নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে, পৃথিবীর সব গল্প ফুরাবে যখন, মানুষ রবে না আর , রবে শুধু মানুষের সপ্ন তখন ।

অরিন্দম পাল রিপন

অরিন্দম পাল রিপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের বাইকের টায়ারের সাতকাহন

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৩

আজ আমরা আলোচনা করবে বাইকের টায়ার নিয়ে । বিষয়টি আসলে অনেক ভেবে দেখার মত । সাধারণত বাংলাদেশের রাইডারা বাইক কেনার সময় টায়ার এর তেকে ইন্জিন এর দিকে বেশী নজর দেয় । হ্য া, ভঅল পারফরমেন্সের জন্য ভাল ইন্জিন অবশ্রই দরকা । কিন্তু , সেই সাতে যদি আপনার বাইকের টায়ারটা ভাল না হয় তাহলে আপনি রাইডিং করে ভাল মজা পাবেন না । টায়ার রাইডিং এর ক্ষেত্রে একটা বিরাট ভুসমকা পালন করে । এটিই আপনার বাইককে সচল রাথে ও ব্রেকিং এর সময় টায়ার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় । সো , আমরা কোভাবেই বাইকের টায়ারের বিষয়টা মাথ থকে নামাতে পারি না । বাইকের টায়ার ভাল হলে বাইকটি অনেক ভাল পরফরমেন্স দেয় । তো , চলুন , আজ জেনে নেওয়া যাক মোটরবাইকের টাযার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যা হয়তবা আপনারা আগে কখনও শোনেননি ।



Radial Tire vs Conventional Normal Motorcycle Tires

রেডিক্যাল টায়ার মূলত ইউজ করা হয় বাংলাদেশের ইয়ামাহা এফ জেড বা ইয়ামাহা R15 এই বাইকগুলোতে । রেডিক্যাল টায়ারের বৈশেষ্ঠ হল এর ফ্লেক্সিবল সাইডওয়ালস যেটা আপনাকে টাণিৃর্ং বা কর্ণারিং এর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দেবে এবং আপনি অনেক সেফটির সাথে কোন কর্ণারিং করতে পারবেন । রেডিক্যাল টায়ারে লো রোলিং রেজিট্যান্স রয়েছে যেটা আপনাকে বাইক ড্রাইভিং এর সময় অনেক বেশী স্পীড দিতে সহায়তা করবে । এই ধরণের টায়ারগুলো কোন রকম ভাইব্রট করে না এবং এগুলো অনেক লং লাস্টিং টায়ার ।
অপরদিকে কনভেনশনাল টায়ারগুলা সাধারণত ওল্ড জেনারেশনএর বাইকে ব্যাবহৃত হয় কারণ এর পরফরমেন্স রেডিক্যাল টায়ারের থেকে অনেক কম । যেমন , টিভিএস , হিরো হোন্ডা , বাজাজ , প্রভৃতি কোম্পানী কনভেনশনাল টায়ার ব্যাবহার করে থাকে । কিন্তু , পারফরমেন্স রেডিক্যাল টায়ারের থেকে কম হওয়া সত্ত্বেও এই টায়ারগুলো বাংলাদেশে খুব বেশী চলে কারণ এর কম দাম এবং এগুলো রেডিক্যাল টায়ারের থেকে বাংলাদেশের রোডে খুব একটা খারাপ পারফরমেন্স দেয় না । তারপরও বাংলাদেশের রাস্তায় নন রেডিক্যাল অর্থাৎ কনভেনশনাল টায়ারগুলো বেশী চলে কারণ এর শক্ত সাইডওয়াল বাংলাদেশের রাস্তাগুলোতে খুব বেশী ক্য় হয় না । ফলে টায়ারগুলো অনেক দিন লাস্টিং করে ।

টিউবলেস টায়র VS টিউব টাইপ টায়ার :

বর্তমানে সবধরণের মডার্ণ বাইকে টিউবলেস টায়ার ব্যাবহার করা হচ্ছে । এর কারণ আসলে কী ? এর আসলে ই অনেকগুলো ভাল কারণ রয়েছে । যখন আপনার বাইকের টিউবটাইপ টায়ার হঠাৎ করে পাংচার হয়ে যাবে , তখন আপনি বিপদে পড়তে পারেন । ধরুন , আপনি খুবই বেশী স্পীডে বাইক রাইড করছেন । এই সময় আপনার টায়ার বাস্ট হল । তখন তো এক্সিডেন্ট নিশ্চিত । এইসময় আপনার টায়ার বা টিউব চাকার রিম থেকে ছাড়িয়ে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে । সো , টিউব টাইপ টায়া আপনার জন্য অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ ।
অপরদিকে টিউবলেস টায়ার্ এর বৈশিষ্ট হল এটা থুব সহজে পাংচার হয় না , এবয যদিও পাংচার হয় , তারপরও এটা বাইকের চাকার রিমের সাথে আটকে থাকে এবং আপনি এই অবস্থাতেই প্রায় ১০০ কিলোমিটার ড্রাইভ করতে পারবেন । ফলে এই সময়ের ভেতর আপনি আপনার চাকা সারিয়ে নিতে পারছেন ।

মোটরসাইকেল কেনার সময় টায়ারের ব্যাপারে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিৎ :

একটা মোটরসাইকেল বা বাইকের টায়ার কেনার সময় আপনার বেশ কিছূ বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে । না হলে আপনার বাইক মোটেও সেফ না । বিষয়গুলো নিচে দেওয়া হল ;

১. কোন সেকেন্ড হ্যান্ড টায়ার কেনা যাবে না ।

২. যেসব টায়ার সোরুমে বা দোকানে ১ বছরের বেশী সময় ধরে পড়ে আছে সেসব টায়ার কেনা উচিৎ নয় । কারণ , রাইডিং না করলেও টায়ার অনেকদির ফেলানো থাকলে এর পাওয়ার লস হয়ে যেতে পারে ।

৩.আপনার যদি একটা রোড বাইক থাকে তাহলে অফরোড টায়ার কিনবেন না । কারণ এটা আপনার বাইকের জন্য ঝুকিপূর্ণ । অফরোড টায়ারগুলো এক্সেল বাইক বা ওই ধরণের রেসিং বাইকের জন্য ব্যবহৃত হয় ।

৪. আপনার বাইকের জন্য টায়ারের যে সাইজ রিকমেন্ড করা আছে সেই টায়ারই কিনুন । এর থেকে বড় বা ছোট সাইজের টায়ার কিনবেন না ।

৫. তারপরও যদি আপনি বড় বা ছোট টায়ার নেন , তাহলে আপনার এ্যলয় হুইল সর্বোচ্চ কোন সাইজের টায়ার বিয়ার করতে পারবে সেটা দেখে কিনুন ।

কখন একটা বাইকের টায়ার চেঞ্জ করা প্রয়োজন :

আসলে আপনি যদি নরমাল ড্রাইভ করেন তাহলে আপনার বাইকের টায়ার ন্যাচার‌্যালি ২০০০০ কিলেমিটার পর্যন্ত অক্ষত থাকবে । কোন কোন সময় এটি ৩০০০০ কিলোমিটাও হতে পারে । ন্তিু , আপনি যদি ঘন ঘন কড়া ব্রেক করেন বা রেসিং কর থাকেন তাহলে আপনার বাইকের টায়ার ৫০০০০ কিলোমিটারের ভেতরও পাল্টাতে হতে পারে । তারপরও নীচের বিষয়গুলো কনসিডার করে আপনি আপনার বাইকের টায়ার বদলাতে পারেন :

১. যদি বাইকের চাকায় গ্যীপ ক্ষয়ে যায় বা কমে যায়

২.যদি বাইকের চাকায় কোনরকম ফাটল সৃষ্টি হয় ।

৩.বাইকের চাকার অন্য কোন সমস্যা যদি আপনি বুঝতে পারেন ।

বাংলাদেশের বাইকের টায়ার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন bikebd.com এ ।

আর বাংলাদেশের বাইক সম্পর্কে তথ্য ও লেটেস্ট আপডেট পেতে চোখ রাখুন bikebd.com এ । এবং বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের প্রাইস সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন Motorcycle Price in Bangladesh



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.