নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালী পরে আগে আমি ভারতীয়

অরিন্দম চক্রবত্রী

কলকাতায় থাকি

অরিন্দম চক্রবত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডবল ফেলুদা

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩


চল্লিশে যদি চালশে হয়, পঞ্চাশে কি তবে পানসে?
আর যারই হোক, ফেলুদা সম্পর্কে কথাটা খাটবে না! ফেলুদার কি বয়স বাড়তে পারে? না কি তার হ্যাংওভার এত সহজে মাথা থেকে নামার?
তবে ফেলুদার বয়স কিন্তু বাড়ছে! ৫০ বছরে পা দিল সে। সেই ৫০ পূর্তি উপলক্ষেই সন্দীপ রায় ফের দর্শকদের কাছে নিয়ে আসছেন ফেলুদাকে। সঙ্গে রয়েছে তোপসেও। শুধু জটায়ু নেই, এই যা!

আসলে, জুতসই জটায়ু পাওয়া যাচ্ছে না বলেই তো সন্দীপ রায় বেছে বেছে ফেলুদার এমন গল্পেই হাত দিচ্ছেন যেখানে জটায়ু নেই। এবারেও সেই নিয়মের ব্যত্যয় হচ্ছে না। ডবল ফেলুদা ছবির জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন ‘সমাদ্দারের চাবি’ আর ‘গোলোকধাম রহস্য’ গল্পদুটোকে যার কোথাওই জটায়ু নেই!
তবে পাঠকের কাছে ফেলুদার বয়স না বাড়লেও সন্দীপ রায়ের ছবিতে কিন্তু বাড়ছে। ফেলুদার পঞ্চাশ বছর পূর্তি, অতএব পর্দার ফেলু মিত্তিরও দেখা দেবে ৫০ বছর বয়সে। সেই জন্য সন্দীপ রায়ের এই নতুন ছবিতে ফেলুদা হিসেবে ফের দেখা দিচ্ছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী।
অবশ্য, শুধু এই বয়সটাই একমাত্র কারণ নয়। ‘বাদশাহি আংটি’র পরে আবির চট্টোপাধ্যায়কে ফেলুদা হিসেবে কাজ না করানোর কারণ দুটো। প্রথমত, আবির এখন ক্রমান্বয়ে ব্যোমকেশ চরিত্রে অভিনয় করে চলেছেন অরিন্দম শীলের পরিচালনায়। সেই জায়গা থেকে ফেলুদার মুখ ভিড়ের মাঝে আলাদা করতে চান পরিচালক। তাই আবিরকে না নেওয়া!
দ্বিতীয়ত, আবির এই মুহূর্তে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এবং সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ- অন্য কোনও প্রযোজনা সংস্থার ছবি তিনি করবেন না। অন্য দিকে, সন্দীপ রায়ের এই নতুন ফেলুদা-ছবির প্রযোজক ইরস। ফলে, অন্য কাউকে ফেলুদা চরিত্রে না নেওয়া ছাড়া তাঁর উপায়ও নেই!
যাই হোক, ভক্তরা এই ভেবেই খুশি যে ফেলুদা আবার পর্দায় ফিরছে। সে যে বয়সেই ফিরুক না কেন! পোস্টার মুক্তির পরে সেই প্রত্যাশার পারদ ধাপে ধাপে বাড়ছে। আসলে, বয়স যতই হোক না কেন, মগজাস্ত্রে শান কি কমতে পারে?
অন্তত ফেলু মিত্তিরের তো কমে না!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: যে কোন গোয়েন্দা সিরিজই আমার টপ ফেভারিট! তবে সত্যি বলতে বাংলা ছবির গোয়েন্দা অভিনেতা হিসাবে আমার আবিরকে যতটা ভাল লাগে, অন্যদের ক্ষেত্রে ততটা ভাল লাগা কাজ করে না! যদিও সব্যসাচী একজন তুখড় অভিনেতা!

তথাপি তাকে জানি গোয়েন্দা চরিত্রে কেমন কেমন লাগে! সেটা বয়সের কারণেও হতে পারে! বিশেষ করে ফেলুদা চরিত্রে এতটা বয়স্ক কাউকে ততটা ভাল মানায় না, তাই সে যতবড় অভিনেতাই হোক না কেন!

এক্ষেত্রে যিশুকেও কিছুটা এগিয়ে রাখা যায়! তারপরেও ফেলুদার ৫০ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা রইল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.