![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে প্রতিনিয়ত আমার ব্যবহার সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধে যুদ্ধরত এক সৈনিক
নবীজি (সাঃ) যুদ্ধ থেকে কাফেলা নিয়ে মরুভূমির উপর দিয়ে ফিরছিলেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয় হয়, সেই অবস্থায় আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) এর খেয়াল হলো, তিনি তাঁর সোনার হার হারিয়ে ফেলেছেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কাফেলা থামিয়ে সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন, সোনার হার খোঁজার জন্য। সময় গড়িয়ে চললো, মাগরিবের ওয়াক্ত যায় যায় এই অবস্থা। সাহাবীরা হযরত আবু বকরের সাথে রাগারাগি করতে লাগলেন, তাঁর মেয়ে আয়েশা সোনার হার না হারালে এতক্ষণে পানির কাছে পৌছে ওজু করে নামাজ পড়া যেতো। এখন নবী সহো বাকি সবার মাগরিবের নামাজ ক্বাযা হবে।
আল্লাহ, হযরত জীবরাঈল (আঃ) কে দিয়ে সাহাবীদের নির্দেশ পাঠালেন, হযরত আয়েশাকে কিছু বলা যাবে না। হযরত আয়েশার সম্মানে, তায়াম্মুমের বিধান নাজিল হলো। পৃথিবীর অন্য সব নবী রাসূলদের উম্মতদের মধ্যে একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতরা তায়াম্মুমের সুবিধা পেলো।
এতো গেলো হযরত আয়েশাকে আল্লাহ কী সম্মান দিতেন, তাঁর দৃষ্টান্ত। এবার খানিকটা খাদিজা (রাঃ) এর জীবনের দিকে তাকাই।
মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে, খাদিজা (রাঃ) নবীজিকে ডেকে তাঁর কাছে দুটি জিনিস চাইলেন। মৃত্যুর পরে যাতে তাঁর কাফনের উপর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যবহৃত কাপড় দিকে ঢেকে ফেলা হয় আর কবরে যে ফেরেশতারা সওয়াল জবাব করবেন, সেটার উওর তাঁর পক্ষে নবীজি যেনো দিয়ে দেন।
হযরত খাদিজাকে কবর দেবার পরে নবী (সাঃ) দীর্ঘক্ষণ তাঁর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন। এক পর্যায়ে হযরত জীবরাইল (আঃ) এসে আল্লাহর পক্ষে নবীজিকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন
- আল্লাহ জানতে চেয়েছেন, আপনি কেনো দাঁড়িয়ে আছেন?
- আমি খাদিজার কবরের সওয়ালের উওর দিতে চাই।
- আল্লাহ জানিয়েছেন, আপনি বাসায় যেতে পারেন। খাদিজা (রাঃ) কবরের প্রশ্নের জবাব আল্লাহ স্বয়ং আরশে বসে দিয়ে দিয়েছেন।
এমন সম্মান কোনো পুরুষ মানুষ পেয়েছেন বলে অন্তত আমার জানা নেই।
মহান রাব্বুল আলামিন ইসলামে এভাবেই নারীদের সম্মানিত করেছেন ..সবাইকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা ।
নুরুল চৌধুরী ভাই এর ফেসবুক পেইজ হতে সংগৃহীত ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এমন সম্মান কোনো পুরুষ মানুষ পেয়েছেন বলে অন্তত আমার জানা নেই।
আমাদের নবী একজন পুরুষ।তিনি ছিলেন আল্লাহর হা'বীব।আল্লাহ নবীকে জিজ্ঞেস করে করে তার চাহিদা পূরণ করতেন।আমাদের নবী হযরত মুহা'ম্মদ(সঃ) বলেছেন, হযরত আবুবকর (রাঃ) যা নেকী অর্জন করেছেন সমস্ত পৃথিবীর নেকী যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর আবু বকর(রাঃ) নেকী এক পাল্লায় রাখা হয় তাহলে আবু বকর(রাঃ) নেকীর পাল্লা ভারী হয়ে যাবে মুহূর্তেই।আল্লাহ নারীদের উপর পুরুষেদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এটা আল কোরআনে বলা হয়েছে।তাছাড়া মায়েদের সম্মান তিনগুন আবার কোন কোন হাদীছে চারগুন বলে দেয়া আছে।
যাই হোক এতোগুলো কথা বলার প্রয়োজন ছিলো না।তবে আপনার ধারনার অবসান ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নারী দিবসে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
নাবিউল ওয়েপ বলেছেন: অসাধারন ভাবে ঘটনা গুলো উপস্থাপন করেছেন।