নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The woods are lovely, dark, and deep,But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন

সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে প্রতিনিয়ত আমার ব্যবহার সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধে যুদ্ধরত এক সৈনিক

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের ঘূর্ণন কিংবা এলোমেলো ভাবনা

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:০৬

"এক নবদম্পতি গাড়িতে করে যাচ্ছিল। টঙ্গীর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোজাম্মেল দলবলসহ গাড়ি আটক করে গাড়ির ড্রাইভার ও নববিবাহিত তরুণীর স্বামীকে হত্যা করে। তারপর মেয়েটিকে সবাই মিলে ধর্ষণ করে। মেয়েটির রক্তাক্ত শরীর ৩ দিন পর টঙ্গী ব্রিজের নিচে পাওয়া যায়।....
মেজর নাসেরের হাতে ধরা পরার পর মোজাম্মেল বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি আপনাকে ৩ লাখ টাকা দেব বিষয়টা সরকারী পর্যায়ে নেবেন না স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমি ছাড়া পাব, আপনি পড়বেন বিপদে! আমি তুচ্ছ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে জড়াতে চাই না।
মেজর নাসের বললেন, এটা তুচ্ছ বিষয়?? মোজাম্মেল জবাব দিল না। সে ঊদাস চোখে তাকিয়ে থাকলো।
মেজর নাসের বললেন, আমি অবশ্যই তোমাকে ফাঁসিতে ঝোলাব। তোমার ৩ লাখ তুমি গুহ্যদ্বারে ঢুকিয়ে রাখো। মোজাম্মেল বলল, দেখা যাক।
****
বঙ্গবন্ধু ঘরে ঢোকা মাত্রই মোজাম্মেলের বাবা ও ২ ভাই বঙ্গবন্ধুর পা জড়িয়ে ধরলেন। টঙ্গী আওয়ামী লীগ সভাপতিও পা ধরার চেষ্টা করলেন কিন্তু পা খুঁজে পেলেন না। পা মোজাম্মেলের আত্নীয়স্বজনের দখলে।
বঙ্গবন্ধু বললেন, ঘটনা কি বলো? টঙ্গী আওয়ামী সভাপতি বলল, আমাদের মোজাম্মেলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে মেজর নাসের তাকে ধরেছে। বলেছে, ৩ লাখ টাকা হলে ছেড়ে দেবে।
বঙ্গবন্ধু: মিথ্যা মামলাটা কি??
মোজাম্মেলের বাবা কাঁদতে কাঁদতে বললো, খুনের মামলা লাগায়ে দিছে।
টঙ্গী আওয়ামী সভাপতি: এই মেজর আওয়ামী লীগ শুনলেই তারাবাতির মত জ্বলে ওঠে। সে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে, টংগীতে আমি কোন আওয়ামীলীগের বদ রাখব না । আমি নিজেও এখন ভয়ে অস্থির থাকি টংগীতে থাকি না, ঢাকায় চলে এসেছি।
বঙ্গবন্ধু বললেন, কান্দিস না। কান্দার মতো কিছু হয় নাই আমি এখনো বেঁচে আছি মরে যাই নাই, ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু মোজাম্মেলকে তাৎক্ষণিকভাবে ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দিলেন। মেজর নাসেরকে টঙ্গী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জরুরী নির্দেশও দেওয়া হলো।
মোজাম্মেল ছাড়া পেয়ে মেজর নাসেরকে তার বাসায় পাকা কাঁঠাল খাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছিল।

সেই আগের মতই গোঁড়ায় গণ্ডগোল , মোজাম্মেল এর ছিল বাপ । আর হায়েনাদের আছে মা ।

দেয়াল- হুমায়ুন আহমেদ- পৃষ্ঠা-৮৬ .

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২০

অনল চৌধুরী বলেছেন: হুমায়ণের সব কূকীর্তির ঘটনা লেখা শুরু করবো?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৫২

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেছেন: শুরু করেন । কুকীর্তি হইল ভাই চিকেন পক্সের মত । যতই লুকাইবার যান , চামড়া ভেদ করে অন্যের দৃষ্টি গোচর হবেই । ২য় বিয়া কুকীর্তি হইলে বাংলার ঘরে ঘরে কুকীর্তি চলে । কেউ বিয়া কইরা কেউ না কইরা । কুকীর্তির রেফারেন্সের জন্য আপনি রেন্টুর "আমার ফাঁসি চাই' পড়ে দেখতে পারেন । ধন্যবাদ ।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের তুলনা হয় না। অল টাইম বস।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১৯

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেছেন: বলেছেন: খণ্ডিত ভারতবর্ষে একজনই এসেছিল , যার ধারে কাছে পৌঁছানর যোগ্যতা আর কার নাই আগামী একশো বছরে আর কেউ পৌঁছাইতেও পারবে না । আজকের লেখকরা(প্রথমালুর বুয়েটের একজনকে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায় ) তার "লেখার স্টাইল" কপি করে না বলা উচিত চুরি করে জাতে উঠতে চায় । কিন্তু এন্ড অফ দ্যা ডে' তে ঐযে কুঁজোর চিত হয়ে শুয়ে চাদ দেখার মতই হাস্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয় । আর পাঠকরাও বেশি দিন দুধ এর পরিবর্তে ঘোল খাইতে চায় না ।
ধন্যবাদ ।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৩০

ইমরান আশফাক বলেছেন: বংগবন্ধু কোন রকম যাচাই বাছাই না করেই এরকম সিদ্ধা্ন্ত নিতেন? এটা তো উনার চরিত্রের সাথে যায় না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেছেন: শুনতে খারাপ লাগলেও বলি উনি বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত না নবুঝে শুনে আবেগের বশেই নিতেন .এই কারনেই মাত্র ৩ বছরে মহানায়ক থেকে মহা খলনায়কে পরিণত হইছিলেন । উনার মৃত্যুতে মানুষকে আনন্দ মিছিল করার উপলক্ষ উনি নিজেই তৈরি করে দিছিলেন .৭২-৭৫ আওয়ামীলীগের দৃষ্টিতে না দেখে সাধারণ মানুষের চোখে দেখেন । এভ্রিথিং উইল বি ফকফকা .

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

রাশিয়া বলেছেন: আমি যতদূর জানি, বঙ্গবন্ধু যাচাই বাছাই না করেই এরকম সিদ্ধান্ত নিতেন। ৭ই মার্চের ভাষণে তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। তাছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশে তার দেয়া বক্তৃতা - যেগুলো কোন মিডিয়াতেই কখনও প্রচারিত হয়না, সেগুলো শুনলে বুঝা যায় ৭২-৭৫ কি ভয়াবহ অরাজকতা দেশে চলছিল। এর পেছনে বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষদের উপর অতি বিশ্বাস অনেকাংশে দায়ী।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেছেন: লেছেন: শুনতে খারাপ লাগলেও বলি উনি বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত না নবুঝে শুনে আবেগের বশেই নিতেন .এই কারনেই মাত্র ৩ বছরে মহানায়ক থেকে মহা খলনায়কে পরিণত হইছিলেন । উনার মৃত্যুতে মানুষকে আনন্দ মিছিল করার উপলক্ষ উনি নিজেই তৈরি করে দিছিলেন .৭২-৭৫ আওয়ামীলীগের দৃষ্টিতে না দেখে সাধারণ মানুষের চোখে দেখেন । এভ্রিথিং উইল বি ফকফকা

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৮

নতুন বলেছেন: পাশের মানুষ যদি ভুল বুঝাতে চেস্টা না করে তবে এমন সিদ্ধান্ত মানুষ নেয়। এটা বড় নেতার দায়ীত্ব কিন্তু তারা অনেক সময় সেটা বোঝে না।

আমি আমার কর্মস্থলের বিষয়গুলি চিন্তা করলে বুঝি।

আমাদের এখানে প্রায় ৩ হাজার কর্মচারী আছে আমার ডিপাটমেন্টে আমি আর আমার কলিগরা মিলে যেই সিদ্ধান্ত নেই সেটা কিন্তু আমাদের সিইও পযন্ত যায় না। আর যখন সিইও আমাদের এলাকা পরিদর্শনে আসে তখন সব কিছুই ঠিক থাকে।

আমার কলিগের খারাপ আচরনের কারনে একজন স্টাফ রিজাইন করে চলে গিয়েছিলো। কিন্তু কম্পানীর পলিছি ঐ রকমের না। তাই একটা প্রটিস্ঠানে এই রকমের কাজ হয় আর তো আমাদের দেশের মতন দূনিতিবাজ দেশ যেখানে মানুষ সার্থের জন্য সবকিছুই করতে পারে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পাশের মানুষ দূনিতিবাজ হলে তিনি কিভাবে ঠিক খবরটা পাবেন???

প্রধানমন্ত্রীর উচিত নিজে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া তিনি সেটা করেন না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেছেন: ১৪ বছর ধরে কি উনি তাহলে ঘোড়ার বাল ফালাইতেছেন । (সরি ফর এবিউজিং ল্যাঙ্গুয়েজ)

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেছেন: আপনারা বস মানুষ । আমরা চুনোপুঁটিরা আপনাদের দেখে উৎসাহ পাই । আপনাদের কমেন্ট সাহস দেয় । ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.