নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালী পরে আগে আমি ভারতীয়

অরিন্দম চক্রবত্রী

কলকাতায় থাকি

অরিন্দম চক্রবত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতিয়ার ফেসবুক-ওয়েবসাইট, কোলকাতা শহরে খুল্লামখুল্লা বিকোচ্ছে যৌনতা-newspaper

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

নিষিদ্ধপল্লিতে গিয়ে, কেউ দেখে ফেলার আগে মুখে রুমাল চাপা দিয়ে চট করে যৌনকর্মীদের ঘরে ঢোকার দিন শেষ গিয়েছে আগেই! যৌনকর্মীরাও এখন আর নিজেদের চট করে ‘বেশ্যা’ বলতে চান না৷ বিশ্বায়নের যুগে তাঁরা এখন নিজেদের ‘কলগার্ল’ বলতেই পছন্দ করেন৷ সোনাগাছি বা হাড়কাটা গলিতে অবশ্য এখন নব্য যুবকদের দেখা মিলবে না৷ কারণ, ওই সব মার্কামারা জায়গায় নারীশরীরের সঙ্গলাভের চেয়ে নিজের বেডরুম বা চেনা চৌহদ্দির মধ্যেই মিলনে আগ্রহী এযুগের পুরুষরা৷

আর জেন ওয়াইয়ের এই প্রবণতাকে পুঁজি করেই ব্যবসা বাড়ছে এসকর্ট সার্ভিসের৷ পোশাকি নাম আলাদা হলেও মূল ব্যবসা সেই এক ও আদিম৷ অর্থের বিনিময়ে খানিকক্ষণ নারী শরীরের সঙ্গ লাভ৷ কিন্তু এই পেশায় বারবনিতাদের কোনও ঠাঁই নেই৷ মহিলারা এখানে ‘ফিমেল এসকর্ট’, সোনাগাছির যৌনকর্মীদের চেয়ে রেটও অনেক চড়া৷ ঘণ্টা প্রতি কয়েক হাজার টাকা খসানোর সাধ্য থাকলেই যে কোনও পুরুষ উদ্দাম সুখ পেতে পারেন, প্রতিশ্রুতি এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের৷ কোনও রাখঢাক নয়, দিব্যি সক্কলের চোখের সামনে ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ খুলে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা৷ ওয়েবসাইটগুলিতে চোখ বোলালে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়৷ শব্দের কারিকুরিতে কী নিখুঁত যৌনতার আহ্বান৷ রয়েছে রেট চার্ট৷ কত কড়ি ফেললে কত পিপে তেল মিলবে- জ্বলজ্বল করছে সেই তথ্য৷ কেউ নিকিতা বা নিশা, কেউ আবার একেবারে বাঙালি নাম ব্যবহার করে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন৷

কলকাতা কেন্দ্রীক এরকম কয়েকটি ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানা গেল, পার্ক স্ট্রিট থেকে কল্যাণী, বড়বাজার থেকে শুরু করে নৈহাটি- এসকর্ট সার্ভিসের ‘লোভনীয় পরিষেবা’ লাভের সুযোগ রয়েছে সর্বত্র৷ গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বাঙালি অষ্টাদশী বা ‘হাইক্লাস হাউসওয়াইফ’, উঠতি গ্ল্যামারাস মডেল বা এয়ারহস্টেসকে গাঁটের কড়ি ফেললেই নিয়ে আসা যাবে বেডরুমে৷ লোক জানাজানির ভয় নেই বললেই চলে, কারণ গোটা প্রক্রিয়াটাই চলে মূলত ফোন-ইন্টারনেটে৷ রেস্ত অনুযায়ী হোটেল বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে গ্রাহকদের৷ হোটেলগুলির সঙ্গে আগে থেকেই পাকা বন্দোবস্ত থাকে এই সব এসকর্ট সার্ভিসের৷ যৌন মিলনে অক্ষম বা বেশি বয়স্কদের জন্য রয়েছে মৌখিক সুখ আদানপ্রদানের ব্যবস্থাও৷ আর যাঁরা নিয়মিত যৌনক্রীড়ায় মত্ত হতে হতে মিলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের জন্য রয়েছে নিপুণ ফোর-প্লে, সুন্দরীর সাহচর্যে বসে মদ্যপান বা অন্যান্য নেশার সুযোগও৷



কেমন দেখতে এই ফিমেল এসকর্টদের? এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের ওয়েবসাইটে ফলাও করে সে বিবরণও দেওয়া রয়েছে৷ এরকমই একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, তাদের এক ‘মডেল’-এর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, ওজন ৫৭ কিলোগ্রাম, বয়স ২২ বছর৷ মধ্যপ্রদেশের এক নামী পরিবার থেকে কলকাতায় এসেছে সে৷ ক্রমান্বয়ে দেওয়া হয়েছে ওই মডেলের আরও ব্যক্তিগত ও খুঁটিনাটি তথ্য৷ তাঁর ঠোট গোলাপি ও ‘পাউটি’ শেপের, সেলফি তোলার জন্য আদর্শ৷ চুলের রং সোনালি-বাদামি৷ ব্যাঙ্কক নাকি তাঁর পছন্দের গন্তব্য৷ তবে কোনও ক্ষেত্রেই এসকর্টদের ছবি ব্যবহার করা হয় না৷ হয় কোনও বিদেশি মডেলের ছবি ব্যবহার করে বা মুখ ঝাপসা করে এসকর্টদের ছবি ব্যবহার হয়ে ওয়েবসাইটে৷ পুরোটাই গোপনীয়তা রক্ষার খাতিরে৷ এবার ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের কোথায় আসা যাক- পেমেন্ট ও পেমেন্ট মোড৷

প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটেই একটি নম্বর ও ইমেল আইডি দেওয়া রয়েছে৷ যেখানে ফোন করে পেমেন্ট অপশন জানা যাবে৷ সাধারণত এই নম্বরগুলিতে ফোন করলে প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কোনও একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলা হয়৷ তারপর বাকি কথা৷ কত টাকা লাগবে? একাধিক ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানা গেল, ১-২ ঘণ্টা ও একবার সম্পূর্ণ মিলনের জন্য খরচ ১০-১৫ হাজার টাকা৷ এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের দাবি, ওই খরচের মধ্যেই ধরা হয়েছে ফোর-ফাইভ স্টার হোটেলের ভাড়া, কার পার্কিংয়ের খরচ, বেয়ারাদের টিপস৷ কোনও মডেলের সঙ্গে ৩-৪ ঘণ্টা ‘সময় কাটানোর’ খরচ ২০-২৫ হাজার টাকা৷ যার মধ্যে দু’বার ‘মেটিং সেশন’, ফোর-প্লে করা যাবে৷ ৩৫-৪০ হাজার টাকায় মিলবে আনলিমিটেড ‘মেটিং সেশন’, গোটা রাতের জন্য৷ পার্টনারকে ‘হট’ লাগলে তবেই এই প্যাকেজের দাম দিতে হবে, নচেৎ পয়সা লাগবে না, দাবি ওয়েবসাইটের৷ এছাড়াও রয়েছে গ্রাহকদের পছন্দমাফিক বিভিন্ন ক্লাস্টমাইজড প্যাকেজ৷ বিদেশি নাগরিকরা খরচ মেটাতে পারবেন ডলারেও৷ ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিয়মিত অ্যাক্টিভ থাকেন এই এসকর্ট সার্ভিস এজেন্টরা৷ স্বাভাবিকভাবেই নাবালক বা পড়ুয়াদের চোখে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়৷

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ! আদিম ব্যবসার চমৎকার ইভোলিউশন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.