নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যোগ্য একটা লাশ হয়ে মাওলার অন্ধকার কবরে যেতে চাই

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী

যোগ্য মানুষ হতে চাই, যোগ্য একটা লাস হতে চাই

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনশেষে আপনি মেধাবী আর দক্ষকেই সিলেক্ট করবেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

মনে করুন, আপনার বড় কোন অপারেশন হবে। দু'জন ডাক্তার আছেন। একজন ৮০%নম্বর পেয়ে ডাক্তার হয়েছেন আর অন্যজন ৫০%নম্বর পেয়ে কোন রকমে ডাক্তারি পাশ করেছিলেন। আপনি কার কাছে অপারেশন করাতে চাইবেন?
মনে করুন, আপনি আপনার বাড়ির ডিজাইন করাবেন। দু'জন ইঞ্জিনিয়ার আছেন। একজন ৮০% নম্বর পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন আর অন্যজন ৫০%নম্বর পেয়ে কোন রকমে পাশ করেছিলেন। কাকে দিয়ে ডিজাইন করাবেন?
মনে করুন, আপনি আপনার গাড়ির ড্রাইভার নিয়োগ দেবেন। দু’জন আবেদন করেছে। একজন খুব দক্ষ আর অন্যজন মোটামুটি চালাতে পারে। কাকে নিয়োগ দেবেন?



জানি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনি দক্ষ ও মেধাবী ব্যক্তিকে বেছে নেবেন কারণ, আপনি অদক্ষ ডাক্তারের হাতে মরতে চান না, অদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এর হাতে ভুল ডিজাইন করে দালান ধ্বস চান না, অদক্ষ ড্রাইভারের হাতে গাড়ি এক্সিডেন্ট করতে চান না।

এবার ধরুন ওই অদক্ষ লোকটির বাবা বা দাদা আপনার বড় কোন উপকার করেছিলেন। তাহলে আপনি কী করবেন? তখন হয়তো তার বাবা-দাদার উপকারের কথা স্মরণ করে তাকে অন্য কোনভাবে সহায়তা করবেন কিন্তু তবু আপনি মেধাবী আর দক্ষকেই সিলেক্ট করবেন।

ঠিক একই ভাবে দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ঋণের কথা স্মরণ করে তাদের ভাতা বৃদ্ধি, সম্মান বৃদ্ধি, সামাজিক ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি সহ অন্য যে কোন পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, কিন্তু তাদের ঋণের বিনিমিয়ে অদক্ষ অমেধাবী কাউকে বিসিএস এর মত যায়গায় নিয়োগ দিলে দেশটাই এক্সিডেন্ট করবে। মেধাবীদের নিয়োগ দিলে দেশেরই মঙ্গল হবে। দেশের মঙ্গলের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেতে ভয় পায়নি। তাহলে তাদের নাতিপুতিরা মেধার যুদ্ধে কেন ভয় পাবে? তাদেরও উচিত সাহসের সাথে মেধার যুদ্ধে জয়ী হয়ে ক্যাডার হয়ে দেখিয়ে দেয়া। আর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তখন পশ্চিম পাকিস্তানিদের জন্য চাকরিতে ৫০% কোটা থাকত আর বাকি ৫০% এ প্রতিযোগিতা হত। আর এখন কোটা ৫৬% আর বাকি ৪৪% এ প্রতিযোগিতা হয়। তাহলে দেশ স্বাধীন হয়েও সেই বৈষম্য তো থেকেই গেল। বিষয়টা এমন যে, চাঁদাবাজদেরকে তাড়িয়ে উপকার করে সেই উপকারের বিনিময়ে নিজেই চাঁদা নিচ্ছে। হাস্যকর।

রিটেন এর নম্বরপত্র থেকে দেখা গেছে সাধারণ ছাত্ররা ৭৫-৮৫% নম্বর পেয়ে ক্যাডার হয়েছে, ৭০%নম্বর পেয়েও বাদ পড়েছে। আর কোটাধারীরা ৫০-৬০% নম্বর পেয়েই ক্যাডার। এটা মেধার চরম অবমাননা। তাই বৈষম্যের এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কোটা ৫৬% থেকে কমিয়ে ১০% এ আনতে হবে। বিসিএস ক্যাডারের মত গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
“বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই।”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.