নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে পাখি আকাশে ওরে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

আরিয়ানা

আমি লেখক নই, গ্রাফিক ডিজাইনার। লেখালেখির হাত কখনই ছিল না। ১৩/১৪ বছর বয়সে একবার বিচিত্রায় লিখেছিলাম বিচিত্রার প্রতি আমার ভালবাসা নিয়ে। লজ্জায় কাওকে বলা হয়নি। তবে নিজের লেখা নিজেই লুকিয়ে বহুবার পড়ে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম হা হা..............! তারপর আর লেখা হয়নি কোনদিন। এবার দেশে এসে গুটিপোকাগুলোর সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে এই বাংলা ব্লগটাকে জানলাম। বেশ মজা লাগলো। তাই ভাবলাম ছুটির কটা দিন এখানে সবার সাথে আড্ডা দিয়ে যাই। ফিরে গেলে জানি এ আড্ডাটা খুব মিস করব।

আরিয়ানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাল মাটির দেশে কালো মাটির মানুষ-খাঁচার পাখি/বনের প্রানী

০৩ রা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০

ঘুম ভাঙ্গল ভোড় ৩ টায়। আমার ব্রিসবেনের সময় তখন সকাল ১১ টা। জাম্বিয়া ব্রিসবেন থকে ৮ ঘন্টা পেছনের পৃথিবীতে। ঘুম ভেঙ্গেই মনে হলো আমার চেনা জানা মানুষ গুলোর কাছে আমি কেমন অতীত হয়ে গেলাম :(! আমি এখন সবার অতীতে!!:((:((



ক্লিফ কাজে যায় সকাল ৪ টায়। আমি উঠেই ফিল করলাম বাবা ভয়াবহ ঠান্ডা এখানে। ঠান্ডায় হাড় মাংস মজ্জা সব কাপাকাপি শুরু করে দিয়েছে। মোটা কুইল্টের নিচে থেকেও ঠান্ডা যাচ্ছে না, ক্লিফ বলেছিল তেমন একটা ঠান্ডা না তাই আমি তেমন শীতের কাপড়ও আনি নাই :(। এখন নিজের চুল নিজেরই ছিড়তে ইচ্ছে করল গরম কাপড় না আনার জন্য X((



ক্লিফ বলেছে আজ সকাল ৬ টায় সে আমাকে শহরে নিয়ে যাবে বাসার জন্য খাবার কিনতে। বাড়িতে কোন খাবার নেই রান্না করবার মতন। আমি ঠান্ডার সাথে যুদ্ধ করতে করতে উঠলাম। গরম কাপড় যা ছিল সব গায়ে চড়িয়ে ভাবলাম ক্লিফ আমাকে নিতে আসার আগে বাইরে একটু হেটে আসি কারন তখন মাত্র ভোড় ৫ টা বাজে। বাইরে যেতে গিয়ে দেখি আমি বাড়িতে তালা বন্ধ!!! :|:| ক্লিফ আমাকে বাড়িতে তালা দিয়ে রেখে চলে গেছে। ওকে এস এম এস করতেই সে জানালো যে তার কাছে ডুপ্লিকেট চাবি ছিল না.....আর এখানে বাড়ির দরজা খুলে রাখা সেইফ না, এক লোকাল নাকি কোন এক এক্সপ্যাট কে বাড়ির ভিতর এসে খুন করে রেখে গেছিল কিছু দিন আগে, চুড়িও হয় এখানে....তাছারা সাপ খোপও ঢুকে পরতে পারে বাড়িতে যে কোন সময়..... তাই সে আমাকে তালা মেরে রেখে চলে গেছে....আজ একটা ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে আসবে বাড়ি ফেরার সময়।





নিজেকে এক খাঁচায় বন্দি পাখি বলে মনে হলো.......চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম এই বাসাটা একটা ছোটখাট খাঁচারই মতন, পার্থক্য এই যে আমার মত বড় পাখির জন্য একটা বড় খাঁচা।





বাড়ির জানালা দরজায় ডাবল, ট্রিপল প্রোটেকশন দেয়া। দরজা স্টিলের তৈরি তার উপরে আছে ঘন তারের জাল আর তার সাথে ঘন নেট। জানালাতেও সেই একই ব্যবস্থা, গ্লাস তার পরে জাল আর নেট। ব্যলকনিতে গ্লাস, গ্রিল, জাল, নেট আর তার সাথে বাইরে ঝোলানো প্লস্টিকের ব্লাইন্ড। আমি পুরা হতভম্ব হব কি ডাবলভম্ব হয়ে গেলাম :-*:| !!









খাঁচার ভেতর পাখি যেমন উড়ুৎ ফুরুৎ করে এদিক সেদিক উরাল দিয়ে খাঁচার শিকের ফাক ফোকোরের সাথে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে শিকের ফাক গুলো দিয়ে বাইরের পৃথিবীটা কে যতটা পারে দেখবার চেষ্টা করে আমিও তেমন বাসাটার এদিক থেকে সেদিকে ধাক্কা খেতে খেতে বাইরের পৃথিবীটা কে দেখবার চেষ্টা করছিলাম।





বাইরে যেদিকে তাকাই শুধু বিরান ভূমি, লাল মাটি, পোড়া ঘাস আর জঙ্গল, নীল আকাশের গায়ে হয় মরা গাছ নয়ত সবুজ গাছের মাথা ঝুলো ঝুলি করছে।









লাল ধুলায় মাখামাখি হয়ে ছরিয়ে ছিটিয়ে দু একটা টিনের ঘড় আশে পাশে। বুঝলাম আমাদের ঘরটাও বাইরে থেকে তেমনই দেখতে।



মানুষ জনের কোন চিহ্ন নেই কোথাও.....সাদা, কালো রঙিন কেউ কোথাও নেই :( মনে মনে ভাবি হায়রে বাবা এ কোথায় এলাম........। "সুখে থাকতে ভুতে কিলায়" কথাটা নিজেই নিজেকে বললাম আবারও :-/। রাগে দুঃখে টিভি ছেড়ে আং মাং বাং ভাষায় আফ্রিকান প্রোগ্রাম দেখা শুরু করলাম আর কি।



ক্লিফ আমাকে নিতে এল সকাল ৭.৩০শে। বাইরে বের হতেই ঠান্ডা বাতাসের আরেকটা ধাক্কা খেলাম। আমার পরনে সয়েটার, ওভারকোট, মাফলার, টুপি, হাত মোজা....এত সব পরেও আমি ঠান্ডায় হু হু করে কাঁপছি। যাই হোক আমরা রওনা দিলাম শহরের দিকে।



শহর!! শহর মানে লুম্মুয়ানা মাইন সাইড থেকে ৯০কিমি এর মত দুরে টাউন "সোলওয়াজি"। দেড় ঘন্টার মত লাগে পৌছাতে। লুম্মুয়ানা মাইনের গেটে পৌছাতে লাগে ২০ মিনিট। গেটেও আবার মহা পাহারা। ব্রেদ টেস্ট, লাইসেন্স টেস্ট থেকে শুরু করে গাড়ির নাম্বার পর্যন্ত সব কিছুই রেকর্ড করা থাকে। আর মাইনের গাড়ি গুলো শুধু যাদের মাইনে কাজ কররার পারমিট আছে তারই চালাতে পারে। মাইনের ভেতরেও শুধু তারাই ঢুকতে পারে যাদের নাম রেজিস্ট্রেশন করা আছে....। যেমন আমি ঢোকার সময় শুধু আমার নয় আমার ল্যাপটপ, ক্যামেরা আর Iphone কেও রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে ;)





আজ পথে যেতে যেতে আশে পাশের ছোট ছোট গ্রাম গুলো চোখে পরল ভাল করে। আমাদের দেশের গ্রাম গুলোর চাইতে অন্যরকম কিছু নয়। তবে পার্থক্য একটাই আমাদের গ্রাম গুলো একসাথে অনেক গুলো ঘর নিয়ে একটা ছোট্ট গ্রাম হয়।













এখানে কিছু দুরে দুরে ঝোপ আর জঙ্গলের ভেতর পথের দুপাশে ছেরা ছেরা ৩/৪ টা পরিবার আর ঘর নিয়ে ছোট ছোট গ্রামের মত।



একেকটা ছোট্ট এরিয়ায় হয়ত একটা কুয়ো আছে পানির জন্য বা কখনও দু'তিনটে ছেরা গ্রামের জন্য একটা কুয়ো। সবাই হাইওয়ের পাশ দিয়ে হেটে হেটে অন্য গ্রামে যায় মাথায় করে পানি আনতে।



















জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেটে শর্টকাটে মানুষজন হাটে না বিষক্ত সাপ খোপ আর পোকা মাকড়ের ভয়ে। মশাও একটা ব্যপার এখানে। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়ায় মানুষ এখানে প্রতিনয়ত ভুগছে আর তার সাথে যক্ষা'র খুব দাপট।

এই দু'টো অসুখে এখানেকার মানুষেরা হরহামেশাই ভোগে, যেমন আমরা সর্দি কাশিতে ভুগি....যেন কোন ব্যপারই না।





হাইওয়ের দু'পাশে দেখলাম মানুষের বাড়ির সামনে ছোট ছোট মাচা মত করে নিজেদের বাগানের সব্জি বিক্রি করে।











মজার ব্যপার হলো এরা যা'ই বিক্রি করুক না কেন তা টমেটো হোক আর মিষ্টি কুমড়া হোক বা মরিচই হোক না কেন, তা চমৎকার করে ডিসপ্লে করে রাখে। বুঝলাম এখানকার মানুষ টমেটো বেশি খায়। রাস্তার দুপাশেই শুধু টমেটো বেচতে দেখলাম না, যেখানেই যাই এই টমেটো বাবাজি আছেন। আর দেখলাম চারকোল বিক্রি করছে রাস্তার পাশে- বার্বিকিউ এর জন্য। এরা জঙ্গলের গাছ পুড়িয়ে চারকোল বানায় আর টমেটোর মতো এই জিনিসও সর্বত্র পাওয়া যায়।



আরেকটা জিনিস খুব চোখে পরে তা হলো প্রতি ৮/১০কিমি পর পর একটা করে স্কুল, আর স্কুল গুলোর আগে রাস্তায় ৬ টা করে স্পিড ব্রেকার। এই মানুষ গুলোর আমাদের দেশের গ্রামের মানুষদের চাইতেও অবস্থা খারাপ। বাড়ি ঘড়ের অবস্থাও আমাদের দেশের গ্রাম গুলোর চাইতে অনেক করুন দশা, তবু এরা প্রায় প্রতি ৮/১০কিমি পর পর একটা করে স্কুল পেয়েছে। এদের গ্রামের মানুষ গুলোও বেশির ভাগই তাদের নিজেদের ভাষার পাশাপাশি ইংলিশ বোঝে ও বলতে পারে। তাদের নিজেদের ছোট শহরেই প্রায় ৫/৬ রকমের ভাষাভাষি মানুষ বাস করে আর এই ভাষা গুলোর অনেক গুলোই সাবাই জানেনা। তাই এরা নিজেদের সাথে নিজেরা কথা বলার জন্য ইংলিশের আশ্রয় নেয়। সব পরিবারের শিশুরাই স্কুলে যায়।



হাইওয়ের দুপাশ দিয়ে স্টুডেন্টদের হেটে যেতে দেখা যায় সব সময়। ভাবলাম আমাদের দেশের মানুষ গুলোর কেন এই মানষিকতা বা শিক্ষা নেই। কারনটা আমি নিজেও ভাল জানি না তবে যারা এত কষ্ট করে জীবন চালায় এখানে, তারা শিক্ষিত হবার জন্য এত সুযোগ পায়, আর আমাদের দেশের মানুষদের এখানকার মতন পানির অভাব নেই, আমাদের গ্রাম গুলোর অবস্থাও এত খারাপ নয়, তবু আমাদের দেশের গ্রাম তো দুরের কথা মফস্বল শহরের মানুষজনের ক'জন ইংরেজিতে কথা বলে বা ক'টা স্কুল আছে প্রতি ১০ মাইলে? আমি বলছি না ইংরেজি জানলেই শিক্ষিত হয় তবে এদের চাইতে আবস্থা ভাল হওয়া সত্তেও কতটা সুযোগ লেখাপড়ার জন্য আমদের দেশের মানুষরা পাচ্ছে বা যেটুকু পাচ্ছে তা কতটা ব্যবহার করছে ঠিক ভাবে?



অবশেষে সোলওয়াজি শহরে পৌছালাম আমরা। শহর বলতে দেখতে আমাদের গ্রামদেশে গঞ্জ যাকে বলে তেমন কিছু একটা দেখায়। মানে সোজা কথায় অজপাঁড়া গাঁ থেকে আমরা গঞ্জে গেলাম। যেহেতু ওখানে প্রচুর মাইন আর সেখানে সাদা চামড়ার এক্সপ্যাটরা ফ্যামিলি নিয়ে থাকে তাই একখানা ইন্টারন্যশনাল লেভেলের না হলেও মোটামুটি চলার মত সেই লেভেলের সুপার মার্কেট আছে একটা।



ক্লিফ আমাকে তাড়া দিল কারন সেদিন সোমবার, কাজের দিন....আমাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে সে কাজে যাবে। কোন মতে কিছু রান্নার জন্য সব্জি আর মাংস কিনে ফিরতি পথ ধরি। ছবি তোলা বা চারিদিকে ঘুরে আর কিছু দেখা হলো না। তবু গাড়ি থেকে একটা দুটো লোকাল মানুষদের ছবি তুললাম।









ফেরত পথে কয়েকটা গ্রামের বাজার দেখলাম। আবারো সেই টমেটো আর নানান জাতের সব্জি বিক্রি হচ্ছে সেখানে।







সেদিন আর নামার সময় হলো না ঠিক করলাম পরের বার ঠিক নেমে দেখব কি বিক্রি করে ওরা।









একটা জিনিস খেয়াল করলাম যে ওখানে ৭০% মেয়েরা মাথায় উইগ পরে। নানান রকমের স্টাইল করা উইগ। নিজেদের চুল ওরা একদম পছন্দ করে না। অথচ আমার কাছে ওদের ঐ কোকড়া চুল কিযে ভাল লাগে। যাদের সামর্থ আছে তারা সবাই উইগ পরে আর যাদের উইগ কেনার সামর্থ নেই তারা তাদের চুল ব্রেইডিং করে রাখে। তবে উইগও খুব সস্তা ওখানে তাই গ্রামে, গঞ্জে, শহরে সবা মেয়েরাই উইগ পরতে বেশি পছন্দ করে। আর নাহলে মাথায় স্কার্ফ বেধে রাখে।







যাদের ছোট বাচ্চা আছে, বাচ্চাটাকে পিঠের উপর বেধে মা'রা সুন্দর কাজ করে বেরাচ্ছে আর বাচ্চাটা টুকটুক করে চারদিকে চেয়ে চেয়ে দেখছে কোন কান্না কাটি নেই, ঝামেলা নেই।











শুধু খিদেপেলে আওয়াজ দেয়। বেশির ভাগ মা'ই বাচ্চাদের ব্রেস্টফিড করায়। যেখানে সেখানে বসে বাচ্চাকে খাওয়ানো শুরু করে দেয় আরকি ;)





বাড়ি ফেরার মুখে ক্লিফ ইন্টারনেটের দোকান থেকে নেট কানেকশন কিনে দিল আমাকে।





সেখান থেকে ফেরার পথে মাইনের জুনিয়র অফিসারদের একোমোডেশন দেখলাম,



সিনিয়র সিঙ্গল অফিসারদের একোমোডেশন



দেখলাম সিনিয়র সিঙ্গল অফিসারদের একোমোডেশন, যেখানে ক্লিফ আমি আসার আগে থাকত। আর আমাদের একোমোডেশন হলো ম্যারেড অফিসার একোমোডেশন। যারা এখানে বছরের পর বছর পার্মানেন্ট ভাবে থাকেন তারা তাদের বাড়ির সামনে পেছনে চমৎকার বাগান বানিয়ে নিয়েছেন।



এখানে ম্যারেড অফিসাররা রাজার হালে থাকেন। তাদের ফ্রি মেইড, গার্ডেনার সব আছে।

সব কালোরা এখানে সাদাদের বাড়িতে কাজ করে মেইড আর গার্ডেনার হয়ে। বাড়ি ফিরে ক্লিফ আমাকে রেখে চলে গেল। বলল কাল থেকে এক মেয়ে আসবে আমাকে ঘরের কাজ করে দেবার জন্য, মানে মেইড। আমি নিজের কাজ নিজে করতেই বেশি অভ্যস্ত আমার দীর্ঘ প্রবাস জীবনের জন্য। মেইড দিয়ে কাজ করানোতে আমি বরং আজকাল অস্বস্তি বোধ করি। নিজেকে কেমন শাসক শাসক লাগে, ভাল লাগেনা। ক্লিফকে বলায় সে বলল আমার একা থাকতে খারাপ লাগতে পারে তাই এই মেইড বাড়িতে থাকলে আমার একা একা মনে হবে না, তো আমি আর কিছু বললাম না, মনে মনে ভাবলাম দেখি কি হয়। নতুন জগতের একজন মানুষকে তো জানা যাবে অন্তত। আমি যখন বাড়ি ফিরলাম তখন আমার শরীরের ঘরিতে রাত ১১টা বাজে। ওখানে দুপুর ৩ টে মানে আমার ব্রিসবেনের সময় রাত ১১টা। ঘুমে আমার অবস্থা কাহিল। সব ফেলে দিলাম ঘুম। ক্লিফ কাজ থেকে ফিরে এসে বললো আমি যেন কখনও কোন দরজা বা জানালা না খুলে রাখি কারন যেকোন সময় শুধু চোর ডাকাত নয় সাপ, পোকা মাকড় বা মশা মাছিও ঢুকে যাবে বাড়িতে। বাইরে বের হলেও যেন ফুলস্লিভ কাপড় পরে হাত/পা ঢেকে বের হই কারন মশা দিনের বেলাতেও কামড়ে দিতে পারে আর তাতে ম্যলেরিয়া হতে পারে যেকোন সময়। আমি বাড়ির পেছনের জঙ্গলে হাটতে যাবার কথা বলতেই না না করে উঠল বলল সেখানে তো যাওয়া যাবেই না সাপে কেটে আমার পটল তুলিয়ে দেবে। ভাবি এতো ঝামেলা করে কেমন করে বাচে মানুষ এই খাঁচার ভেতর নিজেকে বন্দি করে?



সেদিন আর আমার কিছু করা হলো না দেখাও হলো না। পরের দিন একই অবস্থা ভোর বেলা ঘুম ভাঙ্গে। ভাবলাম আজ হাটতে যাবো। সকাল ৭ টায় বের হয়ে হাটতে হাটতে চলে গেলাম যেখানে মাইনের বড় বড় ডাইরেক্টদের একোমোডেশন সেখানে।



চমৎকার করে বাগান বানিয়ে সাজানো বাড়িগুলো। বাগানে কালো গার্ডেনারদের কাজ করতে দেখলাম। মেইডরা কাপর ধুয়ে পেছনের বাগানে শুকোতে মেলে দিচ্ছে......। ঠিক ছবিতে দেখা জীবন এখানে। অলমোস্ট যখন ৫কিমি হেটে ফেলেছি তখন দুটি মেয়েকে মর্নিং ওয়াক করতে আমার দিকেই এগিয়ে আসতে দেখলাম। ওরা আমাকে দেখে এগিয়ে এসে কথা বলল। ক্যাথরিন আর রবিন।

চমৎকার দু'জন মেয়ে। ওরা এখানে কয়েক বছর ধরে আছে। দু'জনেই ব্রিসবেনের মেয়ে। ওরা আমাকে ওদের সাথে হাটতে নিয়ে গেল। বলা শুরু করল এখানকার জীবন যাপনের গল্প। দু'জনেই এই লুম্মিয়ানা কে খুব ভালবেসে ফেলেছে। এখানে থাকতেই ওদের এখন বেশি ভাল লাগে।



আমাকে ওরা আমাদের বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতরের হাটার ট্র‌্যাকে নিয়ে গেল। সেখান থেকে আমরা গেলাম এক লেকের পাশে হাটা পথে। জঙ্গলের ভেতর চোখে পরল কিছু বিশাল আকারের হর্নবিল। প্রেম করে বেরাচ্ছে এক জোরা হর্নবিল দম্পতি সেখানে বিশাল ডানা ঝাপটিয়ে। আফ্রিকায় আমার প্রথম জঙ্গলি প্রানি দেখা!



হাটতে হাটতে চোখে পরল বন্য জন্তুর পায়ের ছাপ। প্রায় ছোট খাট একটা বাঘের থাবার মতন থাবা, কিছু পিপড়ার মাটি খোড়ার চিহ্ন তার সাথে ছোট ছোট আরো কিছু প্রানির পায়ের ছাপ।



ছোট ছাপ গুলো দেখে বানরের পায়ের ছাপের মতন মনে হলো আর বড় গুলো ৪ ইঞ্চি মত লম্বা থাবা- জানিনা কিসের তা, বাঘের নাকি অন্যকিছু। আমরা তিনজনই খুব উত্তেজিত হয়ে পরলাম সেই থাবার চিহ্ন দেখে। নিশ্চই এরা লেকটাতে পানি খেতে এসেছিল এখানে। আহা যদি সত্যি দেখতে পেতাম একটু! আবার ভয় ভয়ও করতে থাকল একটু একটু, আমাদের কাছে তো একটা লাঠিও নেই যে জন্তু এলে তাড়া করব। কি আর করা কোনো জন্তুর দেখা না পেয়ে আমরা বাড়ির পথ ধরলাম। প্রায় ১০ কিমি হেটে বাড়ি পৌছালাম সেদিন। কথা হলো পরের দিন আবার একসাথে হাটতে যাবো। এভাবেই বন্ধুত্ব হলো ক্যাথরিন আর রবিন এর সাথে........। আমার প্রথম বন্ধু এই বিরান ভূমিত........।





বাড়ি ফিরতেই মেইড মেয়েটা এল। নাম তার নেটি। তেল তেলে কালো মুখ, চকচকে সাদা চোখ, মাথার চুল লাল স্কার্ফে ঢাকা চমৎকার শান্ত আর মিষ্টি চেহারার এক মহিলা সে। আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে পরলাম ওকে কাজ দেখিয়ে দিতে। অনেক বছর কাউকে দিয়ে কাজ করাই নাই তাই কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছিল কাজের কথা বলতে। নেটি কে তার বাড়ির কথা জিঙ্গেস করলাম। কে আছে তার বাড়িতে.....এই সব আরকি। বাড়িতে তার চার ছেলে মেয়ে। সবাই স্কুলে যায় ছোট ছেলেটা ছারা, ছোট তার স্কুলে যাবার বয়স হয়নাই এখনও। স্বামী তার বাড়িতেই থাকে কাজ করে না। নেটি এই মাইনের বাড়ি গুলো তে কাজ করে সংসার চালায়। সকাল ৮ টায় আসে আর বিকেল ৪ টায় বাড়ি যায়। তাদের প্রধান খাবার হলো "শিমা" (Nshima)। একধরনের কর্নফ্লাওয়ার।

Nshima or nsima or Bidia is a cornmeal product and a staple food in Zambia, Malawi and the Kasai Oriental and Kasai Occidental provinces of the Democratic Republic of Congo. It is made from ground maize (corn) flour known locally as mealie-meal. Nshima is very similar to ugali or posho of East Africa, sadza of Zimbabwe, pap of South Africa and fufu of West Africa.



শিমা



এই শিমা কে সুজির মতন রান্না করে শাক বা সব্জি অথবা মাছ মাংস বার্বিকউ বা রান্না করে তা দিয়ে খায়। ওটাই ওদের প্রধান খাবার। ওকে বললাম আমাকে একদিন ওদের গ্রামে বেরাতে নিয়ে যেতে। সে বলল নিশ্চই নিয়ে যাবে। বললাম আমাকে ওদের আফ্রিকান নাচ শেখাতে সে শুনে হাসে। সে আমার চুল ছুয়ে দেখে গাল ছুয়ে দেখে ......আমি যেন অন্য গ্রহ থেকে ছিটকে আসা মানুষ ওর কাছে.....।





চলবে......।

মন্তব্য ৯৩ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: খুব ভালো লাগছে পড়তে। :)

ওখানকার মশারা নাকি খুবই মারাত্বক!

আর চোর ডাকাতগুলোও মাশাল্লাহ! ;)

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৯

আরিয়ানা বলেছেন: তাই তো দেখলাম দিদিমনি। কেমন আছ গো তুমি তোমাকে মিস করি বাবা।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:২০

পারভেজ বলেছেন: চলুক

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৫

আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ পারভেজ সাথে থাকবার জন্য! ভাল থাকবেন।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:২৪

মারুফ রাশেদ বলেছেন: চলুক, পরবর্তী কিস্তি কবে?

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৬

আরিয়ানা বলেছেন: ভাইরে এটা লিখে শেষ করতে পারি নাই এখনও :(। আমি ধিরে চলার মানুষ :)। আসবে পরের কিস্তি জলদি :) ভাল থাকবেন।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাম্বিয়ার মাটি ঢাকার মাটির মত লালচে ..

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪০

আরিয়ানা বলেছেন: ঢাকার মাটি তো এটো লাল নয় তাই কি? :) পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন!!

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৮

গাজী খায়রুল হাসান বলেছেন: ছবি গুলো অসম্ভব সুন্দর হইছে আফামনি।

ছবি দেখতে দেখতে লেখা পড়ার কথা ভুইলা গেছি।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪৩

আরিয়ানা বলেছেন: তাইলে আর পড়ার কাজ নাই ;) হা হা হা

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪৫

মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন: আপু ওখানকার মশা কামড় দিলে কেমন লাগে ? ;)

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪৯

আরিয়ানা বলেছেন: হা হা হা এখনও ওখানকার মশার কামড় খাই নাই। খেলে তো ম্যালেরিয়া হয়ে যেত আমার। আমি মশার স্প্রে ইউজ করতাম আমার হাতে পায়ে। তাছারা ফুল স্লিভ কাপর পরতাম। মশা কামরায় আরাম পায় নাই। যে বন্দি খাচায় ছিলাম বাবা কামড়াবে কেমনে ? ;)

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫১

রোজেল০০৭ বলেছেন: ছবিগুলোতে ++

আর লিখা পড়তে ভালো লাগছে।

৫ম ভালো লাগা।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৬

আরিয়ানা বলেছেন: ৫ম ভাল লাগা???? হা হা হা হা আমি এমনি একটা আউলা মানুষ আপনি আমাকে আরো আউলা বানান !

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৮

আরিয়ানা বলেছেন: ১৪ তম ভালো লাগর পর ৫ম কেমনে আসে। আমি আউলা নাকি আপনি আউলা ;)

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৩৮

কালীদাস বলেছেন: ৭.৩০ পর্যন্ত খুব শীত বলছেন, গরমটা পড়া শুরু করে কখন? দুপুরে টেম্পারাচার কেমন থাকে ঐখানে?

গ্রামগুলো অনেকটা টিপিকাল বাংলাদেশের গ্রামগুলোর মতই :)

বাসায় আটকা পড়ার কাহিনী .... =p~

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:৫৮

আরিয়ানা বলেছেন: তাই তো সেটা লেখা হয়নি ভুলে :(। সকাল ১০ টা ঠেকে বেশ গরম পরা শুরু করে ওখানে। সারাদিন গরম থাকে সধ্যায় ৫ টার দিকে আবার ঠান্ডা পরা শুরু করে।

ভাল লাগল পড়ছেন দেখে :) ধন্যবাদ

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫২

সায়েম মুন বলেছেন: আপনার বর্ননা আর ছবিতে দেখা হলো একটা অজানা আফ্রিকান জায়গা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:৫৮

আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম পড়ার জন্য। কেমন আছেন?

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এত দ্রুত ২য় পর্ব পাব তা ভাবিনি। যথারীতি প্রাঞ্জল.........

পশ্চিমা উন্নত জীবন নয়, আফ্রিকান নিস্তরঙ্গ জীবনই আমাকে সবসময় টানে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:৫৯

আরিয়ানা বলেছেন: এক্সাইটমেন্ট থাকতে থাকতে না লিখলে আমি আবার ব্যস্ত হয়ে পরলে আর লেখা হবে না তাই শেষ করার চেষ্টা করছিলাম ;)

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৩

হাসান৭৭৭ বলেছেন: ভাল লিখেছেন । পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল জাম্বিয়া যেন আমার চোখের সামনে । প্লাস ।


পরের কিস্তির অপেক্ষায় ......।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০০

আরিয়ানা বলেছেন: জেনে ভাল লাগল যে আমার চোখে আপনি আফ্রিকা দেখতে পাচ্ছেন। পরেরটা জলদি লেখার চেষ্টা নিশ্চই করব :) ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০০

আরিয়ানা বলেছেন: জেনে ভাল লাগল যে আমার চোখে আপনি আফ্রিকা দেখতে পাচ্ছেন। পরেরটা জলদি লেখার চেষ্টা নিশ্চই করব :) ভাল থাকবেন।

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ২:৩৯

মো: আবু জাফর বলেছেন: দারুন হইছে । আসেন আপা রাজশাহীর আম খান



সময় পাইলে আমার সাইট ভিজিট করবেনhttp://www.bdagromarket.com/ । কারন আমি আমার সাইটের মাধ্যমে আমার নিজ গ্রমের পন্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরেতে উচ্ছুক । তাই আপনাদের কিছু পরামর্শ আবশ্যক ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০১

আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ জাফর আমের জন্য। আমার আম খুবই প্রিয় একটা ফল। নিশ্চই যাব আপনার ব্লগে আর সাইটে :) ভাল থাকবেন।

১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ৩:০৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ++++

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০২

আরিয়ানা বলেছেন: তন্ময় প্লাসের জন্য ধন্যবাদ কেমন আছেন?

১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৫২

ইচ্ছে বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পরলাম ("লম্বা যাত্রা" এখনও পড়ি নাই, এইটা আগে পড়ে ফেলল্লাম।)

আমার তো এখনি দম বন্ধ হয়ে আসছে, ব্রিসবেনের এত সুন্দর জায়গা থেকে একেবারে আফ্রিকান সাফারী, আমি হলে ২ দিনেই অস্থির হয়ে যেতাম।

আগে যখন বলেছিলেন আফ্রিকা যাচ্ছেন তখন মনে করেছিলাম আরেকটু প্রান প্রাচুর্যে ভরা (মানে আমাজান টাইপ আরকি) কোন জায়গায় যাবেন হয়ত। যাই হোক, ছবি আর লেখা বরাবরের মতই ভাল লাগলো (এই রুক্ষ লালমাটি কে ছাপিয়ে)।

একটা ছোট্ট প্রশ্ন, ক্লিফের কাজ কি মাইনিং রিলেটেড নাকি আডমিন রিলেটেড?

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০৫

আরিয়ানা বলেছেন: কেমন আছেন ইচ্ছে? আপনাকে অনদিন পর আমার পোস্টে দেখে আমারও ভাল লাগছে। আসলে আমি গেছি খুবই রুরাল এরিয়াতে তার উপর ক্লিফের কাজ দিনের সময়। মাইনের বাইরে একা যাওয়ার সুযোগ পাই নাই তাই যতটা এডভ্যাঞ্চারাস হবার কথা ছিল ততটা হয়নি তবে নতুন এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে খুব খারাপও নয়। :) তাছারা আমি ওখানে নতুন কাউকে চিনিও না তবে নেক্সট টাইম যখন যাবো অবস্থা নিশ্চই বেটার হবে বলে আশা করছি।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০৭

আরিয়ানা বলেছেন: ক্লিফ হিটাচি তে আছে প্রোডাক্ট সাপোর্ট ম্যানেজার পোস্টে। সে ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ার। হিটাচি মাইনিং ট্রাক সাপ্লাই দেয় মাইন ওনারদের।

১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৩৬

সায়েম মুন বলেছেন: ভাল আছি আরিয়ানা। আশা করি আপনিও ভাল আছেন। ভাল থাকুন নিরন্তর। ক্রিয়েটিভিটি আসুক নিত্যনতুন রূপে। :)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৩১

আরিয়ানা বলেছেন: :) অনেক ধন্যবাদ

১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

আবু সালেহ বলেছেন: চলুক তবে...লেখার মাঝেই না হয় ঘুরে আসলাম.......

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৮

আরিয়ানা বলেছেন: চলুক :)

১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৪১

সবুজ মহান বলেছেন: আপনাকে অনুসরণ করছি
দারুন লিখেছেন
সময় হলে sabujmohiminul.wordpress.com থেকে ঘুরে আসবেন

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:০০

আরিয়ানা বলেছেন: অনুসারিত জেনে ভাল লাগছে :) ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২২

আরিয়ানা বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার সাইট টা :)

১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১৮

কেএসরথি বলেছেন: অনেক ডিটেইলড লেখা। থ্যাংকস।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২১

আরিয়ানা বলেছেন: উমম তাই ? বোরিং নয় তো?

১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৫

হিড্‌ন্‌ ম্যান বলেছেন: সত্যি চমৎকার!

ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

আরিয়ানা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য। :) ভাল থাকবেন

২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

মুখ ও মুখোশ বলেছেন:


অসাধারন বর্ননা.................মাঝে মাঝে ছবির সাথে বর্ননা অতি বাস্তব করে তুলেছে।

বিদেশে থেকে দেশকে না ভুলার জন্য ভাল লাগল আরিয়ানা, তবে চাই অনেক অনেক ভালবাসা।

ভাল থেকো আরিয়ানা নিরন্তর।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬

আরিয়ানা বলেছেন: কেমন আছেন? অনেকদিন পর আমার ঘরে আপনাকে দেখলাম, ভাল লাগছে।

ভালবাসার কোথাও কমতি নেই কোন, তবে জানেন তো ভালবাসলে কষ্ট পেতে হয়....বেশি ভালবাসা...বেশি কষ্ট তা যে ভালবাসাই হোক। খুব কষ্ট পেয়ে চলে এসেছি তবু ভালবাসাটা বন্ধ করতে পারলাম না। তাই প্রতিবার ফিরে আসবার সময় আরো বেশি
কষ্ট হয়..........

ভাল থাকবেন আপনিও কিন্তু :)

২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোঃ কবির হোসেন বলেছেন: ভাই আপনার লেখা কখনো পড়িনি আগে। ব্রিজবেনের নিখুঁৎ দৃশ্য, ওদের কালচার, আর অজানা আরো কত কি পড়লাম সত্যিই অদ্ভূত ভালো লাগলো। ভালো থাকেন, ধন্যবাদ।

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৪৮

আরিয়ানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো জেনে আপনার ভাল লাগছে পড়তে, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমি থাকি ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু এখানে লিখেছি আফ্রিকার জাম্বিয়াকে নিয়ে।

ভাল থাকবেন।

২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৩

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: আপু বরাবরের মতই ভালো পাইলাম.... আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দাও।

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৫০

আরিয়ানা বলেছেন: এই দু'ই দুইটা পোস্ট দিলাম দুইদিনে আমার মতন আলসে হয়েও তারপরেও তুই আমাকে চাপাচাপি করিস কেনু??? তোর চাপা চাপিতে তো লেখা শুরু করলাম বাবা।

সমুদ্রস্নান কেমন হলো ;)?? সরি আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম তোর মেসেজ দেখিনাই পরে।

২৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরিয়ানা,
আপনার প্রোফাইলে দেখলুম আপনি গ্রাফিক ডিজাইনার । লেখক ( বা লেখিকা , দু'টোই কারেক্ট ) নন ।
কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনি খুব কুশলী এক "লেখা ডিজাইনার"? রসে , গন্ধে ভরা টগবগে এক জন , যা আপনার লেখা আর তার ভেতরের অলঙ্কারে চুঁইয়ে চুঁইয়ে আপনাকেই জানান দিয়ে যায় ?

এই পোষ্টটি সুন্দর ছবিতে সমৃদ্ধ তবু্ও যেন ছবিতেই অনেক কথা বলে ফেলেছেন অনেক কথা না বলেও । সম্ভবত আপনার তোলা । প্রশংশনীয় ।

০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০৫

আরিয়ানা বলেছেন: চমৎকার আপনার মন্তব্য। এক কথায় মনে হলো - You made me feel special. ধন্যবাদ চমৎকার করে কমপ্লিমেন্ট দেবার জন্য।

ছবি গুলো আমারই তোলা, তবে প্রায় সবই গাড়ি তে বসে হাই স্পিডে চলার সময় তুলেছি বলে গাড়ির কাঁচের কারনে ঘোলা আর আবছা এসেছে। আফ্রিকানরা কেউ ওদের ছবি তুললে ওরা খুবই বিরক্ত হয়, অনেক সময় গালা গালি করে বা তেরে আসে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেবার জন্য। আমাকে অনেক লুকিয়ে চুরিয়ে ছবি তুলতে হলো ওখানে।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১১

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমার লেখা পড়তে বরাবরই খুব ইন্টারেস্টিং লাগে!

এখন তো ফিরে এসছো, নাকি এখনও ওখানেই আছো?

০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

আরিয়ানা বলেছেন: উম ফিরে এসেছি বলেই নেট পেয়েছি তা লিখছি। কেমন আছ রেজু?

২৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫২

ণৃ বলেছেন: আপু তুমি কইলাম খুব বিরক্ত করতেছো................!!!!
পড়তে পড়তে যখনই আফ্রিকাতে প্রায় চইলাই গেছিলাম - তখনি দেখি "চলবে"।

ক্যামুন মেজাজ বিলা লাগে বল??? X( X(

তারাতারি লেখা শেষ কর। আর বেশি কইরা ছবি দাও।



























সব তো নেগিটিভ বললাম..............আসল কথা হইল লেখা সেইরকম ভাল হইছে। আর আমি সেইরকম হিংসিত। আমি ক্যান যাইতে পারলাম না। :P :P :P

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭

আরিয়ানা বলেছেন: হা হা হা হিংসা করলে ডাবল কান টানা হবে ;)। পোস্ট লেখা অনেক একটা কঠিন কাজ আমার মত আলসে মেয়ের ;) তবু লিখব পরের গুলো প্রমিজ :)

২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

মুখ ও মুখোশ বলেছেন:

অনেক ঝুট-ঝামেলায় দিনকাল যাচ্ছে.................সময় পাই না সময় নষ্ট করার!

সব সম্ভবের দেশে বাস করিতো!! এখানে মানুষ মানুষের জন্যে নয়, আপন স্বার্থে মশগুল সবাই। তারপরও ভালবাসি এদেশকে, আমার বাংলাদেশকে।

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮

আরিয়ানা বলেছেন: কম বেশি সেই ব্যপার গুলো হয়ত সব জায়গাতেই আছে। তবু আমরা আমাদের দেশ কে ভালবাসি এন্ড অফ দ্যা ডে :)

ভাল থাকুন।

২৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: সবার ছবি দেখলাম রে ভাই- কিন্তু হতভাগা ক্লিফ এর ছবি দেখলাম না। এইটা কি ঠিক??????

আপনার লেখার মাঝ দিয়ে আমি সেখান থেকে কল্পনায় ঘুরে আসলাম।
আপনার শেষের দিকে কথাগুলির সাথে একমত।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনার সময় গুলো নির্ভয়ে কাটুক।

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

আরিয়ানা বলেছেন: তনি ছবি তুলতে খুব পছন্দ করেন না তবু পরের পর্ব তে তার ছবি আসবে আশা করছি ;)

আমার শেষ কোন কথাটার সাথে একমত??

২৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০২

ডিসকো বান্দর বলেছেন: বাংলাদেশ হয়ে যেয়েন!

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১

আরিয়ানা বলেছেন: জানেন তো যারা দেশে যেতে বলেন তারা আমি দেশে গেলে হাওয়া হয়ে যান আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না তখন :)

২৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: বেশ ভাল আছি আপু, আলহামদুলিল্লাহ!

তোমারও ভাল থেকো!

আবার যাবে আফ্রিকাতে? তাহলে ওদের মাস্কের কালেকশন নিয়ে কিছু লেইখো....

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২

আরিয়ানা বলেছেন: আবার যেতে হবে তো। নিশ্চই লিখব :) থ্যাক্স পড়ছ বলে :) সোহামনি কেমন আছে?

৩০| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:

পড়তে ভাল্লাগছে। কন্টিনিউ করে যাবো আশা করি...

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩

আরিয়ানা বলেছেন: সত্যি!? নিশ্চই তবে লিখব!

৩১| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩

শিশিরের বিন্দু বলেছেন: এক টানে পড়লাম, একটুও খারাপ লাগে নাই এত বড় লেখা পড়তে। দারুন লিখতে পারেন আপনি। :)

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪

আরিয়ানা বলেছেন: হা হা হা আমি আবার লিখতে পারি নাকি? কথা বলি আপনাদের সাথে মাত্র। তবু অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

৩২| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শায়মা বলেছেন: লেখার শিরোনামটার মতই সুন্দর লেখাটা!

০৫ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১

আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা। কেমন আছ?

৩৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৯

আমিনুর রহমান বলেছেন: অসাধারণ :) আপনার লেখা চলতেই থাকুক ..................।

০৬ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:০২

আরিয়ানা বলেছেন: আচ্ছা থাকুক :) ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য

৩৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৪০

রাতুল_শাহ বলেছেন: গ্রামের লেখাপড়ার ব্যাপারে। এখানে ইংরেজী বললে মানুষ, তাদেরকে পাগল বলে, বলে অল্প শিখে ভাব মারতেছে। তাছাড়া এখানে ইংরেজীর শিক্ষক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ইতিহাসের শিক্ষক পড়ান , ইংরেজী। কেউ একটু হাই হ্যালো পর্যন্ত ইংরেজী বলতে পারলে, বড় চাকুরী করার স্বপ্ন দেখে।

আমি কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার গ্রামের স্কুলগুলোতে গ্রামার বিষয়ক কুইজ নিতে চাইলাম, বন্ধুদের বললাম, সাপোর্ট পেলাম না।
কউকে আগ্রহ করে শিখাতে গেলে ভাবে যে কোন মতলব আছে মনে হয়।
আমাদের দেশের মানুষগুলোই তো খারাপ, আজকে মুখে এক কথা, তো কালকে শুনবো আরেক কথা।

০৬ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:০৩

আরিয়ানা বলেছেন: বলেছেন ঠিকই আমাদের এটিটিউট ঠিক না :(

৩৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:১৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: অ:ট:
ভাইরে আমি আপনার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট, আপনি করে বললে, কেমন জানি বিব্রতকর লাগে। তুই, তুমি করে বলেন।

০৬ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০৯

আরিয়ানা বলেছেন: আচ্ছা রাতুল তাই বলব তোমাকে :)

০৬ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৪৩

আরিয়ানা বলেছেন: মনে হলো এত হাপু গ্রাম্পি মুখের ছবি টাঙ্গিয়ে রাখলে তুমি বা তুই বলতে ভয় লাগে তো ;)

৩৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৪৪

নিমপাতা১২ বলেছেন: পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম আফ্রিকাতে, ,ভাল থাকেন আপনি

০৬ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৩৬

আরিয়ানা বলেছেন: জেনে ভাল লাগল যে হারিয়ে যেতে পেরেছেন।

আপনিও ভাল থাকবেন।

৩৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩০

মো: আবু জাফর বলেছেন: আপনি আমার সাইট ভিজিট করবেন কথা দিয়ে ছিলেন । আপনি ভিজিট করেছেন না করেন নাই কোন কমেন্ট পাই নাই ।



http://www.bdagromarket.com/?s=2&product_id=7

০৮ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১

আরিয়ানা বলেছেন: আমি আপনার সাইটে গিয়েছি।

৩৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

দূর্যোধন বলেছেন: এই রে!এত ছবি!
সব bandwidth বুঝি গেলো ! :(

০৮ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১

আরিয়ানা বলেছেন: :( :( :(

৩৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩৪

এ হেলাল খান বলেছেন: এই পর্বটা মিস করছিলাম। আপনার বর্ননা পড়ে মনে হচ্ছে সব কিছু চোখের সামনে ঘটছে। ভাল লাগল।

০৮ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১

আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ হেলাল সাথে থাকবার জন্য। ভাল থাকবেন :)

৪০| ১০ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫৯

আরমিন বলেছেন: খুবই ভাল লাগছে পড়তে!! ছবিগুলো দারুন হয়েছে ....... আমার তো যেতে ইচ্ছা করছে!! :((

১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

আরিয়ানা বলেছেন: :)

নিশ্চই যাবেন একদিন!

৪১| ১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৪

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ভাল লাগছে পড়তে---মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়লাম। মনে হচ্ছিলো আমি নিজেই ঘুরে বেড়াচ্ছি।

ধন্যবাদ এতো সুন্দর উপস্থাপনার জন্যে।

১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ তিতাস ভাল থাকবেন।

৪২| ১১ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কাউসার রুশো বলেছেন: দারুন!!
++++

১৩ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৩৪

আরিয়ানা বলেছেন: :)

৪৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৭

আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: আমার তো ধারণা ছিল সাউথ আফ্রিকা অনেক উন্নত

১৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৫

আরিয়ানা বলেছেন: আমি সাউথ আফ্রিকা যাই নাই। গিয়েছিলাম জাম্বিয়া। তবে সব আফ্রিকান দেশই কিছুটা অনুন্নত বা গরিব বলা ভাল অন্য দেশের চাইতে

৪৪| ২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২৫

আজনবী বলেছেন: খুব মজা পেলাম, অনেক কিছু জানলাম, দেখলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৫

আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়বার জন্য। :) ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.