![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত জাগতে আমার খারাপ লাগে না।
কিন্তু একা একা এই নিস্তব্ধ
অমানিশা পাড়ি দেওয়া দুঃসাধ্য।
তাই আমি সঙ্গী খুঁজি।
দেয়াল ঘড়ির অহেতুক বাচালতা একসময়
অসহ্য মনে হয়।
প্রিয় বইগুলো, সিডি প্লেয়ার আর
ল্যাপটপের মুভি কালেকশন,
সবই অর্থহীন মনে হয় একটা সময়।
রক্তমাংসের জীবন্ত সঙ্গী খোঁজে মন।
হাজার হোক আমি মানুষ তো!
মাঝরাতের নির্ঘুম অস্থিরতা
আর হৃদয়ের গভীরে এক স্নিগ্ধ ললনার
অনুপস্থিতি।
দু'য়ে মিলে সৃষ্টি করে এক নির্মোঘ
প্রেমোপাখ্যান।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের
তারা দেখাটা খারাপ নয়।
অন্তত আমার বারান্দার
অংশে আকাশের
তারাদের অবস্থান অনেকটা মুখস্থ
হয়ে যাবার পরও।
কিন্তু আমার তারা দেখাটা আরেকটু
রোমাঞ্চকর করে তোলে..
আড়াআড়ি বিল্ডিংয়ের তৃতীয়তলায়
আরেক
নিশাচরীর আবির্ভাব।
আমার
দোতালা থেকে নিশাচরীকে দেখতে ঘাড়
উঁচু করতে হয়,
কিন্তু নিশাচরীর জন্য চোখের
দৃষ্টিটাকে একটু আনুভুমিক করাই
যথেষ্ট!
যান্ত্রিক শহুরে জীবনে ইমারতের
জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধিকে ধন্যবাদ।
অন্তত মাঝরাতে দুই নির্ঘুম
ইনসমনিয়াককে
আরো কাছাকাছি আসার সুযোগ
করে দেবার
জন্য।
আমাদের ছোট্ট বারান্দা আর আমাদের
এক
চিলতে আকাশ!
দু'য়ে মিলে কেটে যায় সহস্র বছর।
নির্ঘুম রাতকে আরো নির্ঘুম
করে তোলে মাঝরাতে দমকা বয়ে চলা এক
চিলতে শীতল বাতাস..।
দেয়ালঘড়ির কর্কশ কন্ঠস্বরকেও
একসময়
সুমধুর লাগতে শুরু করে।
ধীরে ধীরে মনে হয় আকাশের
তারাগুলো যেন এক এক
করে নিচে নেমে আসতে শুরু করেছে।
আমার বুকের গভীরে হৃদয়ের
ধুকধুকানি জোরালো থেকে জোরালোতর
হয়।
নিশাচরীর প্রতিটা দীর্ঘশ্বাসও
একসময়
আমার কানে এসে বাজতে শুরু করে।
ঠিক এমনি সময় রাতের
নির্জনতা চুরমার
করে দিয়ে
আকাশের এক কোন থেকে নীরবে চোখ
মেলে সুর্য।
বেয়াদব পাখিদের শুরু করা কলতান
সাইরেনের মত তীক্ষ্ণ মনে হয় তখন।
আমার অসূর্যস্পর্শা দৌড়ে পালায় আর
আমি নীরবে ফিরে আসি ঘরে।
আর আমার কবিতার খাতায় পৃষ্ঠার
সংখ্যা বেড়েই চলে দিনের পর দিন দিনের পর দিন..।
©somewhere in net ltd.