![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যোগ্য মানুষ হতে চাই, যোগ্য একটা লাস হতে চাই
বৈসাখী সংস্কৃতি সম্পর্কে জাতীকে মুফতী ফয়জুল করিম, শায়েখে চরমোনাই'র বয়ান থেকে।
এই যে পহেলা বৈশাখ! বাঙ্গালী জাতির পহেলা বৈশাখ। এখানে বয়স্ক ও মুরব্বীরা আছেন। মাত্র বিশ বৎসর আগে এ দেশে কেউ পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করেছে? তবে হিন্দুরা পূজা পার্বন করেছে, হালখাতা করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে বাঙ্গালী জাতি বাঙ্গালী সংস্কৃতির নামে গোটা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করার চর্চা চলতেছে। এর কারণটা কি?
এর মূল কারণ, আমাদের মূল চেতনা ছিলো, আমি একজন মুসলমান। এ চেতনাকে নস্যাৎ করে নতুন চেতনা সৃষ্টি করতে চায় যে, আমি মুসলমান না, আমি বাঙ্গালী। মারাত্মক চেতনা! একটা জাতি বা গোষ্ঠীর চেতনা যদি এমন ঠিক করা হয়, তাহলে ঐ জাতি আর টিকে না,ধ্বংস হয়ে যায়।"
"আমরা হলাম মুসলিম জাতি, কিন্তু এর পরিবর্তে সৃষ্টি করা হচ্ছে বাঙ্গালী জাতি। বাংলাদেশের ভূ-খন্ড ভিত্তিক জাতি না। কোলকাতা, আসাম, ত্রিপুরা নিয়ে বৃহৎ বাঙ্গালী গোষ্ঠী, যার শতকরা ৮০% ভাগ হিন্দু।"
"তোমরা যদি বাঙ্গালী হও, তাহলে তোমাদের উপরে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে সহজ হয়।"
"দেখবেন, পহেলা বৈশাখে বটমূলে আহবান করা হচ্ছে জড়ো হতে। বটমূল তো হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেবদেবীর একটা। ওখানে হিন্দুরা যাবে পূজা করতে। তুমি যাবা কেন? তুমি যাও বাঙ্গালী বলে, আর হিন্দুরা যাচ্ছে পূজা করতে।"
"এ দিনে নানা রঙ আর ডিজাইনের পোষাক পরবে, আর ওরা যাবে ধর্মীয় পোষাক পরিধান করে, সে হিসাবে। তারা 'রাঁখিবন্ধন' করবে ধর্মীয় আচার হিসেবে, আর তুমি করবে বাঙ্গালী হিসেবে। ওদের মহিলারা কপালে সিঁদুর দিবে ধর্মীয় সংস্কৃতি হিসেবে, আর তোমরা গালে আল্পনা করবে বৈশাখী সংস্কৃতি হিসেবে!"
"হজরত ইবরাহীম আঃ এর পিতা মেলায় যাইতো মুর্তি বিক্রী করতে। অনুরূপ হিন্দুরাও মেলায় যায়। আর মুসলমান! তুমি যাবে বাঙ্গালী হিসাবে!"
"ঢোল, তবলা একতারা, সারিন্দা এগুলোর ছবি থাকে পোষাকে। ওহে মুসলমানের বাচ্চা! তোমরা কি ঢোল দ্বারা ইবাদত করো? একতারা দিয়ে? সারিন্দা তানপুরা দিয়ে? কারা এসব দিয়ে উপাসনা করে? অবশ্যই হিন্দুরা। ওরা হিন্দু হিসেবে ওটা করে, আর তুমি? বাঙ্গালী হিসেবে।"
"পহেলা বৈশাখে ভালো ভালো খাওয়া হয়। পান্তা ইলিশ খাওয়া হয়। হিন্দুরা খায়, সারা বছর ভালো ভালো খেতে পারবে সে নিয়তে, ওদের ধর্মমতে। আর তুমি খাবা বাঙ্গালী হিসাবে। একই পূজা। খুবই কৌশলে তোমাকে হিন্দু বানাইয়া ফেলছে।"
"মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটা নাকি খুব কল্যাণের, বরকতের। এ যাত্রায় যারা সম্পৃক্ত হবে তাদের আগামী এক বৎসর খুব কল্যাণ হবে। শোভাযাত্রায় দেখবেন, পেঁচা বা হুতুমের ছবি, কুমিরের ছবি, সর্প, বাঘ বা ফেউচ্চার ছবি। এ গুলো সব ওদের দেবদেবীর প্রতীক, ওগুলো নিয়ে শোভা যাত্রা করবে। ওরা এটা জীবনভর করছে ধর্মীয় শোভাযাত্রা হিসাবে, আর তোমরা তা করতেছো বাঙ্গালী হিসেবে।"
'কপালপোড়া মুসলমান। দূর্গাপূজা। শারদীয় দূর্গা পূজা। সে সময় একটা শ্লোগান থাকে। "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।" কই? ঈদের জামাতে তারা তো নামাজ পড়তে আসে না। ওদের উৎসব গানবাজনার মধ্যে, আমাদের উৎসব নামাজের মধ্যে। আমাদের উৎসবে আমরা ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে ঈদগাহে যাই নামাজ পড়তে। এতে একটা ভিন্ন আমেজ তৈরী হয়। তোমরা কি আসো এখানে? আজ পর্যন্ত একজন হিন্দুকে দেখলাম না, টুপি পড়ে কেউ ঈদের জামাতে দাঁড়িয়েছে।"
"দেখেন, কত মারাত্মক শ্লোগান! হিন্দুদের দূর্গার সামনে মুসলমানদের হাজির করার ব্যবস্থা করতেছে! হিন্দুদের পূজার সময় ওদের মাঝে কোন পর্দা থাকে না। তাদের দেবদেবীর অবস্থাও তো জানেন। সব সমান হয়ে যায়। ওদের কাছে এটা এমন কোন বিষয় না। খুইলা বলার দরকার নেই। বুইঝা নিয়েন। পূজার সময় ওদের সুন্দরী মেয়েরা বাহারী পোষাক পরে। তাদের মাধ্যমে তোমাদের চরিত্র জনমের মতো জবাই দেয়ার জন্য অায়োজন থাকে।"
"কেননা 'আয়না' স্বচ্ছ থাকে। সেটার উপরে ফুউফ্! এ রকম ফু দেন। বাস্পের কারণে ঘোলা হয়ে গেছে। দেখবেন, আয়নায় কিছু দেখা যায় না।"
"ঈমান খুব স্বচ্ছ। গুনাহর আবরণ পড়ার সাথে সাথে, মুর্তির সামনে যাবার সাথে সাথে, শিরকের আবরণ পড়ার সাথে সাথে ওর মধ্যে হিন্দুত্ববাদ তৈরী হয়, নাস্তিকতা ভর করে, কমিউনিজম পয়দা হয়, ফলে ইসলাম থেকে দূরে সরে চলে যায়।"
"এজন্যে ওদের কৌশল হলো, যে প্রক্রিয়ায়ই হোক মুসলমানদেরকে তাদের দেবদেবীর ওখানে নিয়ে আসো, গানবাজনার অনুষ্ঠানে নিয়ে আসো। আর এতে অন্ততঃপক্ষে হিন্দু না হলেও কমপক্ষে মুসলমানিত্বটা থাকবে না।"
"এই যে পহেলা বৈশাখটা যারা উৎযাপন করবেন তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, মুসলিম থেকে নামটা কাইটা ঐ পূজায় যাইয়েন। মুনাফেকী করিয়েন না।"
"পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কোন মুসলমানের ঘরে একটি ডিমভাজাও হবে না। আজ জন্মের মত খাও, আগের দিন খাও, পরের দিন খাও। আজ পোষাক পরো, জনমের মতো পরো। আগেপিছে পরো। পহেলা বৈশাখকে উদ্দেশ্য করে কোন মুসলমানের গায়ের মধ্যে একটি নতুন জামা উঠতে পারবে না। পহেলা বৈশাখের শোভা যাত্রায় মুসলমানরা অংশগ্রহন করতে পারবে না।"
"খবরদার! এরা মুসলমানদের ঈমান ও আমল ধ্বংস করার পায়তারা করছে। মুসলমান জাতি, সজাগ হও। হিন্দু বা খ্রিস্টানদের সংস্পর্শে যাইও না। সব বরবাদ হয়ে যাবে।"
"আমার চরমোনাইতে বহু হিন্দুর বাস। তারা পূজা অর্চনা করে। পূজার সময় থানায় গিয়ে বলে, আমাদের পুলিশের দরকার নাই। আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুজুররাই যথেষ্ঠ। হ্যাঁ,আমরা তাদের নিরাপত্তা দেই, যাতে পূজা অর্চনা ঠিকভাবে করতে পারে, এটা তাদের অধিকার। লেকিন আমরা পূজায় অংশ গ্রহণ করবো না। কারণ, আমরা মুসলমান। আমরা ঈমানদার।"
২| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: যাযাকাল্লাহ গুরু
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪
সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর বয়ান।