২০১৮ সালে মানুষের প্রধান আগ্রহের বিষয় কি?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি?
দুর্বিষহ জনজীবন?
ব্যাংক খাতের লুটপাট ও চুরি-চামারী?
প্রশ্নফাঁস?
"সহনীয়মাত্রার দুর্নীতি"তে অসহনীয় প্রশাসন?
ধর্ষণ?
খুন?
গুম?
হত্যাকান্ড?
না! এগুলোর কোনটাই এই বছরের প্রধান আগ্রহের বিষয় না। বাংলাদেশের মানুষ এই বছরে আশি টাকা কেজিতে চাল কিনে স্ত্রী-কণ্যাকে ক্ষুতকাতর রেখে নির্বাচনী মিছিলে যাবে। দলীয় প্রতীকের জন্য নিজের বন্ধুকে খুন করবে, এলাকা একসাথে বহুবছর বসবাস করা একজন অন্যজনের মাথায় কোপ দেবে, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে দলীয় লোকদের চা-পান খাওয়াবে। নিজ নেতার নির্দেশে গাড়িতে আগুন দেবে, সরকারী সম্পদের ক্ষতি করবে।
এই বছর উম্মাদনার বছর। নির্বাচনী উম্মাদনার বছর। এই উম্মাদনা বড় অদ্ভুত। এখানে প্রতীকই গুরুত্বপুর্ন। এই প্রতীকে দাড়ানো ব্যক্তি দুর্নীতিবাজ, অসৎ ও সন্ত্রাসী হলেও কিছু আসে যায় না। এই উম্মাদনায় "আদিম জাহেলিয়াত" এর সন্ধান মিলবে। অনেকে কেবল এই কারনেই নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দেবেন যে তিনি আগে থেকেই সেই দলের লোক। সেই দল দেশটাকে শেষ করে দিলেই তারা সেই প্রতীকেই ভোট দেবেন। এই বছর মানুষ বেচা-কেনার বছর। ১০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকায় মানুষ বেচা-কেনা হবে।
প্রশ্ন হলো, এই উম্মাদনায় ইসলামী আদর্শ কেন্দ্রীক রাজনৈতিক দলগুলো কি করতে পারে?
ভোটের প্রতি মানুষের এই আগ্রহ, এই ঝোঁক ও এই উম্মাদনাকে উপেক্ষা কিভাবে করবে দলগুলো? ভোটের প্রতি এই উম্মাদনাকে অস্বীকার করলে বিএনপির মতো বারবার ক্ষমতায় যাওয়া রাজনৈতিক দলও মাঠে দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
সেজন্য ভোটের জন্য মানুষের এই উম্মাদনাকে উপেক্ষা না করেরে এবং একে বর্জন না করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই উম্মাদনাকে ইসলামের দিকে ঘুড়িয়ে দিতে চায়।
হ্যাঁ! কাজটা অনেক কঠিন। এখানে অনেক বড় বড় প্রশ্ন আছে, বিপদ আছে। কিন্তু বিপ্লব তো সর্বদাই কঠিন, বিপ্লবকে তো সর্বদাই বড় বড় প্রশ্নের সমাধান করেই এগুতে হয়। বিপ্লবকে তো বিপদ-আপদ মাড়িয়েই সফলতা ছিনিয়ে আনতে হয়




শাইখ ফজলুল করিম মারুফ

২ টি +০/-০