![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লং উইক-এন্ড হোক বা লম্বা ছুটি৷ বাঙালির অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন উত্তরবঙ্গ৷ কয়েক ঘণ্টার যাত্রাপথেই পাহাড়ের কোলে৷ শুধু পাহাড় নয়, উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জঙ্গলও আকর্ষণের শীর্ষে৷ ডুয়ার্স ও তার আশপাশের সমস্ত জঙ্গল একেবারে যাকে বলে হটস্পট৷ চেনাজানা জায়গা তো আছেই, এছাড়াও ছোট ছোট এমন অচেনা অজানা কিছু জায়গা রয়েছে, যা এককথায় একেবারে অতুলনীয়৷
দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্টের ছোট একটুকরো জায়গা সুনতালেখোলা৷ জায়গাটির নামকরণ একটি ছোট্ট ঝোরা ‘সুনতালেখোলা’-র নামে৷ নেপালি ভাষায় সুনতালে মানে কমলা আর খোলা মানে ঝোরা৷ সামসিং থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব৷
এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এককথায় অপূর্ব৷ ব্ল্যাক ইগল, হিল প্যাটরিজ, হোয়াইট থ্রোটেও ফ্যানটেল, স্কারলেট মিনিভেট ও আরও নানা প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে৷ অপূর্ব তাদের রং৷ রঙের বৈচিত্রে তাজ্জব বনে যেতে হয়৷ সামসিং পৌঁছে বহু পর্যটক ট্রেক করে সুনতালেখোলা পৌঁছান৷ ট্রেকিং-এর পথে প্রকৃতিকে আর একটু কাছ থেকে উপভোগ করা যায় যেন৷ শান্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতি একেবারে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে৷ শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটারের ব্যবধান৷ ট্রেকার বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছানো যায় সুনতালেখোলা৷
এবার চলুন জঙ্গল সফরে৷ জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের কাছেই চিলাপাতা জঙ্গল৷ আলিপুরদুয়ার থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান৷ একদিকে ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল, অন্যদিকে চিলাপাতা৷ মাঝে বয়ে যাওয়া তোর্সা নদী৷ প্রচুর হাতি আর একটি শিংওয়ালা গন্ডারের দেখা মেলে এই জঙ্গলে৷ এছাড়াও হরিণ, লেপার্ড, বন্য শুয়োর, ময়ূরের দেখা মেলে৷
ঘন সবুজ জঙ্গলে এক অদ্ভুত স্তব্ধতা রয়েছে৷ এক নিশ্ছিদ্র স্তব্ধতার বেষ্টনীতে পুরো জঙ্গল মোড়া৷ ফরেস্ট বাংলোতে রাত্রিবাসে যখন ওই স্তব্ধতার মাঝখান থেকে হঠাৎ কোনও জন্তুজানোয়ারের পদধ্বনি কানে এসে পৌঁছায়, তা নিঃসন্দেহে যেমন থ্রিলিং, আবার চমকপ্রদও বটে৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সরকারি ইকো-ট্যুরিজম রিসর্ট রয়েছে এখানে, নাম ‘মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্প’৷ কোদালবস্তি নামক একটি জায়গায় এর অবস্থান৷ নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে মেন রোড ধরে জঙ্গল৷ সেখানে ওয়াচ টাওয়ার পেরিয়ে একটি কাঠের ব্রিজ৷ ব্রিজের ওপারেই রয়েছে ফরেস্ট বাংলো৷ ব্রিজের তলা দিয়ে বয়ে চলা ঝোরাতে মাঝেমধ্যেই বন্যপ্রাণীরা জল খেতে আসে৷
চিলাপাতা জঙ্গলের আর এক আকর্ষণ নলরাজাগড়৷ গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়কার দুর্গ এটি৷ প্রায় দু’হাজার বছরের পুরনো এই দুর্গটি দেখে বিস্মিত হতে হয়৷ তবে দুর্গের তোরণের পর আর যাওয়া সম্ভব হয় না৷ জঙ্গল এতটাই ঘন এখানে যে, তা প্রায় অভেদ্য৷ এছাড়া ‘কুনকি’ নামক একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে এই জঙ্গলে৷ সেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা৷ অক্টোবর মাস থেকে মে মাস অবধি জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খোলা৷
কীভাবে যাবেন:
সুনতালেখোলা বা চিলাপাতা দু’টি জায়গাতেই এনজিপি থেকে পৌঁছানো যায়৷ আলিপুরদুয়ার থেকে গেলে আরও সুবিধা৷ দু’টি জায়গাই কাছে পড়বে৷ শিয়ালদহ থেকে তিস্তা-তোর্সা বা হাওড়া থেকে কামরূপ এক্সপ্রেস ধরে নিউ আলিপুরদয়ার৷ সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে৷
কোথায় থাকবেন:
দু’টি জায়গাতেই সরকারি বাংলো রয়েছে থাকার জন্য৷ অগ্রিম বুকিং করে যাওয়াই ভাল৷
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
ঢ্যাঙা মোস্তাফা বলেছেন: খানকির পোলা আমার ধোন লেখছ। এইটা বাংলাদেশ এইখানে উত্তরাঞ্চল বলতে রাজশাহী বিভাগরে বুঝায়। আইসে বাঙালি চোদাইতে।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
হিন্দুস্তানি বলেছেন: ঢ্যাঙা মোস্তাফ- এই নদ্দমার কীট টির কি জানা আছে--ভারতে এক টি প্রদেশ আছে য়ার নাম
পশ্চীম বাংলা ,আর তাতে উত্তরবঙ্গ বলে একটা বিরাট অঞ্চল আছে---
লেখক তো পরিস্কার ভাবে জায়গার কথা উল্লেখ করে দিয়েছেন--শিয়ালদহ ,শিলিগুড়ি,নিউ আলিপুরদয়া্র।
বাঙালি এবং বাঙ্গালিত্ত -কারো একার বাবার সম্পতি নয় .।.।।।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: উপরে উৎরটা একটা মুরখর দেওআ।না পরেই পেছন হোলুদ।জা্য়গাটা unexplored .
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
ঢ্যাঙা মোস্তাফা বলেছেন: হিন্দুস্তানি পায়খানা আমার, বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের ব্লগে উত্তরাঞ্চল বলতে রাজশাহীরে বুঝব। তোমার ঢোলা পাছার উত্তরদিকের তিলরে বুঝব না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সুন্দর বর্ণনায় লিখেছেন...আরও কয়েকপর্ব লিখুন । সম্ভব হলে গাইড থাকা-খাওয়া ফোন নম্বর সহ উল্লেখ করলে অনেকের উপকারে লাগবে। ধন্যবাদ।