নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যোগ্য একটা লাশ হয়ে মাওলার অন্ধকার কবরে যেতে চাই

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী

যোগ্য মানুষ হতে চাই, যোগ্য একটা লাস হতে চাই

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজের বাচ্ছাকে বৈসাখী পূজার দিন আগামি বছরের মঙ্গল কামনায় বাধ্যতামুলক মঙ্গল সোভাযাত্রায় অংশগ্রহনের নির্দেশ

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্যতামূলক মঙ্গলশোভাযাত্রা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে! (http://bit.ly/2mLiTLs)
অথচ মঙ্গলশোভাযাত্রা মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি তো নয়ই বরং রীতি বিরুদ্ধে বলে অনেক ইসলামবেত্তা ফতওয়া দিয়েছেন। (http://bit.ly/2nuWqRm)
অপরদিকে বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার- `ধর্মীয় স্বাধীনতা‘ অংশের ৪১ এর ২ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে-
`কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না‘
পাঠক ! সংবিধান যদি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হয় এবং মঙ্গলশোভাযাত্রা যদি ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কোন প্রোগ্রাম হয়, তবে সংবিধানের ৪১ এর ২ ধারা অনুসারে সরকার কিছুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মঙ্গলশোভাযাত্রা করতে বাধ্য করতে পারে না। এ ব্যাপারে হাইকোর্টে রিট করলে সরকার অবশ্যই আটকে যাবে।
২।
‘মঙ্গল’ শব্দটি সাধারণ মানুষ দুই অর্থে নেয়-
১) ভালো শব্দ অর্থে
২) দিবস বা বার অর্থে
কিন্তু মঙ্গল শব্দটার আরো কিছু ধর্মীয় অর্থ আছে। বিশেষ করে ‘মঙ্গল’ শব্দটি পুর্তিপূজকদের কাছে এক দেবতা তথা ‘মঙ্গলদেবতা’র নাম। মঙ্গল হল যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা। হিন্দু ধর্মে মঙ্গলশব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন- মধ্যযুগে হিন্দুধর্মীয় আখ্যান কাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতে হয় অমঙ্গল; যে কাব্য মঙ্গলাধার, এমন কি, যে কাব্য ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলকাব্য বলে। মঙ্গলকাব্য আবার তিন শাখা- মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল ও অন্নদামঙ্গল।
এছাড়া-
হিন্দুরা পূজার সময় যে পাত্র ব্যবহার করে তাকে মঙ্গলঘট বলে।
বিশেষ পূজার জন্য যে প্রদীপ ব্যবহার করে তাকে মঙ্গল প্রদীপ বলে।
পূজার সময় মঙ্গলপ্রদীপ ঘুড়িয়ে যে আলোর বিচ্চুরণ করা হয় তাকে মঙ্গল আরতি বলে।
হিন্দু ধর্মে একটা পূজাই আছে যার নাম মঙ্গলপূজা
হিন্দু বিয়ের প্রথম আচারের নাম হচ্ছে মঙ্গলাচরণ
হিন্দুদের বিয়ের সময় সূর্য্যোদয়ের আগে বর ও কন্যাকে চিড়ে ও দৈ খাওয়ানো হয় তাকে দধিমঙ্গল বলে
মঙ্গলশোভাযাত্রাও তেমনি হিন্দুদের একটি ধর্মীয় যাত্রা। বিশেষ করে জন্মাষ্টমীর সময় হিন্দুরা মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করে এটা প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। সে হিসেবে মঙ্গলশোভাযাত্রা যে হিন্দু বা মূর্তিপূজক বা প্যাগানাদের একটি বিশেষ ধর্মীয় অনুসঙ্গ তাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই মূর্তিপূজক (প্যাগান) আচার-প্রথা মুসলমানদের উপর জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে দেখা গেছে সুপ্রীম কোর্টে সামনে গ্রিক/রোমান প্যাগানদের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এবার একেবারে মঙ্গলশোভাযাত্রা মানে হিন্দু ধর্মীয় আচারপ্রথাকে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে (প্রত্যেক স্কুলে নোটিশ পাঠিয়েছে সরকার। বলেছে বাধ্যতামূলক মঙ্গলশোভাযাত্রা করতে- (http://bit.ly/2mLiTLs))।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে- কাউকে অন্য ধর্ম পালনে বাধ্য করা যাবে না। বিশেষ করে সংবিধানের মৌলিক অধিকার- `ধর্মীয় স্বাধীনতা‘ অংশের ৪১ এর ২ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে-
`কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না’। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রকাশ্যে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে হিন্দু ধর্মীয় আচার মঙ্গলশোভাযাত্রা পালন করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তাই আমি বলবো-
সরকার স্কুলগুলোতে বাধ্যতামূলক মঙ্গলশোভাযাত্রা করতে চিঠি পাঠিয়ে চরম সাম্প্রদায়িকতা করেছে, ৯৫% মুসলমানকে জোর করে হিন্দুধর্ম পালনে বাধ্য করেছে। আজকে যদি হিন্দুদের জোর করে গরু মাংশ খাওয়ানো হতো, তবে সেটা যেমন অন্যায় ও সাম্প্রদায়িক কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো, ঠিক তেমনি মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে হিন্দুদের মঙ্গলশোভাযাত্রা করানোটাও একই রকম উগ্রসাম্প্রদায়িক আগ্রাসণ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই যারা এ ধরনের নোটিশ স্কুলগুলোতে পাঠিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.