![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যোগ্য মানুষ হতে চাই, যোগ্য একটা লাস হতে চাই
আমরা কারো কারো মতে সিজনাল, মৌসুমি মুসলমান। সর্বপরি আপনি নিজেও ইবাদতে দিল লাগাতে পারেন না। আসুন ইবাদত না ছাড়ি। ইবাদতের মাধ্যমেই মাওলার প্রিয় হওয়ার একমাত্র উপায়।
তবে কিছু পারিপার্শ্বিক উপকরণ(র মেটারিয়ালস) লাগবে।
আমলের নিয়তে পড়ুন। ইনশায়াল্লাহ আমলে মজা পাবেন। মৌসুমি মুসলমােনর অপবাদ সইতে হবেনা।
১। ঈমান, নিয়ত পরিশুদ্ধ হতে হবে।
আল্লাহর আনীত বিধান, আল্লাহ্ প্রদত্ত নিয়মে, রাসুল স: এর তরিকায় হতে হবে।
কলেমার মর্মার্থ অন্তরে বিশ্বাস, বিশ্বাস অনুয়ায়ী শ্বিকার ও শ্বিকার অনুযায়ী কাজের নামই ঈমান। আর নিয়ত একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হতে হবে।
২। ইবাদত শুদ্ধ হতে হবে। অতিরিক্ত জ্ঞান প্রথমেই দরকার নেই। আবশ্যিক সুরা কিরাত, মাসলা-মাসায়েল শুদ্ধ করেই শিখতে হবে শরিয়াতে প্রাজ্ঞ ওস্তাদের কাছ থেকে। সব বই পড়ে হয়না।
৩। সমস্ত ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত গুলু আকড়ে ধরার যুদ্ধ করতে হবে যত বাধা আসুক। যুদ্ধ বলছি! শুরু করেন টের পাবেন। তবে বিজয়ের পুরুষ্কারের তুলনায় জিহাদের কষ্ট কিছু নয়।
পর্দা করা, কবিরা গুনাহ মুক্ত থাকার চেষ্টা করা, হারাম মুক্ত থাকা, দাড়ি লম্বা রাখা, তাকওয়াপূর্ণ লেবাস পরিধান করা, বিড়ি-সিগারেট সিনেমা নাটক সুদ বেহুদা কথাবার্তা ইত্যাদি যতই কষ্ট হউক পরিহার করা। অন্যথায় ঘেরা(টেংরা) না দিলে গরু যেমন বাগান খেয়ে সাবাড় করে তেমন এসব গুনাহ আপনার ইবাদত খেয়ে ফেলবে সাবধান।
আরেকটু বুজিয়ে বলি- এসব হল পেরেকের মত। আপনি যতি সুন্দর করে ঘর বানিয়ে তার উপরে টিন বসাননা কেন পেরেক দিয়ে আটকিয়ে না দিলে অল্প বাতাসেই উড়ে যাবে। সমাজের চারপাশে তো আজ খতরনাগ ফেতনার তুপান বইছে। সাবধান ভাই, ঈমান আমল সহজেই উড়ে যাবে।
৪। সদা সর্বদা বেশি বেশি জিকির করুন। এটা রেত বা সাবানের ন্যায়। রেত যেমন লোহার মরিচা, সাবান যেমন কাপড়ের ময়লা পরিস্কার করে জিকির তেমন আপনার অন্তরকে কালি মুক্ত করবে। তখন দেখবেন নামাজে দাড়ালে কি মজা। জ্বিব্বাটা কেমন মিঠা। রুহ টা কত নরম। চোখের অশ্রু কত সহজ।
৫। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর মননীত দ্বিন বাস্তবায়নের চেষ্টা করা। মনে রাখবেন দ্বিনের এমন অনেক অংশ আছে যা নামাজ রোজা হজ্ব করে সম্ভব না। আপনি যাকাতটাও যথাযথ নিয়মে দিতে পারেন না! বিচার, ইসলামী অর্থনীতি, রাষ্টনীতি, শ্রমনীতি, সমাজব্যবস্থা রিতি নৈতি আপনার চিন্তার আজো বাইরে। আপনাকে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখবেন এটাও একটা বড় ইবাদত। পাশাপাশি সৎ কাজের আদেশ মন্দ কাজের নিষেধতো আছেই।
বিঃ দ্রঃ লেখাটার আমার মত করে লিখা হলেও প্রতিটা পয়েন্টে কোরয়ান ও বিশুদ্ধ হাদিসের অক্যাট্য দলিল পেশ করতে পারব।
আসুন দলাদলি, তর্কাতর্কি নয়। সবাই যোগ্য একটা লাস হয়ে কবরে যাই।
আল্লাহ্ আমাকে সহ সবাইকে দ্বিনের সঠিক বুজ দান করুন।
মাবুদগো এই লেখাটা যদি আপনার রেজামন্দির জন্য লিখিত হয়ে থাকে এই লেখার মাধ্যমে তার পাঠককে পরিপূর্ণ দ্বিনের পথে চলার তৌফিক দান করুন।
©somewhere in net ltd.