সাবধান প্রিয় ভাই!!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

সিরাতুন্নবীতে লাত্থি মারো, মিলাদুন্নবী পালন করো’ (নাঊযুবিল্লাহ)
:
উপরের শ্লোগানটি আজকে অনেক শুনতে পাচ্ছি। বন্ধু! আসুন শ্লোগানটি নিয়ে একটু ভাবি। শব্দগুলো নিয়ে একটু চিন্তা করি। আজকে আমাদের চিন্তার দৈন্য কতোটা নিচে নামিয়ে দিচ্ছে আমাদের।
:
বন্ধু! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের জন্ম পৃথিবীবাসীর জন্য অবশ্যই আনন্দের। কোনো সন্দেহ নেই। তিনি মানবতার মুক্তির দিশারী। তিনি না এলে আঁধার ধরায় সূর্যের বিকিরন হতো না। তিনি না এলে পৃথিবীতে কোনো মানুষ থাকতো না।
:
কিন্তু কেনো তিনি মহান? কেনো তিনি শ্রেষ্ঠ? একথা পৃথিবী অনুভব করেছেন ধীরে ধীরে। তাঁর আদর্শ দেখে। তিনি কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন তাঁর সীরাত তথা জীবনাদর্শের মাধ্যমে। তাঁর আনিত কিতাবের মাধ্যমে। রিসালাতের মাধ্যমে।
:
তিনি যখন পৃথিবীতে আগমন করেছেন তখন আবু লাহাবসহ তাঁর আত্মীয় অনাত্মীয় সবাই খুশি হয়েছিলো। পৃথিবীর সব মাখলুক তাঁর সম্মানে অবনমিত হয়েছে।
:
কিন্তু ধীরে ধীরে যখন তিনি বড়ো হতে লাগলেন, তখন এমন অনেকেই তাঁর আদর্শ হতে বিচ্যুত হতে লাগলো, যাঁরা তাঁর জন্মে সীমাহীন আনন্দ প্রকাশ করেছে। যাঁরা তাঁর রিসালাতকে অবজ্ঞা করেছে। সীরাতকে লাত্থি মারতে প্রতিজ্ঞ হয়েছিলো। ফলে মীলাদুন্নবী পালন করেও তারা হয়েছে চির জাহান্নামী।
:
বন্ধু! সিরাতুন্নবীকে লাত্থি মারার অর্থ তাঁর ৬৩ বছরের জীবনকে অস্বীকার করা। সীরাতুন্নবীকে লাত্থি মারার অর্থ তাঁর নবুয়ত, রিসালাত, কুরআন, সুন্নাহ, তাঁর দাওয়াত, জিহাদ, তা‘লীম-তাযকিয়া সব কিছুকে দূরে ঠেলে দেয়া।
:
বন্ধু! রাসূলকি আমাদেরকে তাঁর জন্মানন্দে ঈদ পালন করতে বলেছেন? নাকি তাঁর আনিত দ্বীন ও সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে বলেছেন?
:
বন্ধু! আবেগ তাড়িত হয়ে আমরা আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে দিচ্ছি নাতো? নিজের অবস্থানকে জাহান্নামের অতলে নিয়ে যাচ্ছি নাতো? বন্ধু!! সাবধান!! বন্ধু! ফিরে এসো। বন্ধু! সামলাও নিজেকে।
Fahim

০ টি +০/-০