নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিগত ব্লগসাইট : www.akterRhossain.blogspot.com \n \nফেসবুক আইডি : Akter R Hossain \n\n\nফেসবুক আইডি লিংক: www.facebook.com/ARH100

আকতার আর হোসাইন

খেলাধুলো করতে ও বই পড়তে প্রচন্ড ভালবাসি। আর মাঝেমধ্যে শখের বসে লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করি।

আকতার আর হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসব মানবতার উপর আমার একদলা থুথু...

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৪

১.

বিদ্যুতের খুঁটিতে(পিলারে) এক শিশুকে বেঁধে রাখা হয়েছে। শিশুটার বয়স কত আর হবে? এই সাত কি আট বছর

অথচ এই শিশুটার গায়ে স্কুলের ইউনিফর্ম থাকার কথা। তার কাঁধে থাকার কথা স্কুলের ব্যাগ। বাবার হাত ধরে তার স্কুলে আসার কথা। স্কুল প্রাঙ্গণে খেলাধুলায় তার সময় কাটানোর কথা....

খাতায় আঁকিবুঁকি করে তার দিনগুলো পেরোনোর কথা। মায়ের কোলে মাথা রেখে তার ঘুমানোর কথা...

একটা স্বপ্নের মতো তার শৈশবটা সোনালি হওয়ার কথা ছিল...।কিন্তু..? কিন্তু এই ঘুণে খাওয়া সমাজ তাঁকে সোনালি শৈশবের বদলে উপহার দিয়েছে ক্ষুধার জ্বালা, তাঁকে শিখিয়েছে কিভাবে পেটের জন্য দু মুটো ভাতের যোগাড় করতে হয়।
শিশুটার হাতে খাতা কলম না দিয়ে, বিদ্যা উপহার না দিয়ে, তাঁকে দিয়েছে চুরি বিদ্যা...




শিশুটার হাত পা বাঁধা। তার করুণ মায়াবী চেহারা। দেখলেই মানুষের পাথর মনও মোমের মত গলে যাবার কথা। অথচ গলছে না একদল মানুষের মন। না তারা মানুষ হতে পারে না। তারা নরপশু। মানুষের মুখোশ পড়া একদল হায়েনারা শিশুটাকে লাঠি দিয়ে মারছে তো মারতেই আছে। আর উৎসুক জনতা এই দৃশ্য এমনভাবে ঘিরে আছে যেন কোন ম্যাজিশিয়ান ম্যাজিক দেখাচ্ছে। তারা চেয়ে চেয়ে দেখছে শিশুটার বুকফাটা কান্না। দেখছে শিশুটার বেঁচে থাকার আকুলতা।

শুধু তাই নয়... হায়েনারা শিশুটাকে মারতে মারতে এক সময় তার দেহ থেকে প্রাণটাই কেঁড়ে নিল। এই মৃত্যুর দৃশ্যটাও উৎসুক জনতাকে দেখতে হল।



সেদিন যখন শিশুটাকে হত্যার ভিডিও দেখি শরীরের প্রতিটা লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল... ইচ্ছে হয়েছিল সব কয়টা জানোয়ারকে মেরে কুকুর দিয়ে তাঁদের মাংস খাওয়ায়।

এটা রাজনের হত্যার ঘটনা।এরপর সাগর, রাকিবদের তো আরো বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়। পায়ু পথ নল দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে....

আল্লাহ্‌...

সেদিন একটা কবিতা লিখেছিলাম। আজ সেটাই শেয়ার করলাম।

..


এমপি মন্ত্রী করলে চুরি পুলিশ থাকে প্রহরী

পথ-শিশু করলে চুরি খেতে হয় লাঠির বারি

এমপি মন্ত্রী চুরি করে টাকার উপরে ঘুমাতে

দেব-শিশু চুরি করে প্রাণটা তাহার বাচাঁতে
......

চুরির দায়ে অবুঝ শিশুর হাতে পায়ে

শেকল পড়িয়ে আঘাত করে সারা গা'য়ে

মার খেতে খেতে যায় ভাঙ্গে শিশুর হাঁড়

মায়া লাগেনা তবু ঐ পশু হারামজাদার
........

মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে

মায়ার সুরে দেবশিশু কেদেঁ বলে

"অ ভাই আমারে এক গলাস পানি দেওরেবা, আমার গলা হুকায় গেছে"
"নে ঘাম খা" বলে শালা নরপিশাচের বাচ্চা তারে ঘাম দিয়েছে।"

কাঁদিতে কাঁদিতে চাইল পানি, বিনিময়ে পেল ঘাম

আজো এই সমাজে গরিবের নাইরে কোন দাম।
......

সেদিন ঐ ছোট্ট শিশু রাজন

চুরির দায়ে মুল্য দিল জিবন

হাপাঁতে হাপাঁতে পানির তৃষ্ণায়, ছটফট করতে করতে

আজিকে আবার সাগর মরল ঐ নরপশুদেরই হাতে

আর কতজন মরতে হবে সাগর,রাজন,রাকিব?

আর কতকাল মরতে হবে জনম দুঃখী গরিব?
......

উপর দিয়ে মানুষের বেশ, ভিতরদেশে পশু

তাইতো তারা দ্বিধা করেনা হত্যা করতে শিশু

হায়রে মানুষরূপী পশু!!
ওয়াক থু থু.....
এসব পশুদের উপর ওয়াক থু থু.....
.....

হাজার হাজার রাজনরা অকাতরে দিচ্ছে প্রাণ
কোথায় আজ মানবতা, মানবতার জয়গান?

মানবতা উতলাইয়া প'রে ধনীদের কিছু হলে

মানবতা ঘুমাইয়া থাকে গরিবদের জিবন গেলে

হায়রে মানবতা!!!

ওয়াক থু থু.....

এসব মানবতার উপর ওয়াক থু থু.......

------ আকতার আর হোসাইন।


হিন্দু কি মুসলিম, বৌদ্ধ কি খ্রিস্টান প্রতিটা শিশুরই বেড়ে উঠা হোক আনন্দে উল্লাসে, তাঁদের জীবন হোক স্বপ্নের মত রঙিন। মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করি।আমিন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১১

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: আমিন। নতুন আর পুরাতন মিলে এসব অমানবিক আচরণ দেখতে দেখতে আমি অস্থির। আমাদের হৃদয়ে মনুষ্যত্বের সৃষ্টি হোক। মানবতার মুক্তি এবং জুলমাতের ধ্বংস কামনা করি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আমিন
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ বড় হিংস্র প্রানী। এদের মধ্যে মায়া দয়া নাই। এরা বড় অমানবিক।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ জীব যেমন, তেমনি সর্ব নিকৃষ্ট জীবও।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বড়চোরদের কিছু হয় না তারা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যায় সব সময়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই.... এই বড় চোর ডাকাতরা সব সময় ধয়া।ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় যদিও মাঝে মধ্যে দুই একটা পুটি মাছ ধরা পরে। কিন্তু তিমি মাছগুলো একদমই ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। তাঁদের কারণেই দেশে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব করুণ কাহিনী প্রতিবারই হৃদয়ে দাগ কাটে কষ্টের :(

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: এসব করুণ কাহিনী, মানুষ কারো হৃদয়ভাঙা আর্তনাদ দাগ কেটে যায় হৃদয়ে।। আল্লাহ সহায় হোক। পৃথিবী ভরে উঠুক ভালোবাসায়.... স্বর্গীয় ভালোবাসায়...

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০১

ইউসুফ হাওলাদার শাওন বলেছেন: ভাই বাস্তব কথা হচ্ছে, মনবতা আজ বই পুস্তকে, মানুষের মুখে মুখে, আমরা যতই মনবতার কথা বলি সমাজে, পৃথিবীর বুকে
মানবতা আজ নাই, নতুন প্রজন্ম
হয়তো একদিন জাদুঘরে যাবে
মনবতাকে খুঁজতে বা দেখতে কারণ
মনবতা আজ জাদুঘরে বন্দি,
জাগ্রত হোক বিবেক দোয়ার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.