আমরাতো এখন চাঁদের দিকে দেখিনা, চাঁদদেখা কমিটির দিকে তাকিয়ে থাকে। সে চাঁদদেখা কমিটি চাঁদ কতটুকু দেখে আমার প্রশ্ন।

২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

এখন আর কেউ চাঁদ তালাশ করে না, টিভি আর হেলাল কমিটির খবরের অপেক্ষায় থাকে। সৌদীর কয়েকজন ইনবক্স করে জানালো, সৌদীতেই নাকি একদিন পরে রোযা রেখেছে। কেননা, সৌদীতে সাধারণত চাঁদ দেখা যায় না, চাঁদ দেখা কমিটির খবরের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এবার সবাই দেখেছে এবং তুলনামূলক বড় চাঁদ দেখেছে। অনেকের সন্দেহ, সেটি দু'দিনের চাঁদ। ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে ইন্ডিয়া -পাকিস্তান ঠিকাছে, আর আমরা সৌদীর হিসেব করে একদিন পরে রোযা রেখে ভুল করেছি। আর যদি সৌদী ঠিক থাকে, তাহলে মোটামুটি নিশ্চিত থাকা যায় যে, আমরাও ঠিক। ভুল ইন্ডিয়া পাকিস্তানের। দেখা যাক আখের কী হয়।

যদি বলেন আমরা ২৯ রোযা রাখবো আর ইন্ডিয়া পাকিস্তান ৩০ রোযা রাখবে, তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, একই চন্দ্রমাস কি একদিন কমবেশী হয়?

রোযা কয়টা হচ্ছে এবার?
বাঙলাদেশে ২৮টা নাকি ইন্ডিয়ায় ৩১টা?

বুধবার (১৬/০৫/১৮) রাত থেকে একটা চিন্তা মাথা থেকে নামছেই না, রোযা কয়টা হচ্ছে এবার? বুধবার ইন্ডিয়া পাকিস্তানে চাঁদ দেখা গিয়েছে এবং দেওবন্দ-সহ ইন্ডিয়া পাকিস্তান ঐদিন তারাবীহ পড়ে বৃস্পতিবার রোযা রেখেছে। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঘোষণা দিলো, বাঙলাদেশের আকাশে বুধবার রমযানের চাঁদ দেখা যায়নি! ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিংবা হেলাল কমিটি দলীল নয়। প্রশ্ন হলো বাঙলাদেশের ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা নিরব ছিলো কেনো? চন্দ্রমাসের হিসেব তো ইন্ডিয়া বাঙলাদেশে আলাদা করার সুযোগ নেই। তাহলে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত কি বাঙলাদেশের মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়?

চিন্তার বিষয় যেটা, বুধবার যদি চাঁদ ওঠে থাকে এবং এবারের রমযান মাস ২৯দিনের হয়, তাহলে বাঙলাদেশে রোযা হবে কয়টা? ২৮টা! নাকি ২৯টা মোলাতে গিয়ে ঈদের দিনও রোযা রাখতে হবে? আল্লাহ মাফ করুন। রোযা একটা কম রাখার থেকে ঈদের দিন রোযা রাখা মারাত্মক নয় কি! অন্যদিকে রমযান মাস যদি ৩০দিনের হয়, তাহলে ইন্ডিয়ায় কি ৩১রোযা হবে? তার মানে তারাও ঈদের দিন রোযা রাখতে যাচ্ছে? বোঝেননি! বুঝিয়ে বলছি-

বাঙলাদেশ-ইন্ডিয়া সময়ের হিসেবে মাত্র আধাঘন্টা ব্যবধান। যে ব্যবধানে দিনের হিসেব পরিবর্তন হবার সুযোগ নেই। অর্থাৎ বাঙলাদেশ-ইন্ডিয়ায় চন্দমাসের হিসেব সেম সেম। ইন্ডিয়ার চাঁদ আর বাঙলাদেশের চাঁদ একই চাঁদ। বাঙলাদেশ কিংবা ইন্ডিয়া, যে দেশেই চাঁদ দেখা যাক না কেনো, ঐ চাঁদের ওপর ভিত্তি করেই দু'দেশে রোযা এবং ঈদ হবে। ইন্ডিয়ার আকাশে চাঁদ দেখা মানে বাঙলাদেশেও রোযা। কিন্তু বাঙলাদেশ এবার রোযা রাখলো একদিন পর। সত্য কোনটা? যদি ইন্ডিয়া সত্য হয়, আর রোযা হয় ২৯টা, তাহলে বাঙলাদেশের রোযা হবে ২৮টা! আর বাঙলাদেশ যদি সত্য হয়, আর রোযা যদি হয় ৩০টা, তাহলে ইন্ডিয়ায় রোযা হবে ৩১টা! রমযানের চাঁদ দেখায় গড়মিল হলেও শাওয়ালের চাঁদ দেখায় গড়মিল হবার সুযোগ নেই। কেননা, উভয় দেশের চাঁদের হিসাব একই।

এই দায়ভার কে নিবে...?

০ টি +০/-০