নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।মোঃ আরফীন ইসলাম​[email protected]

আরফীন ইসলাম

ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।

আরফীন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনের পরিচয় কোরআনের বর্ণনায় - ২

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

“আরবী ভাষায় এ কোরআন, যাতে কোন জটিলতা নেই, যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে।” (পবিত্র কুরআন, সূরা আল-যুমার-২৮)।
মহান আল্লাহ একদম পরিষ্কার বলে দিলেন যে পবিত্র কুরআনে কোনো জটিলতা নেই। কুরআনে বক্রতা, পেচানো কথা, অসঙ্গিতি, জটিলতা নেই। এখানে আরবি শব্দ عِوَجٍ (ইওয়াজিন) মানে হলো জটিলতা, বক্রতা।
অসঙ্গিতি, জটিলতা নেই তার মানে কুরআনকে সহজ ও সরল করা হয়েছে যাতে করে এটা সবার কাছে বোধগম্য হয়।

একই কথা পুনরায় মহান আল্লাহ বললেন আরও চমৎকারভাবে -

“সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজের বান্দার প্রতি এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা (عِوَجَا, ইওয়াজা) রাখেননি।”
(পবিত্র কুরআন, সূরা কাহাফ, ১৯:১)।

মহান আল্লাহ নিজের প্রশংসার সাথে সাথে বললেন যে তিনি বান্দার উপর এমন এক কিতাব পাঠিয়েছে যাতে কোন জটিলতা নেই, সুতরাং আলহামদুলিল্লাহ্। কোরআনের উদ্দেশ্য হচ্ছে রাখাল বালক থেকে শুরু করে রাষ্ট্র প্রধানের কাছে তার বক্তব্য ফুটিয়ে তোলা। যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে(৩৯:২৮)।

অসঙ্গিতি, জটিলতা, বৈপরিত্য নেই তার মানে কুরআনকে সহজ ও সরল করা হয়েছে সেটাও মহান আল্লাহ্ বলে দিলেন চমৎকারভাবে –

“নিশ্চয় আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি?” (পবিত্র কুরআন, সূরা আল ক্বামার, ৫৪:১৭)।

“We have indeed made the Quran esay to understand”

কুরআনের অর্থ উপলব্ধি করা, এ থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহন করা, মুখস্ত করা মহান আল্লাহ্ প্রত্যেকের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। কুরআন কারীম ভাষাশৈলির দিক দিয়ে অতি উচ্চতরের কিতাব হওয়া সত্ত্বেও কোনো মানুষ বিনয় ও আন্তরিকতা সহকারে একটু মনোনিবেশ করলেই সহজেই কুরআন বুঝে নিতে পারবে এবং তাকে পড়তে হবে উপদেশ গ্রহনের দৃষ্টিতে। এ কথাটাই কুরআনের অসংখ্য জায়গায় আল্লাহ্ বোঝাতে চেয়েছেন। কুরআন এর মর্মবাণী অন্তরে প্রবেশ করলে তা মানুষে পাপাচরনের আকাংখা মুছে দেয়।

এখন, আল্লাহ্ বলছেন কুরআনে জটিলতা নেই , এটি বোঝার জন্য সহজ করা হয়েছে তারপরও কেন এটাকে কেউ কেউ কঠিন বলছে, বোঝা যাবে না বলছে?
আসলে বাস্তবতা হচ্ছে, আমরাই এটিকে জটিল করেছি কখনও স্বার্থের কারনে কখনো বা না বুঝে। যারা এটাকে জটিল, কঠিন বলছে তাদের কথা কুরআনের বক্তব্যের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। কুরআনের ব্যাপারে কুরআন নিজেই যে মন্তব্য করেছে সেটার সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বয়ান গ্রহনযোগ্য নয়।

আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে কোরআন আমাদের ডাকছে, আহবান জানাচ্ছে – “..উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি?”(৫৪:১৭)
একই সূরার মধ্যে একই কথা ৪ বার বলা হয়েছে (সূরা আল ক্বামার,১৭,২২,৩২, ও ৪০ নং আয়াতে)।

বলা প্রয়োজন যে, যে ব্যক্তি কোরআনে জটিলতা খুজে পায়, অসঙ্গতি খুজে পায় বা বিভ্রান্ত হয় তার আসলে অন্তরে রোগ রয়েছে, দৃষ্টিভঙ্গিতে সমস্যা রয়েছে, বুঝতে সমস্যা রয়েছে, এটা তার সমস্যা কোরআনের নয়। সে আগে মাইন্ড সেট করে যে কোরআনে জটিলতা আছে তারপর পড়তে শুরু করে অথবা ভুল ধরার জন্য পড়ে অথবা জগড়া করার জন্য কোরআন পড়ে।

মহান আল্লাহু বলেন-
“আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও করুনা, সীমালংঘনকারীদের (গোনাহগারদের) তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।” (পবিত্র কুরআন, ১৭:৮২)।

দেখুন, কোরআনকে আল্লাহ অন্তরের রোগের আরোগ্য এবং তার রহমত বললেন আর সাথে সাথে এটাও বলে দিলেন এক শ্রেনীর লোকদের শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি করবে তারা হচ্ছে সীমালংঘনকারী, অন্যায়কারী। সে আগে থেকেই বিভ্রান্ত, সে আগে থেকেই তার মনে নেগেটিভ ধারনা তৈরি করে রেখেছে, একটা সিদ্ধান্ত নয়ে রেখেছে এটাতে(কুরআনে) সমস্যা আছে !! তারপর পড়া শুরু করেছে। এজন্য আল্লাহ্ বললেন এদের শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.