| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ আর হাসাইন।
অনলাইনে আয় সম্পর্কে কিছু জানতে এবং জানাতে ভালবাসি, পুরুষাধিকার প্রতিষ্টায় সধা অগ্রগামী।
আ্মাদের বাংলাদেশে কারা প্রথম আন্দোলনের নামে, অধিকার আদায়ের নামে, গণতন্ত্র রক্ষার নামে হরতাল জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরু করেছিল সেই প্রশ্নে আমি যেতে চাই না। সব সময়ই দেখা যায় একটি সরকার বিরুধী দলের প্রতি যা যা অত্যাচার করে পরের সরকার এসে তার চাইতে বেশী করে। একিভাবে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় একটি দল যত জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচী পালন করে পরের বিরোধী দল তার চাইতে আরো বেশী করে। রাংলাদেশের রাজনীতিতে গুনগত একটি পরিবর্তন সময়ের দাবী। খুব শীঘ্রই যদি এই পরিবর্তন না আসে তাহলে সমস্ত দেশবাসীকে এর মাশুল দিতে হবে। আমরা সাধারন জনগণ যেই পর্যন্ত আমাদের ক্ষমতা উপলব্ধি করতে না পারব শাসক গোষ্টী সেই পর্যন্ত নিজেদের অসীম ক্ষমতার অধিকারী ভাবতে থাকবে। বাংলাদেশ খুব ছোট্ট একটি দেশ তার উপর এই দেশে ৯৫% মুসলমানের পাশাপাশি হিন্দু, বুদ্ধ, খ্রীষ্টান, উপজাতিরা যেমন বাস করেন তেমনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী, জিয়াউর রমানের আদর্শের অনুসারী, এইচ এম এরশাদের আদর্শের অনুসারী, বাম-রাজনীতির অনুসারী, হেফাজত, চরমোনাই, দেওয়ানবাগী, শিয়াসম্প্রদায়, কাদিয়ানী, জামাতী-ইসলাম, আরো অসংখ্য ভিন্ন মতালম্ভী মতবাদের লোকজন বসবাস করে। এখন একটি মতবাদে বিশ্বাসী কোন রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতার আসে তখন সেই দলটি সমস্ত দেশের, সমস্ত ছোট-বড় সম্প্রদায়ের, সমস্ত মতালম্ভীদের সরকার হয়ে যায়। যিনি তখন প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি এই সমস্ত মানুষের প্রধানমন্ত্রী। ভোটের আগে তিনি এই সমস্ত মানুষের দোয়া কামনা করেছেন, সবাইকে ওয়াদা করেছেন, কিন্তু নির্বাচিত হয়ে যাবার পর-পর তিনি এমনভাবে কথা বলতে শুরু করেন, এমন আচরন করতে থাকেন মনে হয় যেন তিনি শুধু তার দলেরই প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন মতবাদকে তিনি তখন সয্যই করতে পারেন না, তিনি ভুলে যান এই ভিন্ন মতবাদ পূষনকারী লোকগূলো তার দেশেরই জনগণ। ভিন্ন মতামত কে সয্য করে নেয়ার মানসিকতা, বিরূধী রাজনৈতিক দলের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ, ক্ষ্মতায় থেকে সেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী মনে করার মানসিকতা, সর্বোপরি উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করে পুনরায় ক্ষ্মমতায় আসার মানুসিকতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ বা উন্নতি সাধন হবে না।
©somewhere in net ltd.