সম্মানের। একেই বলে বিশ্বাসের পাওয়ার, কুরআনের পাওয়ার।
বস্তুর ক্ষেত্রেও স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের কথা কিন্তু পবিত্র কুরআন আমাদের জানায়। উপরে উল্লিখিত আয়াতে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
অন্য জায়গায় কুরআন বলছে (সূরা ছোয়াদ) -
“আমি পর্বতমালাকে তার(নবী দাউদ আঃ) অনুগামী করে দিয়েছিলাম, তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করত।”(৩৮:১৮)
“পাথরের মধ্যে এমন ও আছে; যা থেকে ঝরণা প্রবাহিত হয়, এমনও আছে, যা বিদীর্ণ হয়, অতঃপর তা থেকে পানি নির্গত হয় এবং এমনও আছে, যা আল্লাহর ভয়ে খসেপড়তে থাকে!” (পবিত্র কুরআন,২:৭৪)
লক্ষ্য করুন পাহাড়-পর্বত পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং তার ভয়ে ভীত হয়ে যায় কুরআন বলছে।
জড়বস্তুর মধ্যেও স্রষ্টা তার প্রতি অনুগত্যের অনুভূতি তৈরি করে দেন পবিত্র কুরআন সেরকমই ধারনা দেয়। আর কিছু বুঝে না আসলেও তার সৃষ্টির প্রতি পরম শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে সেই বুঝ কিন্তু চলে আসে এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে। সুবহানআল্লাহ্ !
এই বই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়। কুরআন সৃষ্টি জগৎ নিয়ে চিন্তার নতুন দরজা খুলে দেয়। নতুন করে ভাবায়, সম্মানবোধ তৈরি করে এবং আমাদের বলতে বলে -
“...(তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি..”।
(পবিত্র কুরআন, ৩:১৯১)।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
আরফীন ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।